এফিলিয়েট মার্কেটিং কি : অনলাইনে ইনকাম এর যত উপায় আছে। তার মধ্যে সেরা হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি।
অনেক লোক এফিলিয়েট মার্কেটিংকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়ে বাড়ি কাজ করার পথ হিসেবে।
আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব, এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে। কিভাবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইন আয় করবেন।
আপনি যদি পুরো তথ্য জানতে চান তবে, আমাদের দেয়া লেখা গুলো শেষ পর্যন্ত দেখুন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
আমরা ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময় অনেক ধরণের প্রোডাক্ট এর লিংক দেখতে পারি। অনেকে লিংক দিয়ে বলে থাকে যে, এই ভিডিও টাকা স্পন্সর করেছে।
আপনি যদি সেই চ্যানেল থেকে কোডটি ব্যবহার করে প্রোডাক্ট কিনেন বা লিংক থেকেই কিনেন তবে আপনরা 5% ডিসকাউন্ট পাবেন।
আপনার প্রশ্ন হতে পারে যে, এরকম ভাবে পণ্য প্রচার করে তাদের লাভ কি? এই প্রশ্নের উত্তর হলো কোন ব্যক্তি কোন জিনিস ক্রয় করে, তবে তারা এটা থেকে কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণের কমিশন পেয়ে থাকে। আর তাকেই বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং।
এখন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এই আমরা জানতে পেরেছি। আরে সহজ করে একটু বলি- এফিলিয়েট মার্কেটিং হলেঅ মার্কেটিং করার এমন একটি ধারা। যার মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য ক্রয় ছাড়াই কোন বিক্রেতা বা উৎপাদন কারী পণ্য রেফার করার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের কমিশন টাকা পেয়ে থাকে তাকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সম্ভাবনা
বর্তমান সময়ে যে, চাকরি গুলো আছে সেগুলোতে প্রতিদিন সকাল 9 টা থেকে বিকাল 5 টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়।
যাদের এই বিষয়ে একদমই ভালো লাগে না তারা চাকরি বাদ দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন নিজের ঘরে বসেই অল্প সময় ব্যয় করে যখন ইচ্ছা তখন।
অনেক লোক আছে, চাকরির পাশা পাশি আরো বাড়তি টাকা আয় করতে আগ্রহী, তারা অল্প সময় ব্যয় করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি চাকরির পাশা পাশি কোন ব্যবসা করতে চান? সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। তবে আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তাহলে আপনাকে কোন টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে চাকরির বেতনের তুলনায় অনেক বেশি আয় করতে পারবেন।
আপনার নিজস্ব যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে, তবে সেখানে ভিজিটর জেনারেট করে, আপনার ওয়েবসাইট 6 মাস পুরাতন একটি পণ্য রিভিউ থেকে আপনি 6 মাস পরেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্যাসিভ আয় করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য তিনটি পক্ষ থাকে। তাদের মধ্যে প্রথম পক্ষ হলো যারা পণ্যের উৎপাদন কারী বা বিক্রেতা। যারা তাদের পণ্য বিকি বা উৎপাদন করে থাকে।
তারপরে আছে, ২য় পক্ষ এফিলিয়েট প্রোগ্রামার। তার বিক্রেতার বা পণ্য উৎপাদনকারীদের পণ্য বিক্রি করতে সহায়তা করে, যার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণের কমিশন পেয়ে থাকে।
৩য় পক্ষ আছে, যারা ক্রেতা এঢিলিয়েট প্রোগ্রামাদের পণ্যটি রেফার করার মধ্যমে তা দেখে থাকে। পণ্য সম্পর্কে ক্রয় করার আগে ধারণা লাভ করে থাকে।
এর পাশাপাশি এফিলিয়েট মার্কেটিং-এ যে, উপায় ব্যবহার করা হয় তা হলো এফিলিয়েট মার্কেটি করার জন্য কোন পণ্য রেফার করার মাধ্যমৈ বা কোন পণ্যের কোড ব্যবহার করার মাধ্যেমে।
উক্ত উপায়ে একজন এফিলিয়েট প্রোগ্রামার এর রেফার করা লিঙ্ক এর মাধ্যমে বা কোড ব্যবহার করে যতবার সেই বিক্রেতার কাছে থেকে ক্রেতা পণ্যটি কিনবে ঠিক তত বার একটি নির্দিষ্ট টাকা কমিশন হিসেবে এফিলিয়েট প্রোগ্রামার গ্রহণ করবে।
এছাড়া এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর আরো একটি ধরণ হলো ইফলুয়েন্সার মার্কেটিং। যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে বিক্রিতার পণ্য রেফার করবেন এবং এতে করে কমিশন নিতে পারবেন।
কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবো
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিষয়ে কথা বলতে গেলে। সব থেকে কমন যে কথা আছে সেটি হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব।
এ জন্য আমরা বলব যে, আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য কোন ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ভালো।
তাছাড়া, আপনি যদি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে এটিও করতে পারবেন। কিন্তু ওয়েবসাইট ও ইউটিউব এর মতো এতটা ইফেক্টিভ হবে না।
ইন্টারনেশনাল ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্যে, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম এ এফিলিয়েট মার্কেটিং কখনই করতে পারবেন না।
শুধু মাত্র নিজের দেশে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে।
তার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জণ্যে আপনাকে প্রথমে একটি ভালো ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে।
তারপরে সেখানে আপনার ভিজিটর যত বেশি হবে তত বেশি এফিলিয়েট মার্কেটিং কার জন্য আবেদন করতে পারবেন বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোতে।
ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোতে আবেদন করার টেকনিক এবং কিভাবে আবেদন করতে হয় এবং এফিলিয়েঠ প্রোগ্রামিং করার কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে কিছূ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার কথা চিন্তা করলেই প্রথমে আমাজন এফিলিয়েট এর কথা চলে আসে। সারা পৃথিবীতে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সব চেয়ে জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট হলো আমাজন।
এই ই-কমার্স ওয়েবসাইটে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ মার্কেটিং করে হাজার হাজার টাকা আয় করে যাচ্ছে।
আমাজন থেকে বিশ্বের 49% মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করে থাকে। তাই আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা অনেক লাভজন ক ব্যাপার।
এই ওয়েবসাইটে কাজ করার ফলে আপনাকে অনেক ভালো পরিমাণের কমিশন দেওয়া হবে। কিভাবে আমাজনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন এ নিয়ে আগেই একটি পোস্ট পাবলিশ করেছি। চাইলে এটি পড়ে নিতে পারেন।
ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং
ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা অনেক সহজ। কিন্তু আপনি ওয়েবসাইট ও ইউটিউবে যেভাবে এফিলিয়েট মার্কেটি করে আয় করতে পারবেন। সেটি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে করতে পারবেন না।
আপনি যদি অল্প টাকায় সন্তোষ থাকেন তাহলে ফেসবুক এর মাধ্যমে এবং ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং চালিয়ে যেতে পারেন।
এছাড়া আরো অনেক উপায় আছে, যে গুলো ব্যবহার করে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন নিজের ঘরে বসেই।
See more:
- ইমেইল মার্কেটিং কি ? কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং শিখবেন
- আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করবেন ?
- ডিজিটাল মার্কেটিং ও তার শাখা-প্রশাখা
শেষ কথাঃ
আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে নিজের ওয়েবসাইটে বা ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। তাহলে আপনি নিজের ঘরে বসেই প্রচুর প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আমাদের এই পোস্ট আপনার কাছে যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের এটি শিখার জন্য শেয়ার করে দিন। এবং এ নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান।
ট্যাগঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
আমাদের এখানে নতুন নতুন অনলাইন আয় করা শিখতে চাইলে নিয়মিত ভাবে ভিজিটর করুন ধন্যবাদ।
Leave a Reply