চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায়

আপনি যদি একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন, চাকরির পাশাপাশি বাড়তি রোজগার করতে চান? সেক্ষেত্রে, আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য।

কারণ, আজ আমি আপনাদের চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় জানিয়ে দেবো।

বর্তমান সময়ে, অনলাইন সেক্টরে পার্ট টাইম জব হিসেবে, অনেক কাজ পাওয়া যায়।

সে ক্ষেত্রে আপনি যদি একজন কর্মজীবী/ চাকরিজীবী মানুষ হয়ে থাকেন, কিন্তু আপনার বেতনের টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায়
চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায়

তাদের জন্য আর চিন্তা নয়। কারণ আপনারা আজ এমন কিছু অনলাইন আয়ের মাধ্যম জেনে যাবেন।

যেখানে আপনারা দৈনিক দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় ব্যয় করে, চাকরির তুলনায় মাসে ভালো করে মানের ইনকাম করতে পারবেন।

তাই আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় খোঁজেন? তাহলে আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায়

আমরা আগেই বলেছি অনলাইনে এমন অনেক সেক্টর রয়েছে। যেখানে অল্প সময় দিয়ে ভালো পরিমাণের টাকা রোজগার করা সম্ভব। সেই হিসেবে আমি আপনাকে যে কাজগুলো সম্পর্কে জানাবো।

সেগুলো করতে ইচ্ছুক থাকলে, বা কাজের দক্ষতা থাকলে। অনায়াসে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকায় করতে পারবেন নিজের ঘরে বসে।

কথাটি শুনে অবাক হয়ে লাভ নেই। কারণ এটাই বাস্তব। আমাদের বাংলাদেশে অনেক চাকরিজীবী রয়েছে। যারা বাড়তি রোজগারের লক্ষ্যে অনলাইন সেক্টরগুলোতে কাজ করছে।

তো আপনি এখানে পিছিয়ে থাকবেন। তাদের মত চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের হিসেবে নিচে দেওয়া। অনলাইন সেক্টর গুলো বেছে নিতে পারেন। যেমন-

ফ্রিল্যান্সিং

বর্তমান সময়ে, অনলাইন সেক্টরে, স্বাধীনভাবে কাজ করার সেরা মাধ্যম হল ফ্রিল্যান্সিং। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে লোকেরা নিজের ঘরে বসে ছোট ছোট কাজ করে, মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে।

সেই লক্ষে আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি টাকা আয়ের চিন্তা করেন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বেছে নিতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন কাজের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে ক্লায়েট’রা বিভিন্ন ধরনের কাজ অফার করে থাকে।

এক্ষেত্রে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যেকোনো একটি নির্দিষ্ট কাজ শিখতে পারেন। তাহলে চাকরির পাশাপাশি অনায়াসে দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় ব্যয় করে রোজগার করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যে, কাজ গুলো করতে পারবেন।

সেগুলো হল-

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • লোগো ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • আর্টিকেল রাইটিং
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) ইত্যাদি

তো আপনারা যারা চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে, কাজ করতে আগ্রহী।

তারা উপরোক্ত ক্যাটাগরি অনুযায়ী যে, কোন কাজের কোর্স সম্পন্ন করে, আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেস গুলোতে যুক্ত হয়ে। সেখানে প্রতি ঘন্টা হিসেবে কাজ করে, রোজগার করতে পারবেন।

ইউটিউবিং

বর্তমান সময়ে, চাকরির পাশাপাশি যারা বাড়তি ইনকামের কথা চিন্তা করেন। তারা চাইলে ইউটিউবিং শুরু করে দিতে পারেন।

কারণ বর্তমান সময়ে ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করার শর্ত এতটাই সহজ হয়ে গেছে যে, যে কেউ চাইলে সহজেই ইনকাম করা শুরু করতে পারবে।

তবে youtube থেকে ইনকাম করতে চাইলে, আপনাকে অবশ্যই একটি ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করতে হবে।

তারপর সেখানে কোয়ালিটি সম্পন্ন বিভিন্ন ক্যাটাগরির/ নিস বেছে নিয়ে ভিডিও আপলোড করতে হবে। তবে youtube থেকে ইনকাম করার জন্য কিছুটা বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে।

কারণ এখানে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণের ইউনিক ভিডিও আপলোড করতে হবে। এবং ইউটিউবের দেয়ার শর্ত পূরণ করতে হবে।

youtube এর ছোট দুটি শর্ত পূরণ করতে পারলে, গুগল এডসেন্সের অ্যাপ্রভাল নিয়ে বিজ্ঞাপন দেখে আয় করা শুরু করতে পারবেন।

তো ইউটিউবে বিজ্ঞাপন অনুমোদন পাওয়ার জন্য আপনাকে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।

সেগুলো হলো-

  • চলতি এক বছরের মধ্যে এক হাজার সাবস্ক্রাইব পূরণ করতে হবে।
  • চলতি এক বছরের মধ্যে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াজ টাইম পূরণ করতে হবে।

উপরোক্ত দুটি শর্ত পূরণ করার ফলে, আপনারা খুব সহজেই ইউটিউব থেকে চাকরির পাশাপাশি আয় করা শুরু করতে পারবেন।

সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে, আপনারা ইউটিউবিং সেক্টরে যুক্ত হলে কোন প্রকার ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হবে না।

সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে যাবেন তাও আবার নিজের ঘরে বসে।

গুগল এডসেন্স

আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি আনলিমিটেড ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্স বেছে নিতে হবে। এখন অনেকের প্রশ্ন হতে পারে যে গুগল এডসেন্স মূলত কি?

গুগল এডসেন্স আছে, গুগলের একটি প্রোডাক্ট। যা বিজ্ঞাপন সার্ভিস প্রদান করে থাকে।

আপনি যদি গুগল এডসেন্স থেকে রোজগার করতে চান? সে ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এছাড়া একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে।

গুগল এডসেন্স থেকে ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই, কিছু নীতিমালা পূরণ করতে হবে। বিশেষ করে ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে-

  • একটি ভালো কোয়ালিটির ডোমেইন কিনতে হবে, (.com, .net, .org)
  • ভালো স্পিড হোস্টিং কিনতে হবে, (5GB, 10GB)
  • তারপর ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগার সি.এম.এস এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করতে হবে,
  • ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণের কন্টেন্ট লিখতে হবে, (20-30 টি)
  • ওয়েবসাইটে পেজ ক্রিয়েট করতে হবে, (About, Contact, DMCA, Privacy & policy)
  • তারপর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, গুগল এডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন।

এছাড়া আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল থেকে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করতে চান? সেক্ষেত্রে আপনাকে, কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিডিও আপলোড করতে হবে।

(কোন প্রকার কপিরাইট ছাড়া) আরও দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে- ১ বছরের মধ্যে ১ হাজার সাবস্ক্রাইব এবং ১ বছরের মধ্যে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে।

তারপর গুগল এডসেন্সে আবেদন করতে হবে।

যখন আপনারা ওয়েবসাইট থেকে বা ইউটিউব থেকে গুগল এডসেন্সের নীতিমালা পূরণ করে আবেদন করতে পারবেন। তখন দ্রুত সময়ের মধ্যে এডসেন্স অ্যাপ্রভাল পেয়ে যাবেন।

গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রভাল পাওয়ার পর, বিভিন্ন গুগল বিজ্ঞাপন ওয়েবসাইটের আর্টিকেলে এবং ইউটিউব ভিডিও তে বিজ্ঞাপন যুক্ত করে ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি বাড়তি ইনকাম করতে চান ? তাহলে উপরোক্ত যেকোনো একটি প্রক্রিয়া বেছে নিয়ে, আয় করার পথ সৃষ্টিকর করতে পারেন।

আমরা আপনাকে যে, অনলাইন সেক্টরের বিষয় জানিয়েছি এগুলো ছাড়া আর অসংখ্য সেক্টর রয়েছে। যেখানে কাজ করে, চাকরির পাশাপাশি বাড়তি ইনকাম করতে পারবেন।

আমাদের এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে, মূলত অনলাইন ইনকাম সংক্রান্ত বিষয়ে জানিয়ে দিতে।

তাই আপনারা যারা অনলাইন সেক্টরে, বিভিন্ন কাজ করে রোজগার করতে চান? তারা আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top