ভিডিও এডিটিং কি? ভিডিও এডিটিং শেখার উপায়

ভিডিও এডিটিং কি? ভিডিও এডিটিং শেখার উপায়ঃ আজকাল জনপ্রিয় স্কিল গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভিডিও এডিটিং, যার কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। যারা অনলাইন সেক্টরে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে ব্যস্ত তাদের জন্য ভিডিও এডিটিং স্কিল খুবই ইউজফুল।

আর এটা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন। তাই আপনি যদি ভিডিও এডিটিং স্কিল টি সম্পূর্ণভাবে আয়ত্ত করতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন।বন্ধুরা আজ আমরা আপনাদেরকে ভিডিও এডিটিং শেখার নিয়ম এবং ভিডিও এডিটিং শেখার বেশ কিছু উপায় জানাবো।

যাদের মাথায় ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব এই প্রশ্নটি বারবার নাড়া দেয় তাদের উদ্দেশ্যেই আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। আসুন জেনে নেই ভিডিও এডিটিং সম্পর্কিত আমাদের আজকের আলোচিত বিষয় সমূহ কি কি?

কিভাবে স্মার্টফোনের ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখা যায়
কিভাবে স্মার্টফোনের ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখা যায়
  • ভিডিও এডিটিং কি?
  • ভিডিও এডিটিং কিভাবে শেখা যায়?
  • ভিডিও এডিটিং এর ভবিষ্যৎ কি?
  • ভিডিও এডিটিং কেন জরুরি?
  • ভিডিও এডিটিং এর জন্য কি কি প্রয়োজন?
  • ভিডিও এডিটিং শিখতে চাইলে কি ধরনের যোগ্যতা লাগে?
  • ভিডিও এডিটিং এর জন্য কি ধরনের দক্ষতার প্রয়োজন?
  • ভিডিও এডিটিং করে কিভাবে আয় করা যায়?
  • ভিডিও এডিটিং এর জন্য জনপ্রিয় সেরা সফটওয়্যার গুলো কোনগুলো?
  • ভিডিও এডিটিং করে কত টাকা আয় করা সম্ভব?
  • ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে কি কি কাজ করা যায় এবং কোথায় কোথায় কাজ পাওয়া যায়?

ভিডিও এডিটিং কি?

ভিডিও এডিটিং হচ্ছে মিউজিক ভিডিও, ভিডিও ফুটেজ কিংবা সিনেমা তৈরি করার জন্য ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ চিত্র এবং শব্দগুলোকে একসঙ্গে যুক্ত করার একটি প্রক্রিয়া, যা সঠিকভাবে অনুভূতিতে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়।

বর্তমান সময়ে ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকসহ ইত্যাদি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে আমরা যে আকর্ষণীয় ভিডিওগুলো দেখে থাকি সেগুলো তৈরি করা হয়ে থাকে ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে। কারণ এই আকর্ষণীয় অর্থাৎ অ্যাট্রাক্টিভ ভিডিও গুলো শুরুর দিকে এমনটা থাকে না।

বিভিন্ন সাউন্ড বিভিন্ন ফটো সেই সাথে বিভিন্ন ছোট ছোট ক্লিপ এড করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয় একটা ভিডিওর মাধ্যমে। আর এখানে যে প্রক্রিয়াটা, যে প্রসেসিংটা অবলম্বন করা হয় সেটাই হচ্ছে ভিডিও এডিটিং এর কার্যক্রম ধারা।

ভিডিও এডিটিং এর প্রক্রিয়াটি যদি আরও সহজ ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করি তাহলে বলা যেতে পারে, ভিডিও এডিটিং হলো সেই প্রক্রিয়া যেখানে একটি সাধারন ভিডিও ফাইল কে কাট, ক্রপ এবং স্পিল্ট ইতালি করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের সাউন্ড ইফেক্ট এলিমেন্টস ইত্যাদি যোগ করে সেই ফাইলটিকে অধিক আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করা।

ভিডিও এডিটিং কেন জরুরি?

এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা জানলাম ভিডিও এডিটিং কি? এখন আলোচনা করব ভিডিও এডিটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ? আমরা যদি একটু লক্ষ্য করি তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবো, অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ভিডিও তৈরির ডিমান্ড ঠিক কতটা! কারণ প্রতিদিন youtube, facebook, instagram– এ এত এত ভিডিও আপলোড করা হয়, যা আমাদের কল্পনাতীত।

আর ঠিক তাই ভিডিও এডিটিং করে খুব সহজেই নিজেদের একটা ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন ভিডিও এডিটিং কেন জরুরি? সত্যি বলতে ভিডিওর সম্পাদনা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি চিত্র এবং শব্দের সংমিশ্রণের মূল চাবিকাঠি, যা আমাদেরকে ইমোশনালি কানেক্টেড করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা যারা বিভিন্ন মিউজিক ভিডিও দেখি অথবা ছোট নাটক বা মুভি দেখে থাকি, তারা খুব সহজেই বুঝতে পারব যে একটি গল্পকে প্রকাশ করার জন্য ভিডিও এডিটিং কতটা জরুরি।

কারণ একজন লেখক অর্থাৎ স্ক্রিপ্ট রাইটার তার লেখায় যে বিষয়বস্তুর ফুটে তুলেছে সেটা সম্পূর্ণই তার ভিজুয়ালাইজেশন এর উপর ডিপেন্ড করে। আর সেই ভিজিওয়ালাইজেশনকে বাস্তবে রূপ দেওয়াটাই হচ্ছে ভিডিও এডিটিং এর কাজ।

কোথায় ইমোশন আছে কোথায় আনন্দ আছে ইত্যাদি এই এডিটিং এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। এখন অনেকেই রয়েছেন যারা ভিডিও এডিটিংকে নিজের সখ হিসেবে দেখেন আবার কিছু কিছু লোক এটিকে বর্তমানে পার্ট টাইম বা ফুল টাইম পেশা হিসেবে নিয়ে থাকেন।

তাই আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে বলা যাবে আপনার একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভিডিও এডিটিং এর জন্য কি কি প্রয়োজন?

আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে চান তাহলে আপনার কাছে অবশ্যই তিনটি জিনিস থাকতে হবে। সেগুলো হচ্ছে

  • একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার
  • ভালো ইন্টারনেট সংযোগ
  • মোবাইল ফোন

অবশ্য ছাড়াও আপনি মোবাইল ফোন ইউজ করেও ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন, কিন্তু এভাবে করাটা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে উঠবে। তাই যদি আপনি প্রফেশনালি এই কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটা ল্যাপটপ কিনতে হবে।

অনেকেরই জানার আগ্রহ থেকে থাকে ভিডিও এডিটিং কম্পিউটারেশন কেমন হবে? এটা মূলত বিভিন্ন ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর উপর নির্ভর করে। তবে আমরা আপনাদেরকে এ পর্যায়ে ভিডিও এডিটিং কম্পিউটার কনফিগারেশন সাজেস্ট করব। তাই কেনার পূর্বে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে পারেন।

1.CPU: Intel core i3 / 15 or AMD ryzens

  1. Motherboard: Supports 32GB or more ram and SATA 3.0 and 2TB-4TB HD
  2. Ram:12GB Minimum 8GB
  3. GPU: 2GB
  4. SSD: 128 GB/256 GB
  5. Hard Disk: 500GB

ভিডিও এডিটিং এর জন্য কি ধরনের যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন?

আপনি যদি একজন ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে আপনার এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব বেশি না হলেও চলবে। আপনার মূলত ব্যক্তিগত দক্ষতার অধিকারী হতে হবে। কারণ অনলাইন প্লাটফর্মে এমন অনেক কাজ রয়েছে যার জন্য শিক্ষাগত কোন যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে না ব্যক্তিগত দক্ষতার উপর নির্ভর করে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।

তবে হ্যাঁ ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করার জন্য যোগ্যতার বিষয়টি প্রতিষ্ঠান সাপেক্ষ হলেও সাধারণত মোশন গ্রাফিক্স বিষ বিষয়ের উপর ব্যাচেলার ডিগ্রী ধারণকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

তবে আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হয়ে নিজের একটা পরিচিতি করে তুলতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আপনি অনেক অনেক কাজের অফার পাবেন সেই সাথে আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে নিজের একটি আলাদা স্থান গড়ে তুলতে পারবেন।

সেই সাথে ভিডিও এডিটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। কারণ আপনি যদি অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন এবং আপনার কাছে প্রফেশনাল দুই থেকে পাঁচটি ভিডিও এডিট করা থাকে। আর সেগুলো আপনি তাদের মানে আপনার ক্লাইন্টেন দেখে খুব সহজে ভাল মানের কাজের অফার পেতে পারেন।

তাই আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা তেমন নাও থেকে থাকে তবুও আপনি অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করে খুব ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে।

ভিডিও এডিটিং শেখার উপায়

এখন কথা হল ভিডিও এডিটিং আমরা কি কি উপায়ে অবলম্বন করে শিখতে পারি? সত্যি বলতে আপনি মূলত বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে যেকোনো সম্পর্কে ধারণা পেতে সাহায্য নিতে পারেন ইউটিউবের। কারণ ইউটিউব এমন একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যেখানে এমন কিছু নেই যেটা আপনি খুঁজে পাবেন না।

তাই আপনি যদি ভিডিও এডিটিং শিখতে চান তাহলে আপনার জন্য বিগ মাস্টার হবে ইউটিউব। তবে এর পাশাপাশি আরো একটি মাধ্যম রয়েছে। আমরা মূলত আপনাদেরকে ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য দুটি উপায় সাজেস্ট করব।

প্রথমতঃ ইউটিউবের সাহায্যে।

দ্বিতীয়ত: বিভিন্ন অনলাইন কোর্স করার মাধ্যমে। সেটা হতে পারে পেইড কোর্স আবার হতে পারে ফ্রি কোর্স।

কিন্তু হ্যাঁ আপনি এই দুটি উপায়ের মধ্যে যেটাই অবলম্বন করেন না কেন আপনাকে সব থেকে বেশি প্রায়োরিটি দিতে হবে প্র্যাকটিস করার বিষয়টিকে। কারণ এক্ষেত্রে আপনি যত বেশি প্র্যাকটিস করবেন তত বেশি শিখবেন এবং আপনার কাজের মান তত উন্নত হবে।

আপনি যদি অতি দ্রুতই ভিডিও এডিট করা শিখতে চান তাহলে নিয়মিত চর্চা করুন। নিশ্চয় শুনেছেন প্র্যাকটিস মেক এ ম্যান পারফেক্ট।

নিয়মিত চর্চা একজন মানুষকে আপনা আপনি পারফেক্ট করে তোলে। তাই নিজেকে একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে নিয়মিত প্র্যাকটিস করুন এবং সমস্যায় পড়লে ইউটিউব এর সাহায্য নিন।

ভিডিও এডিট করার জনপ্রিয় সফটওয়্যার গুলো কি কি?

এবার যে আমরা এখন জানবো ভিডিও এডিট করার জন্য জনপ্রিয় সফটওয়্যার গুলোর নাম। আমরা আপনাদেরকে বাছাই করা কয়েকটি সফটওয়্যার এর নাম উল্লেখ করবো তাহলে চলুন জেনে নেই।

  • এডোবি প্রিমিয়ার প্রো
  • এডোবি আফটার ইফেক্ট
  • লাইট ওয়ার্কস
  • ফাইনাল কাট প্রো এক্স
  • ফ্রিমেইক
  • শর্টকাট
  • ফিল্মোরা
  • কেমন্টাশিয়া
  • অ্যাপেল আই মুভি
  • ব্লেন্ডার
  • ন্যারো ভিডিও
  • ওপেন শর্ট
  • ভিডিও এডিটর
  • হিট ফিল্ম এক্সপ্রেস
  • কাইনমাস্টার
  • পাওয়ার ডিরেক্টর সহ প্রভৃতি।

তবে এই সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে আপনি কিছু সফটওয়্যার ফ্রিতে পেয়ে থাকবেন আর কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চাইলে পেইড করতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top