সেরা 10 টি অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

আসলামুআলাইকুম সবাইকে, আশা করছি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আমি অনেক ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আর সেটা হলো অনলাইনে ইনকাম করার উপায়।

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এই সম্পর্কে যত বলি, বলা শেষ হবে না। ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে বড় একটা পার্ট অনলাইন থেকে ইনকাম মূলত ফ্রিল্যান্সিং এর সমার্থক শব্দ বললেও ভুল ধরা যায় না।

আজকে আপনাদের মাঝে এই অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে অনেক কিছু বলবো এবং আপনারা কীভাবে এ উপায়গুলো কাজে লাগিয়ে প্রতিমাসে অনায়াসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারেন সেই বিষয়ে আপনাদের বলব। তাহলে চলুন বেশি কথা না বলে শুরু করা যাক আমাদের আজকে নতুন টপিক অনলাইনে ইনকাম করার উপায়।

আমরা এখানে অনেকগুলো টপিক নিয়ে আলোচনা করব অর্থাৎ অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এর টপিকগুলো পর্যায়ক্রমে বলার চেষ্টা করবো এবং সেটা কিভাবে আপনি সঠিকভাবে করবেন এবং কোথা থেকে শুরু করবেন সেই বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কথা প্রত্যেকটা পয়েন্টের শেষে বলা থাকবে।

মার্কেটিং করে ইনকাম:

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে মারকেটিং এক নাম্বার।মার্কেটিং এর আন্ডারে SEO থেকে শুরু করে ফেসবুক এড দেওয়া, এফিলিয়েট মার্কেটিং সহ যাবতীয় সকল প্রমোশনের কাজ  রয়েছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন মার্কেটিং অনলাইন ইনকামের উপায় গুলোর মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে। 

মার্কেটিং শব্দটি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এর ভিতরে অনেকটা জনপ্রিয়। বর্তমানে আপনি চাইলে আপনার হাতের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে আপনার মার্কেটিং করতে পারেন। মারকেটিং বলতেন যে বিষয়টা আমি বুঝাতে চাচ্ছি সেটি হল কোন একটা প্রোডাক্ট বা কোন একটা অফার প্রমোট করা বা অন্য কোন কোম্পানির আন্ডারে কাজ করে তাদের কোম্পানির অফার গুলো সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছানো।

আপনার হাতের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। আমাদের বাংলাদেশে এমন অনেক ছোটখাটো কোম্পানি আছে যারা  ভালো স্কিলফুল ডিজিটাল মার্কেটের খোঁজে। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার মাধ্যমে তাদের কোম্পানিতে জয়েন করতে পারবেন।  অথবা নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ওপেন করতে পারেন, অথবা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

এখন বলতে পারেন, কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখা যায়? অর্থাৎ কিভাবে আমি মার্কেটিং এ পারদর্শী হব?

আপনি চিন্তা করবেন না। আপনি যে কোম্পানির সাথে কাজ করবেন ওই কোম্পানি থেকে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখিয়ে তারপর তারা কাজে আপনাকে জয়েন করাবে সুতরাং আপনাকে কোন চিন্তা করতে হবে না আমি আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওই কোম্পানির সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি সেই কোম্পানির নাম বলে দিচ্ছি খুঁজে নেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের।

সবচেয়ে জনপ্রিয় আমার জানামতে ডিজিটাল কোম্পানি হলো- টেকবন্ট আইটি ।

আপনারা চাইলে টেক বন্ড আইডিতে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। তাদের ফেসবুক পেইজ আছে আপনারা চাইলে তাদের ফেসবুক পেজ এ যোগাযোগ করতে পারেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এখানে কোন কোম্পানিকে প্রমোট করা হচ্ছে না। কেউ আবার অন্য কিছু ভাববেন না।

এছাড়াও অনলাইনে ইনকাম করার উপায় মার্কেটিং করে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি খুব সহজেই এই মার্কেটিং দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এর ভিতরে freelancer.com fiverr.com. আপনি চাইলে এগুলোতে ডিজিটাল মার্কেট হিসেবে জয়েন দিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

সেজন্য আপনি ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে শিখতে পারেন। কিভাবে আপনি এসব সাইটে একাউন্ট খুলবেন এবং সেখানে কাজ করবেন ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে।

ছবি তুলে ইনকাম করা:

বন্ধুরা আকাশ থেকে পড়ছেন মনে হচ্ছে, আসলে আকাশ থেকে পড়ার মত কোন কিছুই হয়নি। এখন বর্তমান সময়ে আপনি চাইলে আপনার হাতের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার ছবি তোলার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে আয় করার উপায় এর সবচেয়ে সহজ উপায় গুলো ছবি তুলে ইনকাম করা যারা কোন কিছু বিষয়ে দক্ষ নন, যারা কোন কিছুই জানেন না নতুন এই জগতে এসেছেন তাদের কে ছবি তুলে ইনকাম করার অনেক বড় একটা সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছি আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে।

চিন্তা করবেন না আমি বলে দিচ্ছি কোন কোন ওয়েবসাইটে আপনারা ছবি তুলে সেগুলো সাবমিট করার মাধ্যমে এবং সেখান থেকে একটা ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এ যেসব ওয়েবসাইটে ছবি তোলার মাধ্যমে ইনকাম করা যায় সেসব ওয়েবসাইটের নাম গুলো হল:

  • Adobe stock
  • Foad
  • Alamy
  • Shutter stock
  • Ect

এসব ওয়েবসাইট আমার জানামতে অনেক ভালো ওয়েবসাইট। আপনি এখান থেকে খুব ভালো মানের একটি উপার্জন করে নিতে পারবেন ফটো সাবমিট করার মাধ্যমে। এছাড়াও ভারতীয় একটি অনেক জনপ্রিয় সাইট আছে আপনি চাইলে যে সাইট সম্বন্ধে ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারেন। এবং এখানে ইনকাম করার জন্য কোন প্রকার দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। আপনি চাইলে এখানে শুধুমাত্র ইউটিউব এর ভিডিও গুলো দেখে ফটো সাবমিট করে নিয়ম অনুসারে কাজ করবেন, তাহলে অবশ্যই এখানে সফল হতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম:

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এর ভিতরে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থাকবে না, তাহলে মনে হবে চিনি ছাড়া চা খাচ্ছি। আসলে বিষয়টা এমনি অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপায় হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে সবাই কমবেশি ধারণা পেয়েছেন এবং অনেকে হয়তো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন।

এ বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই কিন্তু যারা জানেন না একটু করে বলে রাখি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অন্যের প্রোডাক্ট আপনি নিয়ে সেটা সেল করবেন এবং তার বিনিময়ে আপনি ওই প্রডাক্ট যে টাকায় বিক্রি হয় সেখান থেকে কিছু টাকা কমিশন পাবেন।

বাংলাদেশে রয়েছে daraz.com যেটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট। আপনি চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পার্টনার প্রোগ্রাম এ জয়েন হতে পারেন। এখানে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন কেননা daraz.com এখন বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় এবং সবাই এখান থেকে অনেক পণ্য কিনছেন আপনি পণ্যগুলো অন্যজনের কাছে প্রমোট করার মাধ্যমে খুব সহজেই এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন ।এর জন্য কোন প্রকার দক্ষতা প্রয়োজন হয় না।

তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে বেশি অনলাইনে ইনকাম করার উপায়  মধ্যে আপনাকে অবশ্যই বড় প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে হবে। যেমন আলিবাবা, অ্যামাজন, আলীএক্সপ্রেস ইত্যাদির মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা। তবে সব থেকে বেশি ইনকাম করতে পারবেন ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করে। যেমন কোন সফটওয়্যার, কোন themes, plugins, domain ডোমেইন-হোষ্টিং ইত্যাদি 

আপনাকে ইনকামের উপায় বলে দিচ্ছি। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের একটি ওয়েবসাইট  থাকতে হবে। কোন প্রোডাক্ট ও সার্ভিস সম্পর্কে খুব ভাল কনটেন্ট দিয়ে প্রোডাক্ট রিভিউ করবেন এবং অবশ্যই সঠিক ইনফরমেশন তুলে ধরবেন। দেখবেন সেখান থেকে আপনার আর্টিকেল পড়ে  ভিজিটররা ক্রয় করবে এবং এখান থেকে আপনি কিছু কমিশন পাবেন। 

আপনারা যদি চান যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আমি বাংলাদেশের কোন ওয়েবসাইটের সাথে করবো না তাহলে আমি দ্বিতীয়তঃ যার কথা বলব সেটা হল amazon.com এবং alibaba.com আপনারা চাইলে এরকম জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন amazon.com অনেক জনপ্রিয়।

পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট হিসেবে ধরা হয় amazon.com কে প্রতিদিন হাজার হাজার লাখ লাখ পণ্য এই amazon.com থেকে বিক্রি হচ্ছে এবং সেটা কিনছে সারাবিশ্বের প্রান্ত থেকে অনেক মানুষ। সুতরাং আপনি চাইলে এখান থেকে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন কেননা আপনার সামনে এত বড় একটা প্লাটফর্ম রয়েছে যেখান থেকে অনেক লোক পণ্য প্রতিদিন কিনছে সুতরাং আপনার কাজ হবে শুধুমাত্র প্রমোট করা।

এখন বলতে পারেন ভাইয়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে আমরা বর্তমানে শুরু করতে পারি? বা এর জন্য কি কি করতে হবে?

আপনি যদি দেশের বাহিরে অর্থাৎ amazon.com এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে আমি আপনাকে বলব একটি ব্লগার ওয়েবসাইট খুলে নিন যেখানে আপনি এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে আপনার পণ্যগুলো প্রমোট করবেন।এই বিষয়ে আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারেন একটি অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয় blogger.com থেকে।

এছাড়া যারা ওয়েব ডিজাইন বা ওয়েব ডেভলপমেন্ট এই বিষয়ে আগ্রহ আছে বা এই বিষয়ে জানেন তারা সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি এফিলিয়েট ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

আর এখান থেকে পেমেন্ট নিয়ে কোন প্রকার প্রবলেম হবেনা কারণ ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যারা amazon.com এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে কাজ করছে এবং তারা বর্তমানে অনেক সফল। সুতরাং আপনি কোন প্রকার চিন্তা ছাড়াই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ৮টি গোপন রহস্য

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি

ইমেইল মার্কেটিং করে ইনকাম করা:

আসলে ইমেইল মার্কেটিং করে ইনকাম করাটা অনলাইনে ইনকামের উপায় এর ভিতরে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় আসলে এটার সাথে অনেকটা জড়িত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা আপনি যদি সিপিএ মার্কেটিং করেন তাহলে সেটাও এই ইমেইল মার্কেটিং এর সাথে জড়িত রয়েছে।

ধরুন আপনি একটা প্রোডাক্ট নিয়েছেন এবং সেটা আপনি আমেরিকার লোক গুলোর কাছে পৌঁছাতে চান। আপনাকে যদি আমেরিকায় 200 জন লোকের ইমেইল এড্রেস দেওয়া হয় তাহলে আপনি সেই ইমেইল এড্রেসে এই প্রোডাক্ট এর লিংক এবং ছবি পাঠিয়ে তাদের বলতে পারেন এ প্রোডাক্ট কেনার জন্য। যেহেতু তারা সচারাচর amazon.com বা ইন্টারন্যাশনাল সাইট থেকে এসব পণ্য কিনে থাকে সুতরাং অনেকটুকু সম্ভাবনা থাকে আপনার লিংক থেকে তারা প্রোডাক্টটা কিনবে। কিন্তু এই সম্ভাবনাটা একমাত্র তখনই সম্ভব যখন আপনি ইমেইল এর মাধ্যমে আপনার এই লিংকগুলো পাঠাবেন এবং এই প্রক্রিয়াটা কে বলা হয় ইমেইল মার্কেটিং।

এর জন্য আপনা অনেক পরিমান ইমেইল দরকার। এবং সব ইমেইলগুলো যাতে সঠিক হয় সেই বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনি কিভাবে ইমেইল জোগাড় করবেন সে বিষয়ে ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে আপনি চাইলে অনায়াসে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন কিন্তু মূলত এই ইমেইল গুলো সংগ্রহ করার জন্য আমরা বিভিন্ন প্রকার সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট গুলো ব্যবহার করে থাকি।

তার মধ্যে জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্ক সাইট টা হল টুইটার, ফেসবুক ইত্যাদি।

এখন বলতে পারেন ভাইয়া ইমেইল তো পেয়ে গেলাম তাহলে ইমেইল গুলো পাঠাবো কি করে এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট হলো মেইল চ্যাম্প mailchimp.com আপনি ইমেইল চাম্বের মাধ্যমে অনায়াসে ফ্রিতে অনেক মেইল পাঠাতে পারবেন একসাথে।

এতে করে আপনার বেশি একটা কষ্ট হবে না আপনি খুব সহজেই আপনার ইমেইল মার্কেটিং কাজ টা চালিয়ে দিতে পারবেন।

উপায় বলে দিলাম এবং সব প্রন্থা আমি বলে দিলাম সুতরাং এখন কাজ করার দায়িত্ব আপনাদের।

ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট:

বর্তমান সময়টা হল আপনি যে কোন একটা ব্যবসা শুরু করতে চান বা

 কি করবেন ভাবছেন তাহলে আপনাকে প্রথমেই ভাবতে হবে একটি ওয়েব সাইট নিয়ে কারণ এই ব্যবসায় একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন। ভেবে দেখুন তো বাংলাদেশের এমন ফটো কোম্পানি আছে যারা নতুন কোম্পানি শুরু করার উদ্যোগ নিচ্ছে, আপনি বলবেন ভাইয়া এর সংখ্যা টা অনেক বেশি। হ্যাঁ আসলে সত্যি এ সংখ্যাটা অনেক বেশি তাহলে ভাবুন আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু। নিঃসন্দেহে বলতে পারেন সেটা অনেক বেশি হবে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এই বিষয়টা শিখে নিতে হবে খুব ভালোভাবে যাতে করে আপনি ওই কোম্পানির জন্য খুব অনায়াসেই ওয়েবসাইট বানিয়ে দিতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য আপনাকে কোন না কোন ফ্রি পন্থা বা পেইড প্রন্থা অবলম্বন করতে হবে অর্থাৎ আপনি চাইলে এই জিনিসটা বিনামূল্যে শিখতে পারেন যেটাতে আপনার অনেক সময় লাগবে এবং আপনার অনেক ধৈর্য লাগবে। কিন্তু আপনি চাইলে এটা অনেক সহজে শিখতে পারেন তার জন্য আপনাকে কিছু পরিমাণ টাকা দিয়ে হয়তো কোর্স এ জয়েন হওয়া লাগতে পারে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এর ভেতরে একটি উপায় অনেক জনপ্রিয় বর্তমান সময়ের জন্য।

রেফার করে ইনকাম করা:

আপনি চাইলে বর্তমানে রেফার করে অনায়াসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন যেটা আপনার হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে সম্ভব। রেফার করা বিষয়টি হলো ধরুন একটি নতুন অ্যাপস প্লে স্টোরে এসেছে তারা চায় তাদের যাতে অনেক ইউজার এর কাছে চলে যায়। তারা সেখানে রেফার প্রোগ্রাম চালু করে যেখানে আপনি আপনার রেফারেল লিংকের মাধ্যমে আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আশেপাশের লোকজনকে আপনি এই অ্যাপস বা ওয়েবসাইটে নিয়ে আসবেন যার বিনিময়ে এই অ্যাপস বা ওয়েবসাইটের যে ওনার আছে সে আপনাকে কিছু টাকা বোনাস হিসাবে দেবে এবং এখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং করে ইনকাম করা:

অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

হ্যাঁ ভাইয়া বিষয়টা অনেকটা সত্যি আপনি ব্লগিং করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন বিষয়টা আমি কিভাবে বলছি আপনি বর্তমানে একটা ব্লক করছেন। আসলে বিষয়টা অনেক মজাদার তাই না অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এর মধ্যে ব্লগিং করাটা বেশি একটা কষ্টকর নয় তবে ধৈর্যের বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধরে করতে পারলে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন।

ব্লগিং করে আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন? আসলে ব্লগিং করে আপনি হিউজ পরিমান বা অনেক বেশি পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন কেননা আপনার ব্লগ লেখার দক্ষতা যদি ভাল থাকে তাহলে অবশ্যই পাঠকেরা আপনার ব্লগ পড়বে। যদি আপনার ব্লগ লেখার দক্ষতা ভালো না থাকে আপনি লেখালেখি করতে পছন্দ না করেন তাহলে ব্লক ওয়েবসাইট খুলে কোন প্রকার লাভ নেই।

আপনি ব্লক ওয়েবসাইট কিভাবে খুলবেন এবং ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন আমি বলব প্রথমত কোন প্রকার টাকা খরচ না করা। আপনি বিনামূল্যে অর্থাৎ ফ্রি ভাবে কাজটি শুরু করতে পারেন blogger.com এর মাধ্যমে যেখানে আপনি ফ্রিতে খুব সুন্দর ব্লগিং টেমপ্লেট এর মাধ্যমে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

এই বিষয়ে ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে আপনি চাইলে দেখতে পারেন কীভাবে blogger.com থেকে খুব সহজেই একটি ব্লগিং সাইট তৈরী করা যায় আপনি এই পোস্টটি এখন যেখানে দেখছেন এটা যেহেতু একটি ব্লগ সুতরাং এটাও একটি ব্লগ ওয়েবসাইট।

আপনারা এখানে চাইলে লেখালেখি করে ইনকাম করতে পারেন যদি সেই সুযোগ আপনাকে সেই ব্লগের এডমিন অর্থাৎ যে মালিক সে দিয়ে থাকে। আপনি অন্যের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারেন যেটা হলো ব্লগ লেখা আপনি যদি নিজে ওয়েবসাইট তৈরী না করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি এই পন্থা অবলম্বন করতে পারবেন এতে করে আপনার ব্লগ লেখার দক্ষতা আরো অনেক বেড়ে যাবে।

ভিডিও বানিয়ে ইনকাম:

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এই বিষয়টার ভিতরে সবচেয়ে সহজ একটা কাজ হলো এই ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা। দেখুন আপনার হাতেও এখন একটা এন্ড্রয়েড ফোন আছে আপনি চাইলে এই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে ভিডিও বানাতে পারেন।

সেটা হোক আপনার কোন এক ব্লগিং ,আপনার কোন এক ঘটনার ভিডিও, বা আপনার যদি কোন দক্ষতা থাকে সেগুলো মানুষকে শেখানো অনেক ধরনের ভিডিও কনটেন্ট বানানো সম্ভব। যা দিয়ে আপনি একটা ভালো ইনকাম করতে পারবেন ইউটিউব থেকে।

হ্যাঁ বন্ধুরা ইউটিউবে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনি আপনার চ্যানেলকে মনিটাইজেশন করে ইনকাম করতে পারবেন। এখন বলতে পারেন ভাইয়া কি বিষয়ে শুরু করব কোন কোন বিষয় গুলোকে শুরু করব এবং কিভাবে শুরু করব। একটু ধৈর্য ধরুন সব বিষয় বলছি,,

অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

 ইউটিউব ভিডিও তৈরীর বিষয়াবলী:

  • ব্লগিং ইউটিউব চ্যানেল শুরু করা
  • টেকনোলজি বিষয়ে ভিডিও তৈরি করা
  • মোবাইল অ্যাপস রিভিউ করা
  • অনলাইন প্রডাক্ট রিভিউ করা
  • কার্টুন ভিডিও বানানো
  • টিপস অ্যান্ড ট্রিক এর ভিডিও তৈরি করা
  • অনলাইনে ছাত্র-ছাত্রীদের শেখানো
  • যদি আপনি ফ্রিল্যান্সার হন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং শেখানো
  • ওয়েব ডেভলপমেন্ট শেখানো
  • ওয়েব ডিজাইন শেখানো
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখানো ইত্যাদি

সত্যি কথা বলতে আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং যে বিষয়ে আপনি সবচেয়ে ভালো পারেন এবং সবচেয়ে ভালো বুঝেন সেই বিষয়ে আপনি ভিডিও তৈরি করবেন।

এখানে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাদের জন্য বিষয়টা একটু অন্যরকম কারণ আপনারা অনেক ভালো ভালো সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন যাতে করে আপনার ভিডিওর কোয়ালিটি আরো ভালো হবে। কিন্তু চিন্তা করার কারণ নেই, যারা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারী আছেন, তারা চাইলেও অনেক সুন্দর ভিডিও এডিট করতে পারবেন এন্ড্রয়েড ফোনের অনেক জনপ্রিয় ভিডিও এডিটর অ্যাপস এর মাধ্যমে।

এই ভিডিও এডিটিং সম্বন্ধে এর পরবর্তী পয়েন্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনার ধৈর্য ধরে পরবর্তী পয়েন্টটা পড়ুন বুঝতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল প্রচারণা:

দেখুন সত্যি কথা বলতে ইউটিউব চ্যানেল প্রচারণা আপনাকে অবশ্যই করতে হবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কোন কোন ভিডিও আছে এবং কি ধরনের ভিডিও আছে সেই ধরনের অডিয়েন্স অর্থাৎ সে ধরনের লোকদের কাছে আপনার ভিডিও পৌঁছে দিতে হবে। আপনি চাইলে এই কাজগুলো ইউটিউব ভিডিও বুস্ট করেও করতে পারেন গুগোল এডওয়ার্ডস এর মাধ্যমে।

এছাড়া এখন বর্তমান সময়ে ফেসবুক জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে আপনার ইউটিউব চ্যানেল প্রচারণার জন্য আপনি চাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও গুলো প্রচারণা চালাতে পারেন একটি ফেসবুক পেজ খোলার মাধ্যমে।  ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি আবার সেখান থেকেও ইনকাম করতে পারেন।

এখন বলতে পারেন ভাইয়া আমি ফেসবুকে ওই ভিডিওগুলো আপলোড করলে আমার কি কপিরাইট ইস্যু আসবে?

আসলে ভাইয়া সত্যি কথা বলতে আপনার কপিরাইট ইস্যু আসবে না যেহেতু ভিডিওটা আপনার একান্তই নিজস্ব একটা সম্পত্তি আপনি নিজস্বভাবে ভিডিওটা তৈরি করেছেন তাহলে অবশ্যই এই ভিডিওর অধিকার আপনার আছে। আপনি চাইলে ওই ভিডিও যেকোনো জায়গায় শেয়ার করতে পারেন।

সুতরাং আপনি কোন প্রকার চিন্তা করবেন না ইউটিউব জগতে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুত হন।

ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করা:

অনলাইনে ইনকাম করার ও উপায়ের ভিতর অন্যতম আরেকটি উপায় হচ্ছে ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করা। হ্যাঁ বন্ধুরা বিষয়টা অনেকটা ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পড়ে গেল। কিন্তু আপনি চাইলে এই ভিডিও এডিটিং ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের মধ্যেও ব্যবহার করতে পারেন ।পাশাপাশি আপনি এটা ব্যবহার করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এই বিষয়টা একটা উপায় সাথে আরেকটা উপায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত ।আপনি চাইলে যে কোন একটা উপায় শিখে ইনকামের ঝাঁপ দিবেন তো ঠিকই কিন্তু সেই উপায় টা নিয়ে কাজ করতে হলে আপনাকে অনন্য উপায় সম্বন্ধে একটু দক্ষতা থাকতে হবে সুতরাং ধৈর্য ধরে আমার পরবর্তী স্টেপ গুলো পড়তে থাকুন।

এখানে আমি দুইটা ক্যাটাগরিতে ভাগ করব যারা মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে চান তাদের জন্য একটা পয়েন্ট থাকবে এবং যারা কম্পিউটার দিয়ে কাজ করেন তাদের জন্য আরেকটা পয়েন্ট থাকবে।

যারা মোবাইল দিয়ে কাজ করবেন: 

যারা মোবাইল দিয়ে কাজ করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলব। আপনাদের অবশ্য একটু বেশি কষ্ট হয়ে যাবে আপনার হাতের অ্যান্ড্রয়েড ফোনটা দিয়ে এসব কাজ করা কিন্তু চিন্তা নেই আমি সহজ উপায়ে আপনাকে শিখিয়ে দেব।

আমি প্রথমেই বলি মোবাইল দিয়ে যারা ভিডিও এডিটিং শিখতে চান বা করতে চান তাদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার রয়েছে তার নামটি হল- kinemaster । আপনি কাইনমাস্টার ব্যবহার করি অনায়াসে অনেক সুন্দর সুন্দর ভিডিও এডিট করতে পারবেন। এবং সেটা আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

এখন বলতে পারেন ভাইয়া কাইনমাস্টার তো পারি না কিভাবে শিখব?

আরে ভাইয়া চিন্তা নেই আমি আছি না। আপনি ইউটিউব এর ভিডিও দেখে কাইনমাস্টার এর যাবতীয় সব জিনিস শিখে ফেলতে পারবেন। কাইনমাস্টার এত কঠিন কোন সফটওয়্যার না। যা আপনি শিখতে পারবেন না এটা অনেক সহজ একটা সফটওয়্যার যার ভেতর আপনি পাবেন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং এর টুলস গুলো।

সুতরাং কাইনমাস্টার শেখার একমাত্র উপায় আপনাদের বলে দিলাম সেটা হলো ইউটিউবে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখা। এখন আপনার পছন্দমত যেকোনো টিউটরিয়াল বাছাই  করে আপনি দেখা শুরু করতে পারেন।

যারা কম্পিউটার দিয়ে কাজ করবেন:

যারা কম্পিউটার দিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলি, আপনারা চাইলে অনেক সহজেই ভিডিও এডিট করতে পারবেন তার জন্য অনেক ভালো ভালো বড় বড় সফটওয়্যার আছে ।আপনারা এই সফটওয়্যার গুলোর কাজ ইউটিউব থেকে শিখে নিতে পারবেন আমি সবগুলো নাম বলে দিচ্ছি আপনাদের যেটা পছন্দ হয় আপনারা সেটা ব্যবহার করতে পারবেন এবং অনায়াসেই সুন্দর ভিডিও এডিট করতে পারবেন।

ভিডিও এডিটিং এর জন্য কম্পিউটারে ব্যবহৃত সফটওয়্যার সমূহের নাম:

  • Adobe premiere pro
  • Imovie
  • Filmora
  • Power Director
  • Adobe premiere Elements

আরো অনেক সফটওয়্যার সমূহ আছে ভিডিও এডিটিং এর জন্য কিন্তু এগুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।

আপনি ভালভাবে এই ভিডিও এডিটিং এ যদি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ভিডিও এডিটিং নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম:

অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

এই বিষয়টা অনেকটা বড় অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ভিতরে সবচেয়ে বড় বিষয় যদি বলতে হয় তাহলে এই ফ্রীল্যান্সিং বিষয়টা চলে আসবে। ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করাটা অনেক সহজ কিন্তু অবশ্যই এর পেছনে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে আপনাকে সঠিক উপায়ে কাজ করে যেতে হবে তাহলে অবশ্যই আপনি ফ্রিল্যান্সিং থেকে খুব ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি অনেক বিষয়ের ওপর ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। বর্তমানে যেসব বিষয়ের উপর আপনি ফ্রিল্যান্সিং ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলে খুব ভালো একটি ইনকাম করতে পারবেন অনলাইন থেকে সেই বিষয়গুলো আমি নিচে উল্লেখ করে দিচ্ছি তারপর আমি বিষয়গুলো সম্পর্কে কিছু বলবো:

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন
  • ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • কনটেন্ট রাইটার
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • সোশিয়াল নেটওয়ার্কে ম্যানেজার
  • ইত্যাদি

দেখুন এখানে যে বিষয়গুলো আমি দিলাম সেগুলো হলো মোটামুটি জনপ্রিয় বর্তমান সময়ে কিন্তু এই জিনিসগুলো পরিবর্তনশীল সব সময় এক জিনিস জনপ্রিয় থাকে না সেটা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় সময় সাথে যেটা প্রয়োজন সেটা জনপ্রিয় বলে ধরা হয়।

আপনি চাইলে বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এ বিষয়টা অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে পারেন কারণ বর্তমান সময়ে এই বিষয়টার একটি সময় যাচ্ছে বলতে পারেন কারণ কাজ দেওয়ার তুলনায় কাজ করার লোকের পরিমাণ কম রয়েছে। এখন বলতে পারেন ভাইয়া ফ্রীলান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে এত পরিমাণ কাজের চাপ এত পরিমান লোক বসে থাকে কাজ পায়না তাহলে আপনি কিভাবে বলছেন আমরা সেখানে কাজ পাব।

দেখুন আপনাকে একটু উদাহরণ দিয়ে বোঝায় আপনি পরীক্ষা তো অবশ্যই দিয়েছেন 100 জন ছাত্র পরীক্ষা দিলে সর্বোচ্চ নাম্বার ধারী ছাত্র কয়জন হবে দুজন একজন এমনতো কিন্তু বিষয়টা আপনি যদি একটু ভাবেন যারা কাজ পারে বা কাজে খুব দুঃখ একমাত্র তারাই কাজ করতে পারে এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে। 

এখন আপনি কোন কাজ পারেন না আপনি আসলেন এবং freelancing.com বা fiverr.com এ একাউন্ট খোলার মাধ্যমে আপনি কাজ করা শুরু করলেন। কিন্তু আপনি কোন প্রকার কাজ পাচ্ছেন না তখন আপনি কি করবেন এই বিষয়টা নিয়ে হতাশ হওয়ার কোনো প্রকার দরকার নেই। আপনি যদি ভাল দক্ষ হন তাহলে আপনাকে কাজের পেছনে দৌড়াতে হবে না কাজ আপনার পেছনে দৌড়াবে।

এখন বলতে পারেন ভাইয়া আমি দক্ষ কিন্তু freelancing.com সাইডে যারা কাজ দেয় তাদেরকে আমি কিভাবে বোঝাবো আমি দক্ষ এবং একাজটি আমি করে দিতে পারি। আপনি অবশ্যই অনেক সুন্দর করে তাকে কনভেন্স করতে পারেন বা আপনি চাইলে আপনার প্রোফাইলে কিছু প্রটফলিও বা আপনি এর আগেও কাজ করেছেন এমন কিছু নির্দেশনা রাখতে পারেন। যেটা থেকে যে ব্যক্তি কাজ দেবে সে আপনার ওপর অনেকটা আস্থাশীল হয়ে কাজ দিতে পারবে এবং আপনার সাথে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে।

আপনি সবসময় নিজেকে একজন কাজ দেওয়া অর্থাৎ বায়ার এর দিক থেকে কল্পনা করবেন তাহলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন  যে আমরা ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে ভাইয়ের কাছ থেকে কাজ নেব আপনি যদি বের হতেন তাহলে কি করতেন এ প্রশ্নগুলোর নিজে নিজে করুন দেখবেন উত্তর পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনি নিজে নিজে না পান তাহলে ইউটিউবে একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে বাংলাদেশে ইউটিউব চ্যানেল যার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

বাংলাদেশে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আমাদের বাংলাদেশী এক বড় ভাই রয়েছেন সে হলো ফ্রিল্যান্সার নাসিম। আপনারা কম আর বেশি সবাই ওনাকে খুব ভালোভাবে চিনেন। তিনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। উনার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে যেখানে সে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে মানুষকে শেখায় এবং অন্যান্য বিষয়গুলো জানায় আপডেট খুব তাড়াতাড়ি আপনি চাইলে উনার ইউটিউব চ্যানেলে ভিজিট করতে পারেন।

হ্যাকিং এবং সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট:

অনেকের ইন্টারনেট জগৎ শুরু হয় এই হ্যাকিং করার ইচ্ছা নিয়ে এবং বিশ্বাস করুন আমার এই ইন্টারনেট জগতে আসা হয়েছিল এই হ্যাকিং করার উদ্দেশ্য নিয়ে। বিষয়টা এরকমই। অনলাইনে ইনকামের উপায় এর মধ্যে সাইবার সিকিউরিটি বা হ্যাকিং এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা যায় কেননা বর্তমান সময়ে এই সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট দের অনেক প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনারা খেয়াল করলে দেখতে পারবেন আমাদের তথ্য কোনভাবেই নিরাপদ নয় আমাদের তথ্যগুলো হ্যাকাররা চুরি করে নিয়েছে এবং সেই তথ্যগুলো তাদের প্রয়োজন এর স্বার্থে ব্যবহার করছে যাতে করে সাধারন জনগন অনেক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।

এই বিষয়গুলো থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট যারা আছেন তাদের প্রয়োজন তারা এই বিষয়টা অনেক সুন্দর করে দেখবেন এবং তারা এই জিনিসটা সমাধান করার চেষ্টা করবেন। এখন আপনি যদি সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হন বা আপনি হ্যাকিং জগতে অনেক পারদর্শী হন তাহলে আপনার সামনে এক অনেক বড় দুনিয়া অপেক্ষা করছে কারণ যত সময় যাবে এর চাহিদা আরো অনেক বেড়ে যাবে অনলাইনে ইনকামের উপায় এর একটি উপায় যার চাহিদা দিনে দিনে আরও অনেক পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সেটার হার টা অনেক বেশি।

হ্যাঁ কিংবা সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হতে হলে আপনাকে মানসিকভাবে আগে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এবং অবশ্যই আপনাকে কম্পিউটার ব্যবহার শিখতে হবে খুব ভালোভাবে কম্পিউটার চালানো শিখতে হবে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে খুব ভালো নলেজ থাকতে হবে এবং বাংলাদেশে অনেক সুন্দর আইটি সেক্টর কোম্পানি আছে যারা আপনাকে এই হ্যাকিং সম্পর্কে বিস্তারিত শিখাবে কোর্সের মাধ্যমে।

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস-

  • অনলাইনে ইনকাম করার উপায়আপনাকে অবশ্যই সৎ মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে
  • অনলাইনে ইনকাম করার উপায়আপনি কোন সময় আপনার কাজ থেকে বিরত হবেন না
  • অনলাইনে ইনকাম করার উপায়আপনি আপনার জায়গায় স্থির থেকে আপনার কাজে অনেকটা সময় দিয়ে সেটাকে উন্নতি করার চেষ্টা করবেন
  • আপনাকে ইংলিশ চর্চা করা চেষ্টা করতে হবে কারণ ইংলিশ ফিল্ম জগতের সবচেয়ে বড় একটি ভূমিকা পালন করে ধরুন আপনি আমেরিকার কোন একজন ব্যক্তির কাছ থেকে একটি ওয়েব ডিজাইনের প্রজেক্ট নিচ্ছেন তখন আমেরিকান ব্যক্তিটি আপনার সাথে ইংরেজিতে কথা বলবে এবং আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতেই এই কথার জবাব দিতে হবে। সুতরাং আপনাকে ইংলিশে কথা বলতে অবশ্যই পারদর্শী থাকতে হবে আপনি যদি এটাতে পারদর্শী না হন তাহলে গুগল থেকে ইংলিশ শেখার অনেক ওয়েবসাইট আছে বা ইউটিউবে ইংলিশ অনেকে সুন্দর করে শিখায় আপনি চাইলে উনাদের কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন।
  • সঠিক দিক নির্দেশনা মেনে চলা । আসলে দিকনির্দেশনা অবশ্যই আপনাকে মানতে হবে আপনি যেকোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন না কেন আপনাকে অবশ্যই সেই মার্কেটপ্লেসের যেসব নিয়মকানুন আছে সেসব নিয়মকানুন সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে এবং আপনাকে তা মেনে কাজ করতে হবে।
  • বর্তমান সময় গুলোর প্রতি বেশি প্রকাশ দিন। বর্তমানে কোন জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করছে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারকে বাংলাদেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে তারা সুযোগসন্ধানীর মত কাজ করে। তারা সব সময় খুজে বর্তমানে কোনটি বেশি জনপ্রিয় এবং সেটিতে তারা কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারে।
  • অনলাইনে ইনকামের উপায় মধ্যে ফ্রিল্যান্সিংকে অন্তর্ভুক্ত করাটা এক হিসেবে অনেকটা অযৌক্তিক কারণ ফ্রিল্যান্সিং একটি নিজে আলাদাভাবে সেক্টর তৈরি করার ক্ষমতা রাখে।

আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সমূহ সম্পর্কে কিছু ধারণা পেলেন আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে আমাকে পরবর্তীতে করতে পারেন। অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সমূহ এই বিষয়ে আরও যদি পোস্ট চান তাহলে অন্যান্য অনেক বিষয় আছে যেগুলো সম্পর্কে আপনাদের বলা হয়নি সেগুলো আপনাদের বলে দিলে আপনারা একটি ধারণা নিতে পারবেন আমরা কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করতে পারব। আসসালামু আলাইকুম।

1 thought on “সেরা 10 টি অনলাইনে ইনকাম করার উপায়”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top