কিওয়ার্ড ডেনসিটি কি : বর্তমান সময়ে একজন ব্লগার এর জন্য কিওয়ার্ড ডেনসিটি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী।
কারণ ডেনসিটি হচ্ছে সেনসিটিভ একটি বিষয়। যদি আপনি এ বিষয়টি তেমন গুরুত্ব না দেন। তাহলে আপনার এসইও অপটিমাইজেশনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হতে পারে আপনি বিভিন্ন ব্লগ বা ইউটিউবে ভিডিও থেকে জানতে পেরেছেন। যে আর্টিকেল এর মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ড কে রাখতে হয়।
কিন্তু এটা কোন ভুল তথ্য না বরং আপনার আর্টিকেলে অবশ্যই ফোকাস কিওয়ার্ড রাখাটা জরুরি।
এর কারণ আপনি যে বিষয়কে কেন্দ্র করে আর্টিকেল লিখবেন। সে টপিক সম্পর্কে যা জানেন তা বোঝানোর জন্য তাকে এওয়ার্ড প্লেসমেন্ট এর বিকল্প নেই।
তবে যত সময় অতিবাহিত হচ্ছে আসিম দিনগুলো ঠিক ততই এডভান্স লেভেলে যাবার চেষ্টা করছেন।
তবে গত কয়েক বছর আগে এই সার্চ ইঞ্জিনগুলো ঠিক এতটা এডভান্স ছিলনা। বর্তমান সময়ে যতই দিন যাচ্ছে, আমরা লক্ষ্য করতে পারছি। সে সময়ে কিওয়ার্ড দেন্সিটি নিয়ে তেমন কোন চিন্তা করতে হতো না।
সে সময়ে কিওয়ার্ড আর্টিকেল লেখা হত। সেই আর্টিকেলে ফোকাস কিওয়ার্ড অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করা হতো।
যাকে বলা হয় Keyword Stuffing. যার মাধ্যমে কিওয়ার্ড খুব সহজে সার্চ ইঞ্জিনগুলোর যেকোনো আর্টিকেলকে র্যাংক করানো যেত।
তবে বর্তমানে ব্লগারদের জন্য কিওয়ার্ড ডেনসিটি সম্পর্কে জ্ঞান রাখা অনেক জরুরি হয়ে পড়েছে। আপনি যদি এই কী-ওয়ার্ড ডেনসিটি কে তেমন গুরুত্ব না। তাহলে আপনি সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে, ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর আওতায় পড়ে যাবেন।
যার ফলে আপনার সাইট কখনোই সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে, র্যাংক হবে না। অনেক সময় প্যানাল্টি খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তার জন্য আপনি এই, সঠিকটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। আমরা এখানে আপনাদের জানিয়ে দিব কিওয়ার্ড ডেনসিটি কি এবং আর্টিকেলের কিওয়ার্ড ডেনসিটি দেখার নিয়ম সম্পর্কে।
আপনি যদি এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারনা পেতে চান। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ করবে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আপনার জন্য আরো লেখাঃ
- ইউটিউব ভিডিও এসইও কি? ইউটিউব ভিডিও রেঙ্ক করানোর 100% কার্যকরি কৌশল
- অফ পেজ এসইও কি ? off page SEO করার উপায়
- অন পেজ এসইও কি ? কিভাবে অন পেজ এসইও করতে হয় ?
Keyword density কি ?
কিওয়ার্ড ডেনসিটি কি, এর বিষয়ে জানার আগে, আপনাকে অবশ্যই কিওয়ার্ড এবং ডেনসিটি এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে, জেনে রাখতে হবে। তারপর পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে আপনার সুবিধা হবে।
শুরুতে আপনার পরিচয় করিয়ে দিব কিওয়ার্ড এর সাথে। তার কারণ আপনি যদি কিওয়ার্ড কি সে সম্পর্কে না জানেন তাহলে ডেনসিটি সম্পর্কে কিছুই বলবেন।
সাধারণত মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে যা কিছু লিখে সার্চ করে মূলত মানুষের সার্চ করা প্রতিটি শব্দ হচ্ছে এক একটি কিওয়ার্ড। যেমন আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন- এসইও কি? তাহলে এটিও একটি কিওয়ার্ড হবে।
এখন যদি আপনি কি আমাদের সাথে ডেনসিটি শব্দকে যুক্ত করতে চান। তাহলে সংখ্যাটি একটু ভিন্ন রকম হবে যেমন-
কোন একটি আর্টিকেল এ ফোকাস কিওয়ার্ড এর ব্যবহার পরিমাণকে বলা হবে কিওয়ার্ড ডেনসিটি। এক্ষেত্রে মনে করুন আপনি অফ পেজ এসইও নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখেছেন।
এখন সে আর্টিকেলে আপনি মোট কতবার অফ পেজ এসইও কে মেনশন করেছেন। তার একটা পরিমাণকে বলা হবে কিওয়ার্ড ডেনসিটি।
কিওয়ার্ড ডেনসিটি কেন ঠিক রাখতে হয়?
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে আমার আর্টিকেলে কতবার কিওয়ার্ড ব্যবহার করবো নাকি না করবো। সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কি দরকার।
আর আমার ওয়েবসাইট, আমার আর্টিকেল আমি যত ইচ্ছা তত কিওয়ার্ড ব্যবহার করব।
আপনি যদি এমনটা মনে করে থাকেন তাহলে জেনে রাখুন এই কাজ করা মানে আপনি নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারলেন। তার কারণ এটি কখনো আপনার জন্য ভালো হবে না।
আমরা ব্লগিং সেক্টরের সাথে, অনেক বছর যাবত কাজ করছি। সেই সুবাদে ব্লগিং রিলেটেড অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞতা হয়েছে।
আমরা যদি কয়েক বছর আগের কথা বলি তাহলে সে সময়ে কিন্তু এই বিষয়গুলোকে নিয়ে এত বেশি ভাবতে হত না। সে সময়ে এই বিষয় গুলোকে খুব সহজে নেওয়া হতো।
সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার আর্টিকেল এর মূল ধারণা দেওয়ার জন্য, কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হতো। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই তাদের আর্টিকেল খুব সহজে র্যাংক করতে পারতো।
কিন্তু বর্তমান সময়ে পরিস্থিতি অনেক বদলে গেছে। সেই সময়ে গুগল অ্যালগরিদম আর আজকের দিনের অ্যালগরিদম এর মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে।
এই অল্প সময়ের মধ্যে গভীর তার অ্যালগরিদম কে এত বেশি আঘাত করেছে যার ফলে, আপনি যদি আগের নিয়ম অনুযাযী কাজ করেন তাহলে কপালে দূর্দশা ছাড়া কিছু নেই।
আগের নিয়ম মেনে যেভাবে আমরা আর্টিকেলকে টপ পজিশনে নিয়ে আসতাম। আজকের দিনের সেই নিয়ম কে বলা হয় Keyword Stuffing. ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর একটি অংশ।
আপনি গুগলকে বোকা বানাতে চাইবেন। আর গুগল আপনাকে জামাই আদর করবে সেটা কিন্তু নয়। যারা এসব কাজ করে টপ পজিশনে আসার চেষ্টা করেন। গুগোল কিন্তু সে ওয়েবসাইট গুলোকে র্যাংক ধীরে ধীরে থেকে নিচের দিকে নামিয়ে দেয়।
আর এই কাজের পরিমাণ যখন অতিরিক্ত মাত্রায় হয়। তখন কিন্তু গুগোল এ ওয়েবসাইটকে সরাসরি পেনাল্টি দিয়ে দেয়।
কিভাবে কিওয়ার্ড ডেনসিটি ঠিক রাখবেন?
আমাদের আর্টিকেলে কিওয়ার্ড ডেনসিটি সম্পর্কে অনেক ধারণা গ্রহণ করেছেন। আর্টিকেল এর এ পর্যন্ত আসার পরে এখন আপনি হয়তো আরো সংকটে পড়ে যাবেন।
কারণ একদিকে যেমন- এসইও এক্সপার্টরা বলে। যে কোন আর্টিকেলে গুগলের টপ পজিশনে নিয়ে আসতে হলে। আর্টিকেলে অবশ্যই মূল কিওয়ার্ডের ব্যবহার করতে হবে।
আবার অন্যদিকে আপনি এখন জানতে পারলেন। যে অতিরিক্ত কিওয়ার্ড ব্যবহার করার ফলে, অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। আপনি যদি অতিরিক্ত ভাবে কিবোর্ড ব্যবহার করেন।
তবে গুগলের চোখে আপনি ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর আওতায় পড়ে যাবেন। গুগোল যখন জানতে পারবে যে, আপনি কোন আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটকে টপ পজিশনে নিয়ে আসার জন্য।
ব্ল্যাক হ্যাট টেকনিক অবলম্বন করছেন। তখন গুগল আপনাকে পেনাল্টি দিয়ে দিবে। এখন অনেকের প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে এর থেকে বাঁচার উপায় কি? এখন কিভাবে আপনি আর্টিকেল কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।
আরেকটি আর্টিকেলে, কি পরিমাণের কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান সময়ে যারা নতুন ব্লগার হিসেবে কাজ করছেন। তারা এই কী-ওয়ার্ড এবং ডেনসিটি সম্পর্কে নতুন ধারণা পেয়ে থাকে। তাদের সবার মনে প্রশ্ন হয় যে,
আপনি একটা 1500 শব্দের আর্টিকেল লিখেছেন এখন আপনি কি করে বুঝবেন যে, আর্টিকেলে মোট কতবার কিওয়ার্ড ব্যবহার করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে বোঝার জন্য আপনাকে একটি ফর্মুলা অনুসরণ করতে হবে আপনি যদি এর ফর্মুলা মেনে কাজ করতে পারেন। তাহলে আশা করা যায় আপনি কোনদিন গুগল পেনাল্টি খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নির্দিষ্ট পরিমাণের শব্দ আর্টিকেলে মোট কতবার ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করা দরকার। কোন একটি আর্টিকেল এর ছোট বা বড় মোট কতবার টার্গেট কি অর্থে ব্যবহার করা যাবে।
এস পি ও তে, কোন প্রকার ইফেক্ট না পারে। সে জন্য একটি আর্টিকেল এর তুলনামূলক টার্গেট কিওয়ার্ড ব্যবহার করার নিয়ম।
আরো পড়ুনঃ
- বাংলায় কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয় ? (জেনেনিন এখানে)
- মোবাইলের জন্য সেরা ৫ টি ফ্রি স্ক্রিন রেকর্ডার অ্যাপ – ডাউনলোড করুন
- পডকাস্ট করে আয় করার উপায় (জেনেনিন এখানে)
Keyword Stuffing মানে তো অতিরিক্ত পরিমাণে কিওয়ার্ড ব্যবহার করা কিন্তু মোট কতগুলো কিওয়ার্ড ব্যবহার করার ফলে Stuffing এর আওতায় পড়ে থাকে।
তো আপনি যদি Keyword Stuffing থেকে রক্ষা পেতে চান। তাহলে আপনাকে কিওয়ার্ড ডেনসিটি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
আরে সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে হলে কিওয়ার্ড দেন্সিটি ফর্মুলা অনুসরণ করতে হবে।
কিওয়ার্ড ডেনসিটি ক্যালকুলেট করার নিয়ম
আপনি যখন কোন আর্টিকেল থেকে কিওয়ার্ডের ডেনসিটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেয়ার চেষ্টা করবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে যেমন-
আপনি যে আর্টিকেলের ডেনসিটি নির্ধারণ করবেন। সে আর্টিকেলটি মোট কত শব্দ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে তা আপনাকে জেনে রাখতে হবে।
তারপর আপনাকে খুঁজে নিতে হবে যে, এই আর্টিকেলের মোট কতবার আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড কে ব্যবহার করা হয়েছে।
এখন আপনাকে নিচের ফর্মুলা প্রয়োগ করতে হবে যেমন-
আপনি যখন কোন একটি আর্টিকেল কিওয়ার্ড ডেনসিটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন। তখন আপনাকে ছোট্ট একটি অংক করতে হবে আর এই অংক করার জন্য একটি সূত্র আছে সেটি হচ্ছে-
Total Number of Times Use Keyword/Total Number of Word in The Article × 100)
এর মানে হচ্ছে আগে আপনাকে মোট ফোকাস কিওয়ার্ড এর পরিমাণ কে খুঁজে বের করতে হবে। তারপর সেই পরিমাণকে আর্টিকেলটি মোট কতবার শব্দ লেখা হয়েছে সেই সংখ্যাটি বার করতে হবে।
বিষয়টি যদি এলোমেলো লাগে তাহলে সহজ করে বলছি। মনে করুন আপনি 1500 ওয়ার্ডের একটি আর্টিকেল লিখলেন।
এখন আপনি ক্যালকুলেট করে দেখলেন যে আর্টিকেলে সর্বমোট 15 ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে।
এবার আপনিই পরিমাণকে ভক্ত ফর্মুলা প্রয়োগ করে দুইটি বিষয় পেয়ে যাবেন যেমন-
- Number of times keyword used – 15
- Total number of words in article -1500
এখন এ পরিমাণ গুলোকে কিওয়ার্ড দেন্সিটি ফর্মুলা তে প্রয়োগ করা যাক। এজন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
- (15/1500) × 100
- 15 / 1500 = 0.01
- 0.01 × 100 = 1
এর মানে হচ্ছে এ আর্টিকেলে কিওয়ার্ড ডেনসিটি পরিমাণ হচ্ছে ১%। এরকমভাবে কোন আর্টিকেলে ডেনসিটি বের করতে পারবেন।
এর জন্য আপনাকে উপরিউক্ত ফর্মুলাটি অনুসরণ করে কাজ করতে হবে।
আরো দেখুনঃ
- টেকনিক্যাল এসইও কি? টেকনিক্যাল এসইও করার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন
- এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম (জেনে নিন এখানে)
- এসইও কি? কিভাবে এসইও শিখবেন ? (বাংলা টিউটরিয়াল)
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হলো। কিওয়ার্ড ডেনসিটি কি? আর্টিকেলের কী-ওয়ার্ড ডেনসিটি দেখার নিয়ম সম্পর্কে।
আপনি যদি ব্লগিং করে থাকেন, তাহলে আপনাকে কিবোর্ড ডেনসিটি লক্ষ্য রেখে ব্লগ আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। তাহলে আপনি কোন সমস্যার সম্মুখীন হবেন না।
তো আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বিশেষ করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ব্লগিং বিষয়ে এবং অনলাইন ইনকাম বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিয়মিত পড়তে চাইলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।