এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম (জেনে নিন এখানে)

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম : বর্তমানে সব চেয়ে জনপ্রিয় একটি অনলাইন কাজ হলো ব্লগিং। বর্তমানে সকলেই লেখালেখি  করে আয় করতে আগ্রহী।

কিন্ত চিন্তার বিষয় লেখালেখি করলেই কি আয় হবে। বন্ধুরা, না। শুধু লিখলেই যদি আয় হতো তাহলে যে কেও লেখালেখি করে আয় করে আয় করত।

কারণ আর্টিকেল লেখার জন্য কিছু নিয়ম আছে। যে নিয়ম গুলো অনুসরণ করে আর্টিকেল লিখলৈ আপনি ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে পারবেন যার ফলে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।

আপনি একটু চিন্তা করে যে, আপনি আপনার প্রয়োজনে গুগল থেকে বিভিন্ন আর্টিকেল সার্চ করে পড়েন তবে গুগলে যখন সার্চ দেন তখন অনেক ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল সামনে চলে আসে। এখানে আপনি কোন আর্টিকেল পড়বেন।

যে সকল আর্টিকেল পড়ে আপনার বিরক্ত লাগে না যে, আর্টিকেলে গুলো অনেক ভালো সাজিয়ে লেখা এবং তথ্য বহুল সেই আর্টিকেল গুলেঅ আপনি মনযোগ দিয়ে পড়েন।

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম (জেনে নিন এখানে)
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম (জেনে নিন এখানে)

একজন ভিজিটর এর মনের মতো একটি আর্টিকেল লেখার জন্য লেখককে কিছু নিয়ে অনুসরণ করে আর্টিকেল লিখতে হয়।

আমাদের এই পোস্টে আমরা এসইও ফ্রেন্ডিলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব। তাই লেখা গুলো শেষ পর্যন্ত দেখুন।

আপনি যদি ব্লগিং এ প্রোফেশনাল হতে চান? তাহলে এই আর্টিকেল আপনাকে জনপ্রিয় একটি লেভেলে নিয়ে যেতে সহায়তা করব।

আর আপনি যদি একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার বানাতে চান তবে এই পোস্ট আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

যদি আপনি মনে করেন এই আর্টিকেল পড়ে আপনি একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার হয়ে যাবেন। তাহলে আপনার ধারণা ভুল। তার কারণ হলেঅ আপনার দক্ষতা আপনার পেকটিস এর উপরে নির্ভর করবে।

কোন এক গল্পে আগে এক লোক সাইকেল চালানো শিখতে একটি বাই পড়ছে, আরেক জন লোক সরাসরি সাইকেল নিয়ে চালানো শিখছে।

তাহলে বলুন তো কে আগে সাইকেল শিখবে? অবশ্যই যে ব্যক্তি সরাসরি সাইকেল নিয়ে রাস্তায় চালুন শিখতে সেই কিন্তু আগে সাইকেল চালানো শিখবে।

ঠিক এরকম ভাবে আপনি যদি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে চান তাহলে আপনি শুধু লেখা পড়েই আর্টিকেল লিখতে পারবেন না। তাই আপনাকে প্রেক্টিস করতে হবে।

আপনি যদি ইউনিক কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল লেখতে পারেন, সেক্ষেত্রে ব্লগিং করে প্রচুর টাকা আয় করার সম্ভাবনা আছে।

আমাদের বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার ব্লগার আজ নিজের বাড়িতে বসেই লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে। শুধু মাত্র আর্টিকেল লিখেই।

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম

আমরা আগেও বলেছি ব্লগিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো কোয়ালিটির আর্টিকেল লিখতে হবে। যা হতে হবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল।

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর দিতে হবে। সেগুলোর বিষয়ে আমরা এখানে আলোচনা করব।

আপনার লিখাকে প্রানবন্ত করে তুলেন

আপনার আর্টিকেল লেখাকে করতে হবে প্রানবন্তর। যাতে করে ভিজিটর আপনার লেখটি পড়ে বিরক্ত বোধ না হয়।

এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন হবে লিখাকে কেমন করে প্রানবন্তর করা যায়। বন্ধুরা আপনাকে ছোট ‍উদাহরণের মাধ্যমে বলতে চাই: প্রানবন্তর লিখা আর রোবটিক লেখার মাঝে পার্থক্য আছে। যেমন-

প্রানবন্তর লেখা- আপনি কি জানেন যে, আর্টিকেল লিখার অনেক নিয়ম কানুন আছে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো।

রোবটিক লেখা- এই আর্টিকেলে আপনি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার সম্পর্কে পড়তে পারবেন।

প্রানবন্তর লেখা বলতে আপনি আপনার সমানে বসা একজন এর সামনে যেভাবে কথা বলেন ঠিক তেম ভাবে কথা গুলো লেখা।

এরকম ভাবে আর্টিকেল লিখলে ভিজিটর লেখা পড়ার প্রতি বিরক্ত বুধ চলে যাবে আমরা মনে করি। আপনিও আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য অনুসরণ করতে পারেন।

আপনি যখন আর্টিকেল লিখতে যাবেন তখন আপনি অবশ্যই প্রথমে একটি টপিক নির্বাচন করবেন। আপনি যে টপিক নির্বাচন করবেন সেটি সম্পর্কে আগে থেকে অনেক গুলো আর্টিকেল গুগল থেকে পড়ে নিবেন।

মনে রাখতে হবে একটি বিষয় নিয়ে আপনার যত বেশি ধারণা থাকবে তত বেশি অন্যকে ধারণা দিতে পারবেন।

তার জন্য আর্টিকেল লেখার আগে সেই বিষয় নিয়ে পড়াটা অনেক বেশি জরুরী। আপনি যদি কোন বিষয় এর উপর আপনার যথেষ্ট জ্ঞান না থাকে তাহলে আপনি সেই বিষয়ে ভালো আর্টিকেল লিখতে পারবনে না।

তাই আর্টিকেল লেখার আগে আপনাকে আর্টিকেল পড়ার জন্য বেশি সময় বের করতে হবে। আপনি যত বেশি অন্য আর্টিকেল পড়বেন তত বেশি দক্ষতা অর্জন করে নিজের ব্লগে লিখতে পারবেন।

আমরা জানি, একটি কোয়ালিটি আর্টিকেল লেখার জন্য আপনার মধ্যে কনফিডেন্স থাকাটা অনেক জরুরী। আপনি যত বেশি আর্টিকেল পড়বেন তত বেশি আপনার মাঝে কনফিডেন্স বেড়ে যাবে।

রিসার্চ করুন

আমরা বিশ্বের সকল বিষেয়ে যে, জ্ঞানী তা কিন্তু নয়। এমন অনেক বিষয় আছে যে গুলোর বিষয়ে আপনার জ্ঞান না থাকা সত্বেও, আপনাকে আর্টিকেল লিখতে হবে।

সে জন্য আপনাকে সেই বিষয়ে ভালো ভাবে রিসার্চ করে নিতে হবে তথ্য গুলো পাওয়ার জন্য।

তবে আপনি যেখান থেকে তথ্য উপাত্ত করবেন সেটি অবশ্যই বিশ্বস্ত হতে হবে। আর্টিকেল পড়া আর রিসার্চ করা দুইটি কিন্তু আলাদা বিষয়।

মনে করুন আপনি একটি মটরবাইক নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন সে জন্য আপনাকে প্রথমে মটরবাইট সম্পর্কিত আর্টিকেল বুঝতে হবে। মটরসাইকেল বিষয়ে আপনার আর্টিকেল কিভাবে লিখে কোন বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

তারপরে সেই মটরসাইক নিয়ে রিসার্চ করে পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করবেন। এখন আপনি জানেন কি কি বিষয়ে নিয়ে আর্টিকেল আলোচনা করতে হবে।

সেই আলোচনায় কোন তথ্য দিতে হবে। কখনও আর্টিকেল পড়ে বলতে পারবেন না আপনার রিসার্চ শেষ হয়েছে।

তার কারণ বিশ্ব প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। তার সাথে তথ্য গুলোও। আপনি যে, আর্টিকের পড়ছেন তার মধ্যে হয়তো পুরনো বা ভুল তথ্য থাকতে পারে। তাই আপনাকে রিসার্চ করে নিতে হবে। বিশ্বে যে কোন তথ্য জানার সব চেয়ে বড় ওয়েবসাইট হলো উইকিপিডিয়া।

সূচিপত্র তৈরি করুন

আপনি যে বিষয় নিয়ে ওয়েবসাইটে বা ব্লগে আর্টিকেল লিখবেন। সে ক্ষেত্রে আপনারা সূচিপত্র তৈরি করবেন। সুচিপত্র বলতে আপনি কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সে সম্পর্কে একটি লিষ্ট তৈরি করা।

মনে করুন- আপনি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম নিয়ে একটি আর্টিকেল লেখবেন। সেই বিষয়ে আপনার সুচিপত্র গুলো হবে যেমন-

  • আর্টিকেল কি?
  • আর্টিকেল লেখে আয়।
  • কনটেন্ট রাইটিং টিপস।
  • আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো।
  • এসইও কিভবে করব?
  • উপসংহার।

আপনি ‍উক্ত যে সুচি পত্র দেখতে পারছেন সেটি অবশ্যই আর্টিকেল লেখার দুই-তিন পেরার পরেই করতে হবে।

আর্টিকেলে আকর্ষণীয় ভূমিকায় লেখুন

ভূমিকা বলতে একটি আর্টিকেল এর প্রথম 200-300 শব্দকে বুঝানো হয়। উক্ত 200-300 শব্দ এর মধ্যে আপনাকে এমন কিছু লিখতে হবে, যা আপনার পুরো আর্টিকেলটি প্রেজেন্ট করবে।

মানে বুঝিয়ে দেবে আপনার পুরো আর্টিকেল এর মধ্যে কি আছে। এবং কি শিখতে ও জানতে পারবে।

আপনার আর্টিকেল এর ভূমিকা যদি সুন্দর না হয় তবে ভিজিটর পুরো আর্টিকেল পড়তে চাইবে না। তাই জোরালো ভাবে চেষ্টা করবেন ভুমিকা সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলার।

ছোট ছোট প্যারাগ্রাফে ভাগ করুন

আপনি যদি ভালো লেখক হতে চান? তাহলে আপনাকে ভিজিটরদের সাইকলোজি বুঝতে হবে। আপনার সামনে যদি বিশাল একটি হাজার ওয়ার্ড এর আর্টিকেল দেওয়া হয়।

আপনি সেটি পড়তে অবশ্যই বিরক্ত বুধ করবেন। কারণ অনেক লেখার সাথে পড়া অনেক ধৈর্য্যের ব্যাপার।

তাই চেষ্টা করবেন আর্টিকেল লেখার সময় ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ হিসেবে ভাগ ভাগ করে লিখবেন। এরকম ভাবে প্যারাগ্রাফ সাজাবেন যা, ৮-১০ টি ওয়ার্ড লিখে দাড়ি দিবে। এখানে ২-৩ টা দাড়ি দেওয়ার পরে দুই-তিন লাইন লিখেই প্যারাগ্রাফ করে দিবেন।

এরকম ভাবে একটি আর্টিকেল লিখলে দর্শকরা অনেক পছন্দ করবে। আর বেশি সময় নিয়ে আপনার আর্টিকেলটি পড়বে।

এছাড়া আরো অনেক মাধ্যম আছে যে গুলোর মাধ্যমে আপনারা এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারবেন যেমন-

  • হেডিং ব্যবহার করা
  • নম্বর বা বুলেট চিহ্ন ব্যবহার করা
  • এক্সটার্নাল লিংক যুক্ত করবেন
  • সহজ সরল ভাষায় লিখুন
  • বড় আর্টিকেল নয় অল্প ওয়ার্ডের কোয়ালিটি আর্টিকেল লিখুন
  • একাধারে আর্টিকেল লিখবেন না
  • আগে লিখুন তারপরে লেখা সংশোধন করুন, আরো ইত্যাদি।

আরো দেখুনঃ

শেষ কথাঃ

আপনি এখানে জানতে পারলেন, এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম। আপনি যদি উক্ত বিষয় গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনি একজন প্রোফেশনাল কনটেন্ট রাইটার হতে পারবেন।

ট্যাগঃ এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম (জেনে নিন এখানে) এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম (জেনে নিন এখানে)  এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম (জেনে নিন এখানে) এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম (জেনে নিন এখানে) এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম (জেনে নিন এখানে)

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম (জেনে নিন এখানে) এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম (জেনে নিন এখানে)এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম (জেনে নিন এখানে)

আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং এই লেখাটি আপনার ব্যবহার করা যে কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top