ভিডিও এডিটিং কি ? ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখবেন | ভিডিও এডিটিং করে আয়

ভিডিও এডিটিং কি? ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখবেন?: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের ছোঁয়ায় মানুষ এখন অনলাইন ভিত্তিক কাজের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। বলা যায়, আজকালকার ছেলেমেয়েদের অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করে হিউজ পরিমাণ টাকা উপার্জন করাটাই এখন জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য।

এই অনলাইন সেক্টরে এমন অনেক কাজ রয়েছে, যেগুলো করে তরুণ তরুণীরা ইতোমধ্যে স্বাবলম্বী হতে পেরেছে। তার মধ্যে একটি হল “ভিডিও এডিটিং”।

এটি এমন একটি স্কিল, যা ইতোমধ্যে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই সাথে সময় যত যাচ্ছে দিনদিন এর কদর যেন বেড়েই চলেছে। বলতে পারেন, সময়ের সাথে সাথে এর ডিমান্ড আরো বাড়বে।

আর তাই এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বেশ ভালো অঙ্কের টাকা আয় করা অবশ্যই সম্ভব। এজন্য আপনারা যারা অনলাইন থেকে আয় করার বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন, তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্টটি অনেক কাজে আসবে।

আজ আমরা আমাদের আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানাবো, ভিডিও এডিটিং কি? ভিডিও এডিটিং এর প্রয়োজনীয়তা কি? ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখবেন এবং ভিডিও এডিট করে আয় করা যায় কিভাবে? ইত্যাদি নানা বিস্তারিত ভ্যালুয়েবল তথ্য। তাহলে আসুন, আজকের কনটেন্ট উপলক্ষে জেনে নেই ভিডিও এডিটিং এর এ টু জেড।

ভিডিও এডিটিং কি কিভাবে অনলাইনে আয় করবেন
ভিডিও এডিটিং কি কিভাবে অনলাইনে আয় করবেন

Video editing কি/ভিডিও এডিটিং কি?

ভিডিও এডিটিং একটি ক্রিয়েটিভ স্কিল, যার মাধ্যমে একটি কনটেন্ট বা স্ক্রিপ্ট কে সুন্দর একটি অনুভূতি সম্পন্ন ভিডিওতে রূপান্তরিত করা হয়। সহজ ভাবে বলতে গেলে, ভিডিও এডিট করবার মাধ্যম হলো ভিডিও এডিটিং। যে মাধ্যমে ভিডিও সম্পাদন করা হয়। 

কোন অংশ কেটে ফেলা-কিংবা কোন একটি অংশ ভিডিওতে যোগ করা, সেই সাথে সাউন্ড, বিভিন্ন ইফেক্ট, টেক্সট ইত্যাদি যোগ করে একটি সুন্দর অর্থপূর্ণ এবং ভিডিওকে আরো অনেক বেশি সুন্দর ইন্টারেস্টিং করতে যে যে পরিবর্তনগুলো নিয়ে আসা হয় সেটাই হলো ভিডিও এডিটিং। 

আর আমরা যারা মুভি দেখতে পছন্দ করি তারা নিশ্চয়ই এটা জানি, এডিটিং একটি ভিডিওকে কত সুন্দর করে তোলে। কারণ আজকালকার সময়ে এটা কারোরই অজানা নয়– স্পেশাল ইফেক্ট, বিএফএক্স, গ্রাফিক্স ইত্যাদি সমন্বয়ে কল্পনাকে বাস্তবে দেখানোই হলো, ভিডিও এডিটিং এর কারিশমা।

আর আমরা সচরাচর ইউটিউব ফেসবুকে ঢুকলেই এমন নানা ভিডিও দেখতে পাই, যেগুলো অনেক সুন্দর ভাবে এডিটিং এর মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। 

এক কথায়, কোন একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তার ওপর একটি সুন্দর প্রাণবন্ত আর্টিকেল লিখে সেটা রেকর্ডের পরে একটি ভিডিও বানানোর মাধ্যমে সেটি বাস্তবে ফুটিয়ে তোলাটাই হলো, ভিডিও এডিটিং। 

ভিডিও এডিটর কারা? 

আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি ভিডিও এডিটিং হলো সেই প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোন একটি রেকর্ডিংকে মানুষের সামনে সুন্দর ও প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করার জন্য বিভিন্ন সাধারণ ভিডিও ফাইল বা ক্লিপ কেটে কেটে, তার সাথে বিভিন্ন ইফেক্ট, সাউন্ড, অ্যানিমেটস যোগ করে সুন্দর আকর্ষণীয় করে একটি ভ্যালুএবল ভিডিও তৈরি করা যায়।

আর যারা এই কাজগুলো করে থাকে তাদেরকেই বলা হয়ে থাকে “ভিডিও এডিটর”। মূলত রেকর্ডের পর একটি ভিডিওতে প্রাণ প্রদান করেন একজন ভিডিও এডিটর। ভিডিও এডিটিং এর সময় ভিডিওতে যেকোনো ধরনের পরিবর্তন—অডিও বা মিউজিক যুক্ত করা বা অন্য কোন কিছু এক্সট্রা যুক্ত করা ইত্যাদি।

সকল কিছুর মূলে যে রয়েছেন সেই হলো, ভিডিও এডিটর। যার মাধ্যমে একটা ক্লিপ বা একটা স্ক্রিপ্ট সুন্দরভাবে প্রাণবন্ত আকারে ভিডিওতে রূপান্তরিত হয়।

ভিডিও এডিটিং এর প্রয়োজনীয়তা

আমাদের অনেকের মনে এমন প্রশ্ন এসে থাকে ভিডিও এডিটিং এর আসলে প্রয়োজনীয়তা কি? অনলাইন সেক্টরে এর গুরুত্ব কেমন এবং ভিডিও এডিটিং কেন জরুরী?. আসলে ভিডিওর সম্পাদনা গুরুত্বপূর্ণ। আর এটা আমরা বুঝতে পারব যদি একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করি।

কারণ ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করা সম্পাদন করা সম্ভব হয়। চিত্র, শব্দের সংমিশ্রণের মূল চাবিকাঠি হল ভিডিও সম্পাদনা, যা আমাদের সবাইকে ইমোশনালি কানেক্ট করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

একটা কথা চিন্তা করুন, আমরা যে মুভি গুলো দেখে থাকি-যে নাটকগুলো দেখে থাকি, সেগুলো যদি মুখে শুনতাম তাহলে আমাদের মনে কতটুকু ছুঁয়ে যেত!

যতটা ছুয়ে যায় এই নাটকগুলো ফোনে, ল্যাপটপে বা টিভির পর্দায় দেখলে। আর আপনি যদি এইটুকু উপলব্ধি করতে পারেন, তাহলে এটা নিশ্চিত ভিডিও এডিটিং কেন জরুরী এটা অবশ্যই আপনি বুঝতে পারবেন। 

কারণ যে কোন গল্প, যেকোনো কাহিনীকে সুন্দরভাবে মানুষের সামনে বাস্তবে তুলে ধরার একটি এবং একমাত্র রাস্তা হল ভিডিও এডিটিং, যার মাধ্যমে দুঃখ, কষ্ট, হাসি, আনন্দ ইত্যাদি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছানো যায়। 

ভিডিও এডিটিং শেখার উপায় | ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখবেন

সত্যি বলতে, অনলাইন প্লাটফর্মে যত ধরনের কাজ রয়েছে তার মধ্যে অনেকটাই সহজ এবং সময়সাশ্রয়ী কাজ হলো, ভিডিও এডিটিং। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনার মধ্যে থাকতে হবে কাজ করার মন-মানসিকতা, এবং বারবার চেষ্টা করার আগ্রহ।

কারণ এটি এমন একটি কাজ, যেটি করতে করতে আপনার দক্ষতা আপনা আপনি বেড়ে যাবে এবং আপনি একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবেন। 

এর পাশাপাশি আপনাকে কিছু সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। মানে বেসিক থেকে এডভান্স ভিডিও এডিটিং স্কিলস গুলো আপনি ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমিকভাবে শিখে ফেলতে পারবেন। আপনার ভিডিও হবে একদম প্রফেশনাল ক্যাটাগরির। 

আর এই সব কিছু জানতে, আপনাকে সাহায্য করবে ইউটিউব। মানে ভিডিও এডিটিং শিখতে হলে আপনার হাতে খড়ি দেবে ইউটিউব প্লাটফর্ম।

সেখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিভাবে কি করতে হয় আপনি সব কিছুর সব টপিকের টিউটোরিয়াল অনেক সহজে পেয়ে যাবেন। তাই আমরা ভিডিও এডিটিং শেখার উপায় হিসেবে আপনাদেরকে দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করার কথা সাজেস্ট করব। 

১. ইউটিউব

ভিডিও এডিটিং শিখতে ইউটিউবকে কাজে লাগান। এখানে ভিডিও এডিটিং নিয়ে অসংখ্য ফ্রী টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন, যা আপনাকে ভিডিও এডিটিং এর এ টু জেড সম্পর্কে হাতে হাতে শেখাবে। 

২. অনলাইন কোর্স অথবা পেইড কোর্স

ভিডিও এডিটিং এর বেশ কিছু পেইড সফটওয়্যার আছে, যেগুলো ব্যবহার করে ভিডিও এডিটিং এর কাজ করা যায়। সেগুলো হলো:

  • এডোবি প্রিমিয়ার
  • ক্যামটেশিয়া
  • ভিগাস প্র
  • ওয়ান্ডারশেয়ার ফিল্মোরা। 

এগুলো প্রত্যেকটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যেগুলো পেইড। তবে হ্যাঁ, এদের ট্রায়াল ভার্সন ব্যবহার করে আপনি কাজ শিখতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে প্র্যাকটিস করতে হবে। 

আবার অসংখ্য অনলাইন কোর্স করার সাইটে পেইড কোর্স রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি কিছু স্বল্প পরিমাণ টাকা খরচ করে ভিডিও এডিটিং পুরোপুরি ভাবে আয়ত্ত করতে পারবেন। তবে আমরা আপদেরকে সাজেস্ট করবো রিসার্চ এর মাধ্যমে বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও দেখে টিউটোরিয়াল দেখে আপনি নিজে ঘরে বসে ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখে ফেলুন। এতে করে আপনার সৃজনশীল  কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি নিজেকে একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।

আর হ্যাঁ, একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন— প্র্যাকটিস মেক এ ম্যান পারফেক্ট । আর তাই নিজেকে পারফেক্ট এবং প্রফেশনাল হিসেবে মার্কেটপ্লেসে উপস্থাপন করার জন্য যে কোন কাজ শিখতে এবং দক্ষতা অর্জন করতে আপনাকে অবশ্যই প্র্যাকটিস করতে হবে। নিয়মিত চর্চা আপনাকে যে কোন কঠিন কাজ খুব সহজেই শিখে ফেলতে সাহায্য করবে এবং সেটা খুব ভালোভাবে। 

মোবাইল ব্যবহার করে ভিডিও এডিট করার উপায়

আমাদের অনেকেরই ধারণা ভিডিও এডিটিং এর জন্য প্রয়োজন পড়বে ল্যাপটপ, কম্পিউটারের। সত্যি বলতে এটা ভুল নয়, তবে আপনি শুধুমাত্র আপনার হাতে থাকা নিজের মোবাইলের মাধ্যমেও ভিডিও এডিটিং করা শিখতে পারবেন কিন্তু! আর এক্ষেত্রে আপনাকে একটি সেরা ভিডিও এডিটিং কোর্সের সাথে যুক্ত হতে হবে। 

কারণ আপনি এই কাজটি করার জন্য যে ডিভাইসই ব্যবহার করে থাকুন না কেন, কাজ শেখার জন্য আপনাকে একজন প্রশিক্ষকের প্রয়োজন পড়ব।  সেটা হতে পারে ইউটিউব প্রশিক্ষক, আবার অন্য কোন কোর্স ইনস্ট্রাকশন। তবে আপনি যদি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং শিখতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সেরা সফটওয়্যার গুলো হবে,

  • কাইনমাস্টার
  • এডোবি রুশ
  • ফিল্মোরা গো
  • কুইক
  • ফিল্ম মার্কার প্রো
  • পাওয়ার ডাইরেক্টর।

তাই আপনি চাইলে এই মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস গুলো ইনস্টল দিয়ে ট্রাই করতে পারেন ভিডিও এডিটিং শেখার। 

ভিডিও এডিটিং এর ভবিষ্যৎ কি?.

আমরা যে কোন কাজ নতুন করে শিখে থাকি সেই কাজে যেন ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু করা যায় এমন একটা উপলক্ষকে সামনে রেখে। তাই অনেকেই এ কথাটি বলে থাকেন, মার্কেটে ভিডিও এডিটিং এর ভ্যালু কেমন এবং এটার ভবিষ্যৎ কি? 

সত্যি বলতে, আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হতে পারেন তাহলে, আপনাকে অবশ্যই কাজ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কারণ, ডিজিটাল মিডিয়ায় দক্ষ ভিডিও এডিটরের চাহিদা সময়ের সাথে সাথে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। আর সবাই ক্রিয়েটিভ জিনিস খুঁজছেন। 

তাই আপনি যদি অন্যের থেকে অনেকটাই অ্যাডভান্স হতে পারেন অনেকটাই ইউনিক হতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার ডিমান্ড অনেক বেশি থাকবে এবং আপনি ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে অনেক ভালো একটা ভবিষ্যৎ কাম্য করবেন। 

শুধু তাই নয়, আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এ একদম প্রফেশনাল হয়ে থাকেন তাহলে দেশের বাইরে অনেক অনেক টিভি চ্যানেলে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

তাছাড়াও প্রডাকশন বিজনেসে দক্ষ ভিডিও এডিটরের প্রয়োজন পড়ে, তাই আপনি এইসব কাজেও নিজেকে যুক্ত করতে পারবেন। আর আপনি যদি আপনার এই কাজে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেন তাহলে নাটক বা মুভি এডিটর হিসেবেও আপনাকে যুক্ত করবে অনেকেই। 

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, ১৯ বছর বয়সী KGF Chapter 2 এর Main Editor কে। চলচ্চিত্র পরিচালক প্রশান্ত নীল জনপ্রিয় এই মেগা বাজেটের চলচ্চিত্রটির সম্পাদনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন মাত্র ১৯ বছর বয়সী একজন নবীন এডিটর কে।

হ্যাঁ, ছবির প্রধান এডিটর এর নাম উজ্জ্বল কুলকার্নি। তাহলে বুঝতেই পারছেন মার্কেটে ভিডিও এডিটিং এর ভ্যালু কেমন এবং এর ভবিষ্যৎ কতটা প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল।

ভিডিও এডিটিং করে আয় করার উপায়

ইতোমধ্যে আমরা এটা বুঝতে পেরেছি ভিডিও এডিটিং অনেক দামি আর কুল প্রফেশন। যার মাধ্যমে একটা ভালো ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব। তবে এটা শিখে শুধু বসে থাকলে চলবে না এর জন্য জানতে হবে ভিডিও এডিট করে আয় করার মাধ্যম সম্পর্কে। তাই এ পর্যায়ে আমরা আপনাদেরকে ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে আয় করার কয়েকটি মাধ্যম সাজেস্ট করব।

নাম্বার ১. ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং ভিডিও এডিটিং এর কাজ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রমোট করা হয়। ফাইবার ও upwork এর মত ওয়েবসাইটে ভিডিও এডিটিং এর দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বেশ মোটা অংকের টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আর এখানে যদি আপনি ভালোমতোন টিকে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হতে হবে। কারণ এইসব ওয়েবসাইটে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি তাই কাজ পাওয়াটা একটু দুঃসাধ্য হয়ে যায়। তবে এখানে যদি আপনি একবার নিজেকে প্রফেশনাল হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন তাহলে কেল্লাফতে।

নাম্বার ২. ইউটিউবের মাধ্যমে

আজকাল বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে অসংখ্য কনটেন্ট ক্রিয়েটর রয়েছে, যারা বিভিন্ন ভিডিও এডিটরদের অনুসন্ধান করে চলেছেন। তাই আপনাকে ক্লাইন্ট খুজতে হলে এমন কয়েকটি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের চ্যানেলের ডেসক্রিপশনে ঘোরাঘুরি করতে হবে, যেখানে আপনি বিজনেসের জন্য একটি মেইল পাবেন। 

আর আপনি যদি তাদের মেইল পেয়ে যান, সে ক্ষেত্রে আপনার কাজ হবে সেটিকে কপি করে প্রফেশনাল ভাবে একটি মেইল করে তাদেরকে জানানো যে, আপনি একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট এডিটর এবং আপনি তাদের চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত কনটেন্ট এডিট করে দিতে পারবেন। 

নাম্বার ৩. সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলোতে প্রচুর মানুষ সুপ্রিয় থাকে প্রতিনিয়ত। Facebook, instagram, twitter ইত্যাদিতে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আনাগোনার শেষ নেই। আর তাদের সেই কনটেন্টগুলো এডিট করার জন্য প্রয়োজন পড়ে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটরের।

তাই আপনি যদি চান তাহলে ক্লায়েন্ট খোঁজার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি কার্ড বানিয়ে নিতে হবে। যেখানে থাকবে আপনার একটি ছবি এবং আপনার কাজ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য। যেগুলো আপনার ক্লায়েন্টকে খুব সহজেই আকৃষ্ট করবে। 

তবে এর বাইরেও আপনি ভিডিও এডিটিং থেকে আয়ের জন্য বেশ কিছু উপায় অনুসরণ করতে পারেন। সেগুলো হলো:

  • লোকাল বিজনেসের কাজ করার মাধ্যমে
  • ওয়েডিং ফুটেজ এডিট করে
  • রিয়েল এস্টেট ভিডিও ফিল্ম ও এডিটিং এর মাধ্যমে
  • ভিডিও এডিটিং কোর্স করিয়ে
  • এডুকেশনাল ভিডিও তৈরি করে
  • ফাইবারের মাধ্যমে। 

আর হ্যাঁ আপনি একজন ফ্রিল্যান্স ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ খুঁজতে চাইলে ভিজিট করতে পারেন।

  • Upwork.com
  • Freelancer.com
  • Fiverr.com
ভিডিও এডিটিং নিয়ে আমাদের শেষ কথা/উপসংহার

তো ভিউয়ার্স, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি। ভিডিও এডিটিং কি এবং কিভাবে শিখব এবং কিভাবে নিজেকে একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হিসেবে গড়ে তুলবো? ইত্যাদি সম্পর্কে যদি কোন কিছু জানার থেকে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দিন। 

আশা করি আমাদের আজকের এই কনটেন্টের মাধ্যমে আপনারা সম্পূর্ণ ভিডিও এডিটিং সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য জানতে সক্ষম হয়েছেন। যেহেতু বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্ম দারুন একটি মাধ্যম। সেখানে নিজেদের স্কিল ব্যবহার করে হিউজ পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব, তাই দেরি না করে আজ থেকেই কাজে লেগে পড়ুন।

খুব তাড়াতাড়ি আবারো আপনাদের সাথে আমাদের নতুন কোন টপিকে নতুন কোন আলোচনায় আবারও দেখা হবে কথা হবে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top