অনলাইনে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার বাস্তবসম্মত উপায় | ঘরে বসে ইনকাম, লেনদেন প্রক্রিয়া বিকাশে: বর্তমান সময়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা একটি ট্রেন্ডিং বিষয়। এখন কারোরই অজানা নয় প্রতিদিন ঘরে বসে থেকেও অনলাইনের মাধ্যমে হাতে থাকা সামান্য স্মার্টফোন ব্যবহার করেও টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এর জন্য জানতে হবে কিছু টেকনিক সেইসাথে অবশ্যই সেই কাজ করার দক্ষতা ও চেষ্টা থাকতে হবে।
আজকের আর্টিকেলে আমরা অনলাইনে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার বাস্তবসম্মত উপায় আপনাদেরকে সাজেস্ট করব। তাহলে পাঠক বন্ধুরা চলুন জেনে নেই অনলাইনে আপনি কিভাবে প্রতিদিন ১০০০ এর বেশি টাকা ইনকাম করবেন? অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন সেইসাথে আপনাদের মতামত কমেন্ট করে জানাবেন।
অনলাইনে ইনকামের বাস্তবসম্মত উপায়
টাকা কামানোর অনেক অনেক মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে অনলাইন প্লাটফর্ম। অনলাইনের মধ্যে আবার google, facebook, ইয়াহু, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইত্যাদি নানা ভাগ রয়েছে। আর এখন বর্তমানে প্রত্যেকটি মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে।
কিন্তু আপনি অনলাইনে যদি প্রতিদিন হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে চান তাহলে কি কি মাধ্যমে অবলম্বন করতে পারেন? সেটা অবশ্যই জানাবো তার আগে চলুন টাকা কামানোর জন্য ২৭ টি উপায় আগে জেনে আসি।
- শেয়ার মার্কেট
- ফ্রিল্যান্সিং
- Youtube চ্যানেল
- ব্লগিং
- ফ্রিল্যান্স লেখক
- Facebook এড ম্যানেজার
- সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ ম্যানেজমেন্ট
- বিজনেস কনসালটেন্ট
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- অনলাইন কোর্স
- ওয়েব ডিজাইনার
- সফটওয়্যার ডেভলপার
- এন্ড ডেভেলপার
- ডোমেইন নেইম কেনাবেচা
- সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ বিজ্ঞাপন
- ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট
- ফটোগ্রাফার
- গ্রাফিক্স ডিজাইনার
- অনলাইন উপদেষ্টা
- পডকাস্ট
- অ্যামাজন ই-বুক
- সোশ্যাল মিডিয়া সেলিব্রিটি
- ভিডিও এডিটর
- কনটেন্ট creator
- কনটেন্ট রাইটিং
- কর্পোরেট ওয়ার্কশপ
- মডেলিং
এর বাইরেও এমন অনেক অনেক মাধ্যম রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এ পর্যায়ে আমরা অনলাইন থেকে আয় করার ৩০ টি উপায় সম্পর্কে জানব।
অনলাইনে আয় করার জন্য জনপ্রিয় ত্রিশটি উপায়
আপনি যদি অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করতে চান এবং প্রতিদিন ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার কাছে একটি ভাল স্মার্টফোন থাকতে হবে সেই সাথে থাকতে হবে ভালো ইন্টারনেট সংযোগ। আর যদি একটি পিসি থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই। আপনি খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন নিচের এই মাধ্যমগুলো অবলম্বন করে। সেগুলো হচ্ছে,
- অনলাইন কোর্স সেটাপ করে টাকা আয়
- ট্রাভেল রাইটার হিসেবে টাকা উপার্জন
- নিজের একটি পোর্টফলিও তৈরি করে অনলাইন থেকে আয়
- পরামর্শদাতা হিসেবে অনলাইনে ইনকাম
- লিংক ছোট করে অনলাইনে ইনকাম
- ইংরেজি শেখানোর মাধ্যমে উপার্জন
- ইন্টারনেট গবেষণা পরিচালনার মাধ্যমে আয়
- ইমেইল মার্কেটিং থেকে আয়
- ইন্টারনেট রিসার্চ ও সার্ভে কাজ করে আয়
- ট্রান্সক্রাইবিং অনলাইনে আয়
- ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয়
- ই-কমার্স ব্যবসার মাধ্যমে আয়
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়
- ডোমেইন এর মাধ্যমে আয়
- মিউজিক বিক্রি করে আয়
- ড্রপ শিপিং সহ একটা অনলাইন স্টোর তৈরি করে আয়
- পিওডি সাইট থেকে আয়
- সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট করার মাধ্যমে আয়
- ক্লাইন্ট ও কাস্টমার রেফার করে অনলাইনে আয়
- আনকমন পণ্য বিক্রি করে আয়
- ব্লগিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম
- ফেসবুকের মাধ্যমে আয়
- ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে আয়
- গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আয়
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে আয়
- ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে আয়
- এসইও এক্সপার্ট হয়ে আয়
- রিভিউ করে ইনকাম
- কনটেন্ট রাইটিং অথবা কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়
- ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে আয়
- ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আয়।
- পেইড সার্ভের মাধ্যমে আয়
- ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়।
আপনারা যদি এর যে কোন একটি বিষয় আয়ত্ত করতে পারেন এবং প্রফেশনালি কাজ করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই অনলাইনে প্রতিদিন এক হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। এবার চলুন জেনে নেই বর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং অনলাইনের কাজগুলো করতে আপনার কি কি স্কিনের প্রয়োজন পড়বে এবং আপনার কাছে কতটা কঠিন হতে পারে সে সম্পর্কে।
ফ্রিল্যান্সিং অনলাইনের কাজগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় স্কিল
ডিজিটাল মার্কেটিং
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান মানে একজন ডিজিটাল মার্কেটের হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চান তাহলে এটা আপনার কাছে মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকবে। মানে না অনেক বেশি কঠিন মনে হবে না খুব বেশি সহজ। এটি শিখতে মূলত আপনাকে কমপক্ষে এক থেকে দুই বছর সময় ব্যয় করতে হবে। পাশাপাশি কিছু প্রয়োজনীয় স্কিল থাকতে হবে সেগুলো হচ্ছে
- মার্কেটিং স্ট্রেটেজি
- সোশ্যাল মিডিয়া পেইড মার্কেটিং
- কনটেন্ট মার্কেটিং
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
- ইমেইল মার্কেটিং
ভিডিও এডিটিং
আপনি যদি একজন ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে এটা শুরুর দিকে আপনার কাছে বেশ কঠিন মনে হবে। আর এর জন্য কাছে একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থাকলে অনেক বেশি উপকার পাবেন। তবে হাতে থাকা স্মার্টফোন ব্যবহার করেও ভিডিও এডিটিং এর কাজ করা সম্ভব। এর জন্য আপনাকে 6 থেকে 1 বছর সময় ব্যয় করতে হবে। পাশাপাশি স্কিল হিসেবে থাকতে হবে
- ডিজিটাল টেকনোলজির দক্ষতা
- থ্রিডি কম্পোজিশন ও স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহারের জ্ঞান
- সৃজনশীলতা
- ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহারের দক্ষতা
আরও দেখুনঃ
- ফটোগ্রাফি কি ? কিভাবে ফটোগ্রাফার হওয়া যায় | ক্যারিয়ার হিসাবে ফটোগ্রাফি
- রাইড শেয়ারিং থেকে আয় করার উপায় | একটি দক্ষ রাইড শেয়ারিং অ্যাপ তৈরি করবেন যেভাবে!
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ? গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে অনলাইন আয়ের টিপস (নতুনদের জন্য)
- Playstore কি ? এবং প্লে স্টোর অ্যাপস ডাউনলোড কিভাবে করব
কনটেন্ট রাইটিং
আপনি যদি একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে আয় করতে চান তাহলে এটা আপনার কাছে মাঝারি কঠিন হবে। আর এর জন্য আপনার এক বছর সময় লাগতে পারে। কিন্তু স্কিন হিসেবে অবশ্যই আপনার মধ্যে যেগুলো থাকতে হবে সেগুলো হচ্ছে
- শব্দ বাক্য ও ভাষার দক্ষতা
- বাংলা এবং ইংরেজি ভাষার ভোকাবুলারি
- বানান ও ব্যাকরণের দক্ষতা
- লেখার পারদর্শিতা
- মাইক্রোস্কোপ ওয়ার্ড এর দক্ষতা
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চাইলে আপনার ৬ থেকে ১ বছর সময় লাগবে এটি আয়ত্ত করতে আর আপনার কাছে এটা মাঝামাঝি কঠিন মনে হতে পারে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইলে আপনার মধ্যে স্কেল হিসেবে থাকতে হবে
- এডোবি ক্রিয়েটিভ সফটওয়্যার ব্যবহারের দক্ষতা
- কালার থিওরি
- ফন্ট সিলেকশন
- টাইপোগ্রাফি
- সৃজনশীলতা
- এইচটিএমএল কম্পিউটারাইজড স্কেচিং
ওয়েব development
আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হতে চান তাহলে এক্ষেত্রে ছয় থেকে এক বছর সময় লাগবে আর স্কিল হিসেবে থাকতে হবে
- এসইও দক্ষতা
- গেট হাবের ব্যবহার
- সিএসএস এর দক্ষতা
- জাভা স্ক্রিপ্ট দক্ষতা
- টেস্টিং ও ডিবাগিন দক্ষতা
- ব্যাক এন্ড বেসিক
তো ভিউয়ার্স, আজকের আর্টিকেলটি এ পর্যন্তই। আপনাদের মতামত আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন সেইসাথে আমাদের ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো থেকে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত ভিজিট করবেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের সাথে আবারো নতুন টপিকের নতুন কোন আলোচনা পড়বে দেখা হবে। আল্লাহ হাফেজ।
Onek valo laglo