ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় ও ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে কিভাবে সফল হবেন?

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় আর্টিকেল এ সবাইকে স্বাগতম এবং সবাইকে আমার সালাম, আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে আশা করি আপনারা সবাই আজকে ভালো আছেন।

আজকে আপনাদের মাঝে যে পোস্টটা নিয়ে আসলাম সেটা হল ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শেখা যায় বা ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় নিয়ে। কিন্তু এর কথা বলতে গেলে আগে আসে ইন্টারনেট থেকে কিভাবে আয় করা যায় সে উপায় গুলো। কারণটা খুবই স্বাভাবিক আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে আপনাকে এটা অবশ্যই জানতে হবে কিভাবে আমরা অনলাইন থেকে ইনকাম করে থাকি এবং আপনি কোন বিষয়ের ওপর বা কোন বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন।

হ্যাঁ বন্ধুরা আপনারা চিন্তা করবেন না, আজকে আপনাদের ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় বলবো এবং পাশাপাশি বলব আপনারা কীভাবে এই ফ্রিল্যান্সিং থেকে কি কি উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনাদের জন্য একটা টিপস থাকবে এই পোস্টে আপনারা কিভাবে ফ্রীল্যান্সিংয়ে সফল হতে পারেন সেটা জানিয়ে  দেবো।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং বলতে সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি অন্য আরেকজনের কাজ নিজের ঘরে বসে অফিসে না গিয়ে, কর্মচারী না হয়ে, স্বাধীনভাবে কাজটা করে দেবেন। হঠাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি আপনাকে কাজ দেবে এবং আপনি সেই কাজটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাঁকে করে দেবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করলে কি ধরনের কাজ করতে হয়?

কি ধরনের কাজ করতে হয় এ বিষয়টা আপনাকে আমি একটা উদাহরণের মাধ্যমে বোঝাই,

ধরুন আপনি একজন ভিডিও এডিটর এবং আপনি একটি বাংলাদেশী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি করেন, যার জন্য আপনাকে প্রতিমাসে 50 হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়। আপনি সারাদিন অফিসে থাকেন এবং আবার বিকেলে অফিস থেকে ফিরে এবং এভাবে আপনি আপনার সারাদিনের কাজকর্ম অফিসে শেষ করেন। কিন্তু এই কাজটি আপনি যদি ঘরে বসে করে দেন ওই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি গুলোর তাহলেও আপনাকে ধরুন 50 হাজার টাকা দেওয়া হলো সে ক্ষেত্রে এই কাজটা হবে ফ্রিল্যান্সিং।

সুতরাং আপনি আইসিটি বিষয়ে যে কোন অভিজ্ঞতা অধিকারী হয়ে বাংলাদেশের কোন কোম্পানিতে চাকরি করতে পারেন অথবা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন ব্যাপারটা পুরোপুরি আপনার উপর নির্ভরশীল।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় বা ইনকাম করার উপায় সমূহ:

ওয়েব ডিজাইন:

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় এ ওয়েব ডিজাইনিং শব্দটি আমাদের কাছে একদম নতুন কোনো শব্দ নয়, আমরা সবাই কমবেশি ওয়েবসাইট চালায় এবং সেই ওয়েবসাইট আমাদের কাছে অনেক সুন্দর মনে হয় আসলে। এই ওয়েবসাইট টা এত সুন্দর করে ডিজাইন করে একজন ওয়েব ডিজাইনার।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়

আপনি অবশ্যই দেখবেন amazon.com ওয়েবসাইট একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটি অনেক সুন্দরভাবে ডিজাইন করা আছে, এতে করে অনেক ক্রেতা তাদের পণ্য খুঁজে পেতে সুবিধা হয় এবং ওয়েবসাইট টা দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।

এখন ধরুন আপনাকে বলা হলো amazon.com এর মতো একটা ওয়েব সাইট বানিয়ে দেয়ার জন্য যার বিনিময়ে আপনি পাবেন 3000 ডলার, তাহলে আপনি যদি তার ওয়েবসাইটটা amazon.com এর মত ডিজাইন করে দেন, তাহলে এই কাজটা হবে ফ্রিল্যান্সিং। আর মূলত ওয়েব ডিজাইনাররা এভাবেই ইনকাম করে থাকে।

ওয়েব ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়র জন্য আপনাকে যেসব বিষয় জানতে হবে:

  • এইচটিএমএল
  • সিএসএস
  • জাভাস্ক্রিপ্ট
  • জেকিউরি
  • বুৎস্ট্রপ

আপনি যদি উপরের এই এই কয়েকটা বিষয় ভাল করে শিখে নিতে পারেন, তাহলে আপনি একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারবেন। এবং আপনিও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। এখন বলতেছি আপনি কিভাবে এই জিনিসগুলো শিখবেন শেখার উপায় গুলো হল:

  • ইউটিউব থেকে শেখা
  • বাংলাদেশে অনেক সফল আইটি ফার্ম আছে তাদের থেকে কোর্স করা
  • আপনার আশেপাশে কোন ভাই ওয়েব ডেভলপার থাকলে তার কাছে শেখা
  • ফ্রি ওয়েব ডিজাইনার ওয়েবসাইট থেকে শেখা যেমন w3school.com
  • এছাড়াও রয়েছে codeacademy.com

আমাকে যদি সাজেশন দিতে বলেন, তাহলে আমি বলবো বর্তমানে ইউটিউবে অনেক সুন্দর সুন্দর ওয়েব ডিজাইনের ভিডিও সিরিজ আছে। আপনি চাইলে সেখান থেকে দেখে অনায়াসে ওয়েব ডিজাইন শিখে নিতে পারেন এবং ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। আরেকটা উপদেশও আপনি যদি পারেন, তাহলে আপনি কোন ভালো আইটি ফার্ম থেকে অনলাইন কোর্স করুন।

ওয়েব ডেভলপমেন্ট ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়

আপনারা অনেক শুনেছেন full stack web developer. সো কথাটি মানে হল যারা ওয়েবসাইট ডিজাইন করে তারা শুধু ওয়েবসাইটের বাহিরের অংশটুকু অনেক সুন্দর ভাবে সাজায় কিন্তু ওয়েবসাইটের যে ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ গুলো হয়, সেগুলো সাজায় একজন ওয়েব ডেভলপার, সেটা অনেক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করার মাধ্যমে।

আপনি ওয়েব ডেভলপার হয়ে অনেক ভালো রকমের ইনকাম করতে পারেন, কারন ওয়েব ডেভলপার এর চাহিদা বর্তমান সময়ে অনেক বেশি। এবং অনেক ভালো ভালো কোম্পানি অনেক ভালো ভালো ওয়েব ডেভলপার খুঁজছে তাদের ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দেওয়ার জন্য।

সমস্যা নেই, ওয়েব ডেভলপার যদি না বুঝেন একটু বলে দেই। আপনি ধরুন কোন একটা ওয়েবসাইটে গিয়ে কোনো পণ্য অর্ডার দিচ্ছেন আপনি যা দেখছেন এবং যেভাবে অর্ডার দিচ্ছেন সেটা হল ডিজাইন কিন্তু এই অর্ডারটা উনাদের কাছে পৌঁছেছে এবং সেই অর্ডারটা কনফার্ম হয়েছে এবং আপনার কাছে   পণ্যটা পৌঁছে গেছে। এ যে অর্ডার কনফার্ম হওয়া এবং পিছনের যে কাজগুলো এগুলো করে দেয় একজন ওয়েব ডেভলপার।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ওয়েব ডেভলপমেন্ট শিখার অনেক উপায় আছে, কিন্তু যেহেতু এটা অনেক বড় একটা বিষয় এবং অনেক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ আপনাকে জানতে হয় এর জন্য সুতরাং আমি আপনাদের সাজেস্ট করবো এর জন্য কোন একটি পেইড কোর্স এ ভর্তি হওয়া।

কিন্তু ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর ভেতরে এটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হল ওয়ার্ডপ্রেস আমি বলে দিচ্ছি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে শিখবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস একটি জনপ্রিয় ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর সফটওয়্যার. যাকে CMS ও বলা হয়। অনলাইন বেস্ট এবং server-side কাজ করে, আপনি চাইলে এই ওয়ার্ডপ্রেস ইউটিউব থেকে শিখতে পারেন। তার জন্য অনেক ভালো ভালো ইউটিউব কনটেন্ট আছে।

আপনার জন্য আপনি চাইলে ভারতীয় অনেক কন্টেন আছে যেগুলো আমার অনেক পছন্দ আপনি ওগুলো দেখতে পারেন তার ভিতরে সবচেয়ে জনপ্রিয় বলতে গেলে CodeWithHarry এই নামের একটা ইউটিউব চ্যানেল আছে।

যেখানে আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পূর্ণ শিখতে পারেন এবং ওই চ্যানেলে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর ভিডিও আছে এবং অনেক কিছু শেখানো হয় ওয়েব ডেভলপমেন্ট সম্বন্ধে আপনি চাইলে দেখতে পারেন।

কিন্তু আমি বলব আপনি বাংলাদেশ কোন একটি আইটি ফার্ম থেকে পড়তে জয়েন করেন তাঁর মধ্যে আমার দেখা অনেক ভাল একটি আইটি ফার্ম হল সফটটেক-আইটি।

এছাড়া আপনি যদি একজন ডেভেলপার এর কাছ থেকে শিখতে অনলাইন কোর্স করেন, তাহলে সব থেকে বেস্ট course হবে Hasin Hayder ভাইয়ের।  Hasin Hayder ভাইয়ের কাছ থেকে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট,  এলিমেন্টর উইজেট ডেভেলপমেন্ট, পিএইচপি, জাভাস্ক্রিপ্ট ইত্যাদি অনেক ভাল ভাল course করতে পারেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমি এখানে কোন কোম্পানির বা কোন প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার প্রমোশন করছি না, আমার কাছে যেটা যেটা ভালো লাগে আমি শুধু সেটাই আপনাদের বলছি কেউ অন্য কিছু মনে করবেন না।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে:

  • PHP
  • jQuery
  • Ajax
  • JavaScript
  • Mysqli Database
  • Asp.net
  • etc

আমি এখানে আপনাদের কিছু  জনপ্রিয় ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বললাম। যেগুলো আপনি চাইলে শিখতে পারেন, কিন্তু যারা যারা অন্যান্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো পারেন, আপনি চাইলে অন্য গুলো শিখতে পারেন যেমন যারা পাইথন পারেন, তারা চাইলে পাইথনের Django শিখতে পারেন।

অবশ্য এটা অনেক জনপ্রিয় বর্তমান সময়ের জন্য কিন্তু আমি বলবো যে কোন একটা বিষয়ের উপরে নির্দিষ্ট থাকার জন্য আপনি চাইলে হয়তো পিএইচপি শিখুন না হলে জাভাস্ক্রিট ভালোভাবে শিখুন না হলে পাইথন শিখুন।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়: মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট:

বর্তমান সময়ে মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় এর ভিতর আপনি যদি বলেন গুরুত্বপূর্ণ কোনটি?   

তাহলে আমি অবশ্যই বলবো, ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় এর আর্টিকেলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে আপনার জন্য পারফেক্ট স্কিল। ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় এর অনেক সোর্স ভিতর মোবাইল অ্যাপ ডেভলপমেন্টের অনেক সোর্স আছে।

আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় সম্বন্ধে ঘাটাঘাটি করেন, তারা অবশ্যই মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট সম্বন্ধে বা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর নাম কোন না কোন ভাবেই শুনেছেন। বর্তমান সময়ে এই জিনিসটা অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং আপনারা সবাই জানেন আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এর গুরুত্ব কতটুকু।

আমরা সবাই কমবেশি অনেক অ্যাপস ব্যবহার করি এবং সেগুলো আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা যদি এমন হয় যে অ্যাপগুলো নিজেরা বানাতে পারি এবং অন্য কোন কোম্পানি কে বানিয়ে দিতে পারি তাহলে কেমন হবে?

যেমন ধরুন daraz.com অনেক বড় আমাদের বাংলাদেশের ই-কমার্স সাইট। যারা অনলাইনে অনেক পণ্য বিক্রি করে থাকে। উনাদের একটা অ্যাপস আছে। এইরকম অ্যাপস আপনাকে ডেভলপ করা শিখতে হবে চিন্তা নেই, আপনারা ভাবছেন এই অ্যাপের জন্য কি কি শিখতে হবে এবং কোথা থেকে শিখব আমি সেগুলো বলে দিচ্ছি।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর জন্য আপনাকে যা যা শিখতে হবে:

  •  Java
  • SQL
  • XML
  • Android studio software
  • Web development
  • Etc

এখন বলতে পারেন, এখানে আমি ওয়েব ডেভলপমেন্ট কেন রাখলাম? আসলে web-development সম্বন্ধে আপনাকে ধারণা রাখতে হবে, যদি আপনি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান। কারণ দেখুন daraz.com কিন্তু একটা ওয়েবসাইট কিন্তু এটা বর্তমানে একটা অ্যাপ আছে আপনাকে এসব বিষয়ে অবশ্যই ভালো একটা জ্ঞান থাকতে হবে। কারন একটি ওয়েবসাইটে ডাটাগুলোকে একটি অ্যাপ এ কনভার্ট করতে অবশ্যই API ব্যবহার করতে হয়। সবাই ব্রিলিয়ান্ট অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর এরিয়ার ভিতরে খুব ইম্পর্টেন্ট।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়: ডেস্কটপ সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট:

 ডেক্সটপ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট চেয়ে কিছুটা চাহিদা কম হলেও এই বিষয়ে কিছু না বললেই নয়। বর্তমান সময়ে এর চাহিদা আকাশ ছোঁয়ার মত।

আপনারা যারা যারা ভাবছেন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বাদে আমি উইন্ডোজ বা ডেক্সটপ অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখি, তারা সত্যি কথা বলতে অনেক ভালো রাস্তায় হাঁটছেন। আপনারা অনেকেই ভাবেন যে প্রকৃতপক্ষে যারা কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করে, তারা হয়তো বা এসব অ্যাপ সফটওয়্যার ডেভেলপ করতে পারবে, আমরা পারবো না! আসলে এই কথাটা একদম ভুল। বর্তমান সময়ে এর কোনো ভিত্তি নেই।

আপনি চাইলে আপনার দক্ষতা দিয়ে প্রমাণ করতে পারেন আপনিও একজন সফল অ্যাপ ডেভলপার এবং আপনার জীবন টাকে অনেক সুন্দর ভাবেন গড়তে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়: ডেস্কটপ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর জন্য :

  • C
  • C++
  • Dot net framework
  • Python
  • Ruby
  • Java
  • Etc

এখন যারা এই পোষ্টটি দেখেছেন, তাদের মাঝে যদি কেউ উইন্ডোজ বা উইন্ডোজ সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট করে থাকেন। তাহলে বলবেন, আরে এগুলো কেন? আরও তো অনেক জিনিস লাগে। 

আসলে ছোট্ট এই মস্তিষ্ক দিয়ে যেটুকু জানি সেটুকু আপনাদের মাঝে বলার চেষ্টা করি, আপনারা অবশ্যই একদিন আমার চেয়ে অনেক বেশি জানবেন এবং সেদিন আপনিও বলবেন আরে এগুলো না আরো অনেক বেশি জানে অনেক বেশি জিনিস লাগে।

আসলে সেইদিন আমি সার্থক হব যে আপনারা এখন অনেক কিছু জানেন।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়: গ্রাফিক্স ডিজাইন:

বর্তমান সময়ে এই জিনিসটা নিয়ে কেউ কাজ করে  না বা চিনে না এমন লোক নাই বললেই চলে। একটা কোম্পানি তার ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে তার প্রচারণার দরকার তার বিভিন্ন প্রকার অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করানো দরকার তখন সে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার খুঁজে যাতে করে সে তার ব্যবসার জন্য যেসব ছবি প্রয়োজন সেগুলো সুন্দর করে ডিজাইন করে নিতে পারে।

আপনি জানেন বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ এখন বাংলাদেশে অনেক লোকজন আছে যারা বর্তমান সময়ে অনেক ব্যবসা শুরু করছে এবং তারা চায় তাদের ব্যবসা দ্রুত উন্নতি সাধন করুক। এতে করে তারা ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার খুঁজে, যাতে করে তারা তাদের ব্যবসার বিভিন্ন ছবি লোগো ব্যানার ডিজাইন, অন্য জিনিসগুলো ভালোভাবে নিতে পারে।

আপনি যদি ভেবে থাকেন গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আপনি ফ্রিল্যান্সার হবেন এবং আপনি অনেক টাকা ইনকাম করবেন। তাহলে বলব আপনি ঠিক রাস্তায় হাঁটছেন এবং আপনার সামনে যে ভবিষ্যৎ আছে, সেটা অনেক উজ্জ্বল। আপনাকে পিছে ফিরে তাকাতে হবে না। আমি বলে দেবো এই গ্রাফিক্স ডিজাইন অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় এর ভিতর আপনি কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন।

তার আগে কিছু কথা বলে রাখি, ডিজাইন এর পুরো ব্যাপারটি হলো আপনার আর্ট করার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। আপনি যদি ভাল আর্ট করার অভিজ্ঞতা রাখেন, তবে যেকোনো ধরনের গ্রাফিক ডিজাইন আপনি করতে পারবেন। যদি গ্রাফিক ডিজাইন করার সফটওয়্যার গুলো আপনি শিখে নেন, তাহলে সেই সফটওয়্যার গুলোতে আপনি আপনার কল্পনার ছবিটি একে ফেলতে পারবেন।

গ্রাফিক ডিজাইন করতে হলে যে সফটওয়্যার গুলোর কাজ শিখতে হবে:

  • Adobe Photoshop
  • Adobe illustrator
  • Adobe indesign
  • etc

আপনি যদি এই সফটওয়্যার সম্বন্ধে বা এসব কাজে পারদর্শী হতে পারেন, তাহলে আপনি আপনার মনে থাকা ছবিগুলো আপনি সুন্দর করে ডিজাইন করে আকাতে পারবেন এবং আপনার দক্ষতা প্রমাণ করতে পারবেন।

গ্রাফিক ডিজাইন করার জন্য মূলত উপরে সফটওয়্যার গুলো জানলেই হবে। কিন্তু যদি আপনার কাজের গতি থাকে এবং আপনি যদি চান অনেক তাড়াতাড়ি অনেক বেশি কাজ করার, তাহলে আপনাকে আরো কিছু সফটওয়্যার সম্বন্ধে ধারণা রাখতে হবে। তার ভিতরে কিছু সফটওয়্যার আমি বলে দিচ্ছি:

  • Gimp
  • Xara xtreme
  • Coreldraw
  • Corel photo impact
  • Etc

এখানে আরো অনেক সফটওয়্যার থাকতে পারে কিন্তু আমি যেটুকু জানি আপনাদের সেটুকুই বললাম।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে হলে বাংলাদেশের অনেক গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখানোর জন্য ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আইটি ফার্ম আছে। আপনি চাইলে তাদের থেকে গ্রাফিক ডিজাইন শিখে নিতে পারেন। এছাড়াও ইউটিউব থেকে শেখা যায়। 

কোন কিছু শেখার আগে আপনাকে অবশ্যই কোন না কোন গাইডলাইন এর ভিতর দিয়ে যেতে হবে।  আপনি যদি গাইডলাইন এর ভেতর দিয়ে যেতে পারেন, তাহলে আপনাকে ওই বিষয়টা কষ্ট করে শিখতে হবে না, আপনি অনায়াসে খুব সহজে আনন্দের সাথে বিষয়টা শিখে ফেলতে পারবেন। এবং ওই জিনিসটা আপনার ভালো লাগতে শুরু করবে।

সুতরাং graphic-designer একটি ভাল ক্যারিয়ার রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোনটি আপনি শিখবেন? দেখুন যেটি আপনি সবচেয়ে ভালো পারেন। আপনার যেটা সবচেয়ে ভালো পছন্দের এবং আপনি যেটা সবচেয়ে ভালো বুঝেন, আপনি সেটি শিখুন। এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করব।

গ্রাফিক ডিজাইন
গ্রাফিক ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়: এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন:

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় বা ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

এই বিষয়টি সম্বন্ধে আপনারা অনেকেই জানেন, আর বর্তমানে যতদিন যাবে যত আধুনিকতার ছোঁয়া আমাদের গায়ে লাগবে বা যত ওয়েবসাইট দিনে দিনে বাড়বে ততই SEO জিনিসটা চাহিদা আরো বেশি হয়ে যাবে। কারণ সবাই চায় তার ব্যবসা যাতে মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়ে এবং তার ব্যবসায় অনেক উন্নতি সাধনের জন্য সে তার ওয়েবসাইটের সার্চ রেংকিং নিয়ে চিন্তা করে।

যারা যারা জানেন না সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন(SEO)  জিনিসটা কি! তাদের জন্য একটু বলি, আসলে আপনি যখন একটা ওয়েবসাইট বানান, ধরুন আপনি একটি বাংলা ব্লগ ওয়েবসাইট বানিয়েছেন। আপনি সেখানে বাংলায় অনেক কনটেন্ট লেখেন এবং আপলোড করেন। কিন্তু আপনার এই লেখা গুলো গুগলে ইনডেক্স হয় না বা আপনার লেখাগুলো অনেক লোকের কাছে পৌঁছে না। তখন আপনি চাইবেন, যদি কেউ গুগলে সার্চ দিয়ে সবার প্রথমে আমার এই লেখাগুলো পেয়ে যেত ইস কত ভালো হতো।

গুগোল এ সার্চ
গুগোল এ সার্চ

যেমন: আপনি যদি এখন গিয়ে গুগলে সার্চ করেন online shopping তাহলে দেখবেন সবার প্রথমে ওয়েবসাইটগুলো শো করছে এবং তারা গুগোল রেংকিং এ সবার প্রথমে চলে এসেছে। কারন তারা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করেছে।  

বাংলাদেশে অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তবে online shopping লেখার পর দেখেন দারাজ প্রথম এসেছে।  তার মানে দারাজ online shopping কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করেছে।

হ্যাঁ, এই কাজটা করার জন্যই সবচেয়ে বড় উপায় হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, যেটা আপনাকে করে দিতে পারে যারা এসইও এক্সপার্ট বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার যারা আছেন। তাহলে ভাবুন আপনি যেহেতু এই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছেন, তাহলে যারা ব্যবসা করছে তাদের কাছে এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু বেশি?

সুতরাং আপনি যদি চান সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন জিনিসটা শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন, তাহলে আমি বলব খুব ভালো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় এর ভেতরে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন খুবই জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়।

এবং এটা অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা পার্ট হিসেবে ধরা হয়ে, থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্বন্ধে আমি আপনাদের পরবর্তীতে বিস্তারিত ইনশাআল্লাহ বলবো।

  • Keyword research
  • Keyword analyze
  • SEO tracking
  • Link building
  • Google traffic
  • Google AdWords
  • On page SEO
  • Off page SEO
  • Technical SEO
  • Website speed
  • Backlink
  • Content optimization
  • Modifier and extenders
  • Etc

আমি যে বিষয়গুলো জানি তার ভিতরে এই জিনিসগুলো সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে। ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়  যারা এই আর্টিকেলটি পড়তেছেন, তাদেরকে আমি বলব সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার হিসেবে কাজ করতে পারেন।

সত্যি কথা বলতে ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় অনেক আছে, আপনি চাইলে আমি আপনার সামনে হাজারো উপায় গড়াগড়ি দিতে পারি, কোন স্কেলে কাজ শিখব? সিদ্ধান্ত নেওয়া আপনার নিজের উপর। আপনি যদি চান, ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের ভালো করবেন, তাহলে আপনি চাইলে সেটা করতে পারেন,  এর জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার পছন্দের স্কিনের উপর কাজ শিখতে হবে।

সুতরাং উপরের বিষয়গুলো জানলে আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে এ ধরণের কাজের চাহিদা এবং বর্তমান সময়ে এর চাহিদা অনেক রয়েছে। আপনি যদি একটু খেয়াল করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন বর্তমান ওয়ার্ল্ডে কোটি কোটি ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলোর মালিকরা চায় তাদের ওয়েবসাইট প্রমোশন করানোর জন্য। আর যার জন্য ওয়েবসাইটগুলো মার্কেটিং এর প্রয়োজন হয়ে থাকে, ভিজিটর বাড়ানোর জন্য।

বাংলাদেশ এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখানোর জন্য অনেক বড় ভাইয়েরা আছে, যাদের কাছ থেকে আপনি অনায়াসে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন জিনিসটা শিখে নিতে পারেন। আপনাকে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য প্রথমত কিছু টাকা দিতে হতে পারে। কিন্তু আপনি বিশ্বাস করুন, আপনি যে ফিল্ডে বা যেখানে এসে কাজ করতে যাচ্ছেন, এইখানে যদি আপনি একবার সফল হতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হবে না। আপনি শুধু দেখবেন আপনার কোন জায়গায় কি দরকার হচ্ছে এবং আমার ঘাটতিটা কোন জায়গায় রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়: ডাটা এন্ট্রি জব:

আজকাল অধিকাংশ মানুষ ডাটা এন্ট্রি কাজ করে বা কাজ করতে খুবই আগ্রহী, কারণ এই কাজটি অনেকটা সহজ। ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় এর ভিতরে যদি সহজ কোন উপায় থাকে আমি বলব সেটা একমাত্র ডাটা এন্ট্রি। এর চেয়ে সহজ বিষয় আমার মতে আর দ্বিতীয় টা হয় না।

আসলে কিছু কথা শুনতে খারাপ লাগলেও কথাগুলো বলতে হবে কারণ বর্তমানে ডাটা এন্ট্রি যারা করতে চাচ্ছেন বা যারা ভাবছেন যে আমি ডাটা এন্ট্রি করতে চেয়েছিলাম ডাটা এন্ট্রি করে ফিলান্সিং করতে চেয়েছিলাম আসলে তাদের জন্য কিছু কথা বলি,

দেখুন বর্তমান সময়ে ডাটা এন্ট্রি এই কাজটি দেওয়ার জন্য যে লোক প্রয়োজন তার চেয়ে করার জন্য লোক অনেক রয়েছে। অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি ডাটা এন্ট্রি এই জায়গায় আপনি অনেক প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যাবেন, যেটা আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারটাকে অনেক বেশি হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

আপনাকে অনেক বড় বড় ডাটা এন্ট্রি লোকজনের সাথে প্রতিযোগীতায় নামতে হবে। এই ফিল্ডে কাজ করার লোকের অভাব নেই, কিন্তু আপনি যদি সঠিকভাবে সঠিক পন্থা অবলম্বন করে কাজ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি সফল হতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি
ডাটা এন্ট্রি

যেসব বিষয়গুলো আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে এই ডাটাএন্ট্রির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আমি সেসব বিষয়গুলো আপনাকে সংক্ষেপে বা যেটুকু আমি জানি সে বিষয়ে নিচে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করছি:

  • Microsoft word
  • Microsoft excel
  • Microsoft PowerPoint
  • Sharp knowledge of using Email
  • Fast typing speed
  • Sharp knowledge of computer Operating
  • Google Drive 
  • Google docs
  • Information collection
  • Website registration
  • Searching various things
  • Etc

ডাটা এন্ট্রি জব করতে গেলে এসব বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকলেই হবে, এছাড়াও আপনি চাইলে আরো বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে পারেন যেগুলো আপনার অনেক বেশি করে কাজে লাগবে।

সফলতার জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটা হল আপনার ধৈর্য। আপনি যদি এই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের আপনার ধৈর্যকে  ফিরিয়ে না রাখতে পারেন, তাহলে আপনি এতে কোনোভাবেই সফল হতে পারবেন না।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়: সিপিএ মার্কেটিং

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটা ইনকামের উপায় সেটা হল সিপিএ মার্কেটিং। আপনি যদি বলেন যে ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় এর ভিতর ডাটাএন্ট্রির পরে কোনটা সহজ আছে, আমি বলব সিপিএ মার্কেটিং করা।

সিপিএ মার্কেটিং টা হল এমন একটা মার্কেটিং করে ইনকাম করার সাইট, যেটাতে আপনি অফার প্রমোশন এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। মূলত আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করতে হবে এবং সেই কোম্পানির অফার গুলো আপনাকে নির্দিষ্ট দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে হবে, যাতে করে তারা এই অফারটা দেখে এবং আপনি যেটা চান সেটা তারা দেয় মূলত কোন একটা কার্য সম্পন্ন করা।

যেমন উদাহরণ হিসেবে বললে, ধরুন আপনি এমন একটি সিপিএ নেটওয়ার্কের সাথে কাজ করছেন যারা আপনাকে একটি লিঙ্ক দিয়ে বলল এই লিংকটিতে যে কয়েকজন তার ই-মেইল সাবমিট করবেন। আপনি প্রত্যেকটি সামিটের বিনিময় কিছু পরিমাণ ডলার পাবেন 

আসলে মূলত সিপিএ মার্কেটিং গুলো এভাবে হয়ে থাকে, এছাড়াও বিভিন্ন প্রোডাক্ট রয়েছে যে প্রোডাক্ট গুলো প্রমোশন করতে হয় এবং সে প্রোডাক্ট গুলো যদি বিক্রি করতে পারেন, তাহলে আর সেই প্রডাক বিক্রির কিছু অংশ আপনাকে দেওয়া হবে।

এটা এত বেশি কোন কাজ নয় আপনি চাইলে, ইন্টারনেটের কিছু ফ্রী টুল ব্যবহার করে এই সিপিএ মার্কেটিং করতে পারবেন। এর জন্য আপনি ইন্টারনেট থেকে বা ইউটিউব থেকে যদি ভিডিও দেখে শিখতে চান, তাহলে অনায়াসে খুব সুন্দর ভাবে এই সিপিএ মার্কেটিং শিখে নিতে পারবেন।

কোন বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটের সিপিএ মার্কেটিং করতে পারবেন এবং সিপিএম মার্কেটের হিসেবে আপনি ওই ওয়েবসাইটে কাজ করতে পারবেন ওয়েবসাইটের লিঙ্ক আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ভিজিট করে একাউন্ট খোলার মাধ্যমে মেম্বার হতে পারবেন। এবং কাজ করতে পারবেন।

সিপিএ মার্কেটিং করার কিছু টিপস আপনাদের দিচ্ছে সিপিএ মার্কেটিং করতে গেলে আপনাদের নিজের ব্র্যান্ড আগে অর্থাৎ নিজের মস্তিষ্ককে একটু ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে।

ধরুন আপনাকে বলা হলো আপনি কানাডার স্কুল শিক্ষার্থী যারা আছে, তাদের কাছে একটা লিংক প্রমোশন করবেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভাবতে হবে বা আপনাকে জানা থাকতে হবে। কিভাবে আপনি সেই কানাডার স্কুল শিক্ষার্থীদের ইমেইল একাউন্ট বা তাদের খুঁজে পাবেন এত বড় ইন্টারনেট জগতের ভিতরে।

তো চিন্তা করবে না এসব বিষয় নিয়ে কোন চিন্তা নেই। এসব বিষয়ে আপনারা অবশ্যই ইউটিউবে ভিডিও দেখে অনায়াসেই নিতে পারবেন।

নিচে সিপিএ মার্কেটিং করার জন্য যেসব গুরত্বপূর্ন ওয়েবসাইট যেগুলোর মাধ্যমে আপনি সিপিএ মার্কেটিং হিসেবে জয়েন করতে পারেন আমি সিলিং গুলো নিচে দিচ্ছি:

  • MaxBounty.com
  • Clickboot.com
  • Cpalead.com
  • Cpatrend.com
  • Adworkmedia.com
  • Globalwidemedia.com
  • Peerfly.com

আপনারা এই ওয়েবসাইটগুলোতে নিয়ম মেনে কাজ করবেন এবং সব নিয়মাবলী ওয়েবসাইটগুলোতে দেওয়া আছে খুব সুন্দর ভাবে আপনারা খুব সুন্দর ভাবে ওয়েবসাইটগুলোতে একাউন্ট খুলবেন এবং কাজ করা শুরু করবেন। যদি কোন হেল্প লাগে অবশ্যই আপনি ইন্টারনেটে সহায়তা নিবেন। আর আপনাদের বলে রাখি ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় একটা বন্ধু হলো গুগোল। আপনি যেকোন বিপদে পড়বেন দেখবেন গুগলকে বলবেন সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ৮টি গোপন রহস্য যা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়: ক্যারিয়ারে কিভাবে সফল হবেন ?

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় : হ্যাঁ বন্ধুরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা  প্রশ্ন যেটা সবচেয়ে বেশি আমি পেয়ে থাকি এবং সবার মনে এটা অনেক বড় একটা  প্রশ্ন থাকে যে, ফ্রিল্যান্সিং করছো সফল হতে পারবে, তার গ্যারান্টি কি,

 তখন নিজেকে প্রশ্ন করেন, আসলেই তো ফিলান্সিং ক্যারিয়ারে কিভাবে সফল হব? কি কি করলে আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার আরো সুন্দর স্বাবলম্বী হবে?

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়: নিজের উপর আস্থা রাখা হাল ছেড়ে না দেওয়া:

দেখুন কথাটা শুনতে একটু অন্যরকম মনে হলেও এটাই বাস্তবতা আপনাকে এটা মেনে নিতেই হবে। কারণ নিজের ওপর থেকে আস্থা টা আপনি সরাতে পারবেন না। দেখুন ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনার মত অনেকেই আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং শিখে অনেক টাকা ইনকাম করতে চায়।

কিন্তু তারাও অনেক ভালো অভিজ্ঞ, আপনার মত অনেক ভালো জ্ঞান তাদের আছে ।যার মাধ্যমে তারা অনেক ভালো কিছু করতে পারবে। কিন্তু এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আপনাকে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। আপনাকে সে জায়গা থেকে কোনপ্রকার অবহেলা বা কোন প্রকার কমতি থাকা চলবে না।

হঠাৎ আমি বলতে চাচ্ছি আপনি উনাদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামলে আপনি যাতে টিকে থাকতে  পারেন, সেরকম মন মানসিকতা আপনাকে অর্জন করতে হবে। নিজের উপর থেকে বিশ্বাসটা কোন সময় হারাবেন না। 

যেদিন সফল হবেন সেদিন বুঝবেন যে, হ্যাঁ সেদিন যদি আমি  হাল ছেড়ে দিতাম আজকে এই অবস্থায় আসতে পারতাম না। আসলে ভালো জিনিসের মূল্য কেউ দেয় না সেটা আপনি হোক বা আমি। কিন্তু বিশ্বাস করুন এই ভালো জিনিসই একদিন সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছে যায়।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় এ সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করা:

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়: আপনি যদি একটা বড় ভাইকে বলেন, ভাইয়া কিভাবে কি করব বল ভাই দেখবেন অনেক রকমের কথা বলবে। দেখবেন হয়তোবা আপনাকে অনেক সুন্দর গাইলেন দেবে বা আপনাকে বিপদে ফালানোর চেষ্টা করবে।

আমি বলব যে কোনো একজনের গাইডলাইন অনুসরণ করুন এবং তার কথা অনুসারে আপনি চলুন।  অনভিজ্ঞ জনের গাইডলাইন অনুসরণ না করাটাই ভালো কারণ বিষয়টা আপনিও বুঝবেন যখন আপনি এই বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞ হয়ে আপনি কাউকে গাইডলাইন দেবেন।

এখন বলতে পারেন ভাইয়া আপনি যে বলছেন আপনি কি এত অভিজ্ঞ আপনার  গাইডলাইন কেন ফলো করবো?

 আমি একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার এবং আমি গত তিন বছর যাবৎ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করে আসতেসি। গুগলে আমাকে websoriful নামে পাবেন।

 তারপরও  আমি বলছিনা আমার গাইডলাইন ফলো করতে, আমি শুধু আপনাদের রাস্তাটা বলে দিলাম। হাঁটার দায়িত্ব আপনাদের। হাঁটার সময় যদি কোন সময় আটকে যান, কোন সময় হোচট খান, তাহলে  আমি আছি। আপনার সাহায্য করার জন্য সব সময় পাশে থাকব কিন্তু আপনাকে এটুকু গ্যারান্টি দিতে হবে আপনি সেই রাস্তায় সামনে না এগিয়ে পিছনে ফিরে আসবেন না।

আপনার নিজেকে কোন সময় আপনি ছোট ভাববেন না। আপনি যা পারেন সেটা অন্য কেউ পারে না, এ বিশ্বাস নিজের মনের ভিতরে রাখবেন। মনে রাখবেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এত কষ্ট করে লেখা অনেক কবিতা গল্প রাস্তার ফুটপাতে 10 থেকে 15 টাকা করে বিক্রি হয়, সেইখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূল্যটা কতটুকু একটু ভাবুন তো। কিন্তু একজন পাঠক সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বইটা নিয়ে এসে অনেক কষ্ট করে পড়ে কেন! 

ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় আর্টিকেলে আমি এটা দ্বারা এটাই বুঝাতে চাচ্ছি আপনাকে সঠিক জায়গায় যেতে হবে। যেখানে আপনাকে আপনার সঠিক মূল্য টা দেওয়া হবে। সুতরাং আপনি ভালো করে নিজের দক্ষতা অর্জন করুন দেখবেন আপনাকে সবাই মূল্য দিচ্ছে আপনাকে পিছে ঘুরে তাকাতে হবে না।

সুতরাং ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় আর্টিকেলে বন্ধুরা অনেক কথা বললাম, যদি আমার কথায় ভুল পেয়ে থাকেন অবশ্যই ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন। ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় এই বিষয়ে যতটুকু জানি আপনাদের বলার চেষ্টা করলাম এবং আপনারা যদি আমার চেয়ে বেশি জানেন অনেক ভাল। আপনারা সেটা সঠিক উপায়ে কাজে লাগান এটাই চাইবো এবং আপনারা হাল ছেড়ে দিয়েন না। লেগে থাকুন সফলতা একদিন আসবেই ইনশাআল্লাহ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top