অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা : বর্তমান সময়ে আপনি চাকরির পেছনে। ছোটাছুটি করে যদি চাকরি না পায় সে ক্ষেত্রে আপনারা অল্প পুঁজি দিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

তাই আপনি যদি অল্প পুজিতে, লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া খুঁজতে থাকেন। তাহলে সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।

অনেকে ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া খুঁজে থাকে। তাই আজ আমি আপনাদের সাথে এমন কিছু ছোট ব্যবসার বিষয়ে জানাবো। যে গুলো আপনারা অল্প পুজিতে লাভজনক হতে পারবেন।

ছোট ব্যবসা বা ক্ষুদ্র ব্যবসা আমরা এগুলোকে বলে থাকে যে ব্যবসা গুলোতে, অনেক কম টাকা বা পুঁজির দরকার হয়

তবে এটি অবশ্যই মনে রাখবেন যে, অল্প টাকায় আরম্ভ করা ছোট ব্যবসা সব সময় ছোট বা ক্ষুদ্র না থাকতে পারে।

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া
অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া

আপনার ক্ষুদ্র ব্যবসা একদিন অনেক বড় ব্যবসা হয়ে উঠতেই পারে। তবে তার জন্য আপনার নিজের কাজের ওপর মন, কাজ করার ইচ্ছা, অধৈর্য অবশ্যই থাকতে হবে। তাহলে কিন্তু আপনারা ছোট ব্যবসা কে বড় করে নিতে পারবেন।

নিজের একটি ব্যবসা শুরু করা সকলেরই একটা স্বপ্ন বা ইচ্ছা থাকে। তবে বেশির ভাগ মানুষ ব্যবসার স্বপ্নটাই পূরণ করতে পারে না, অল্প টাকার থাকার জন্য।

তার জন্য আমি আপনাদের এমন ছোট ব্যবসার বিষয়ে বলব। যেগুলো আপনি অনেক অল্প পুজিতে শুরু করতে পারবেন।

আপনার নিজের একটি ব্যবসার স্বপ্ন আর স্বপ্ন হয়ে থাকবে না। আপনার হাতে যত টাকা আছে। তা দিয়ে আপনি একটি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন।

তার কারণ অল্প টাকায় কি কি ব্যবসা করা যায়? সে বিষয়ে আমরা বিস্তারিত ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব।

বর্তমান সময়ে আপনি যদি কোন চাকরি করেন। তারপরও আমরা আপনাকে যে দশটি অল্প পুঁজির ব্যবসা সম্পর্কে জানাবো। সে গুলো আপনারা পার্ট টাইম হিসেবে করতে পারবেন।

এছাড়া আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন এবং চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। এখন নিজের একটি ব্যবসা শুরু করতে চান। তবে নিচে দেওয়া ব্যবসার আইডিয়া গুলো দেখে নিন।

আরো পড়ুনঃ

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া

আমরা এখন আপনাকে অল্প পুজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানিয়ে দেবো। যে ব্যবসা গুলো আপনারা শুরু করে ভালো টাকায় লাভ করতে পারবেন।

তাই আসুন জেনে নেয়া যাক। অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া গুলো। যেমন-

01. মোবাইল রিপেয়ারিং ব্যবসা

বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে এবং ঘরে ঘরে স্মার্টফোন রয়েছে। আর এই স্মার্টফোন গুলো অবশ্যই বিভিন্ন কারণে খারাপ বা নষ্ট হয়ে যায়।

তার জন্য আপনি যদি মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজ শিখে একটি ছোট দোকান নিয়ে বসতে পারেন তাহলে আপনি অনেকটাই ইনকাম করতে পারবেন। কারন মানুষ মোবাইল কেনার পরে, মোবাইল যেহেতু একটা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। তাই এটি খারাপ হবেই এবং মানুষ আপনার কাছে আসবেই।

মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজ শুরু করতে আপনার বেশি পুঁজি প্রয়োজন পরবেনা। আপনারা প্রথমে একটি মোবাইল রিপেয়ারিং এর কোর্স করে নেবেন আরে করতে প্রায় তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে।

এই কোর্স করতে আপনার বেশি টাকা খরচ হবে না শুধুমাত্র 2 থেকে 3 হাজার টাকায়। আপনি মোবাইল রিপেয়ারিং এর কোর্স করতে পারবেন। আপনি যদি চান তবে, ইউটিউব এর মাধ্যমে ফ্রিতে মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজ নিজের ঘরে বসেই শিখতে পারবেন।

আপনি যদি মোবাইল রিপেয়ারিং এর ব্যবসা করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি দোকান ভাড়া করতে হবে।

এক্ষেত্রে মনে রাখবেন মোবাইল রিপেয়ারিং এর ব্যবসার জন্য আপনার বেশি বড় দোকানের প্রয়োজন পরবে না। ছোটখাটো একটি দোকান নিয়ে আপনারা মোবাইল রিপেয়ারিং ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন।

এখন আপনাদের প্রশ্ন হতে পারে যে, মোবাইল রিপেয়ারিং শেখার পর। আমি যদি একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাই। তাহলে কত টাকা খরচ হতে পারে।

এই প্রশ্নের উত্তরে আপনাকে জানাবো, আপনি যদি মোবাইল রিপেয়ারিং এর ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনার মাত্র 10,000/- (দশ হাজার) টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

02. ফুলের দোকান ব্যবসা

বর্তমান সময়ে, যে ব্যবসা গুলো দূরত্ব চোখে পড়ে বা তাড়াতাড়ি সাকসেস হয় যেগুলো ইউনিক এবং মার্কেটে খুব কম পরিমাণে আছে এবং এগুলোর চাহিদা অনেক বেশি থাকে।

তার মধ্যে একটি জনপ্রিয় ছোট ব্যবসার নাম হচ্ছে, ফুলের দোকান ব্যবসা। এই সময়ে ব্যবসাটি লোকেরা কম করছেন। তবে এটির চাহিদা অনেক বেশি আছে।

আপনি যদি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফুলের দোকান ব্যবসা শুরু করতে হবে। আর আপনি যদি এই ব্যবসাটি শুরু করতে চান তাহলে মাত্র 5,000 টাকা দিয়েই শুরু করতে পারবেন।

আর যদি মোটামুটি একটু উন্নত করে ফলের দোকান ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে 10 থেকে 20 হাজার টাকা।

03. অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্যবসা

বর্তমান সময়ে আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি, সকলেই বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে অনলাইন শপিং করতে পছন্দ করি। কারণ অনেক অল্প দামে, অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট গুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস পাওয়া যায়।

আপনি যদি মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য, একটি নিজস্ব অনলাইন ওয়েবসাইট তৈরি করেন। তাহলে আপনি ভালো করে মানে টাকা উপার্জন করতে পারবেন অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট তৈরি করে।

আপনি যদি অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু টাকা খরচ করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।

আর কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করবেন সে বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করা রয়েছে আপনি চাইলে সেটি পড়ে নিতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ

04. ব্লগিং ব্যবসা

আপনার যদি নিজের ঘরে বসে অনলাইন বিজনেস করতে চান। তাহলে ব্লগিং ব্যবসা আপনার জন্য অনেক ভালো একটি ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত হবে।

বর্তমান সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ শুধুমাত্র একটি ব্লগ তৈরি করে নিজের ঘরে বসেই, অনলাইন থেকে আয় করছে।

শুধুমাত্র টাকা ইনকাম করা টাই বড় কথা না। কিন্তু আপনি ব্লগিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

আর যদি আপনার ব্লগ মানুষের ভালো লাগে এবং ব্লগ কে যদি সফলতা পায়। তবে আপনি ভাবতেও পারবেন না যে, আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি ব্লগিং করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি ব্লগ খুলতে হবে। আর সেই ব্লগে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখতে হবে সেটি বাংলা বা ইংরেজি।

ব্লগিং আপনি যখন সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারবেন এবং সেগুলো যখন গুগল ছাড়ছে চলে যাবে। তখনি আপনারা, আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন যুক্ত করে অনলাইনে হিউজ পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।

তাই এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে তেমন পুঁজি খরচ করতে হবে না। আপনি যদি অল্প টাকা খরচ করে, একটি ব্লগ তৈরি করেন। তাহলে সারাজীবন সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।

05. ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনলাইন ব্যবসা

বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবথেকে বড় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও, তৈরি করার অভিজ্ঞতা রাখেন তাহলে আপনারা এখানে, ভিডিওগুলো আপলোড করে সহজেই অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।

আর আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ব্যবসা করা শুরু করেন তাহলে আপনার তেমন কোনো পুঁজি খাটাতে হবে না।

তাই আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে, আপনার নিজের একটি জিমেইল একাউন্ট দিয়ে। একটি ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করে নিতে পারবেন। আর সেখানে ভালো ভালো ভিডিও আপলোড করে, আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়া আরো অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলো আপনারা অল্প পুজিতে শুরু করতে পারবেন। আমরা আরো পাঁচটি অল্প পুঁজির ব্যবসার হিডিং আপনাকে দেখিয়ে দিচ্ছি যেমন-

  1. মোবাইল রিচার্জের দোকান ব্যবসা
  2. মনোহারী দোকান ব্যবসা
  3. ফাস্ট ফুড ব্যবসা
  4. প্রিন্টিং স্টোর ব্যবসা
  5. কোচিং সেন্টার ব্যবসা

অবশ্যই দেখুনঃ

সর্বোপরি আমাদের কথাঃ

আপনি যদি চাকরির পেছনে ছোটাছুটি করে চাকরি না পায় সে ক্ষেত্রে আপনারা আমাদের দেওয়া, অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া গুলো অনুসরণ করতে পারবেন।

যার ফলে আপনারা একটি ব্যবসার আইডিয়া বেছে, নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারলে। নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করে নিতে পারবেন।

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া

আমাদের এই ব্যবসার আইডিয়া আপনার কাছে কেমন লাগলো। অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এছাড়া আপনি যদি আরো ব্যবসার আইডিয়া জানতে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top