ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম || ফ্রীল্যান্সিং করে ইনকাম করার সম্পূর্ণ গাইড

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যমঃ অনলাইন মাধ্যমে কোন কাজ করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। প্রায় যেকোনো ধরনের কাজকে কেন্দ্র করে এখন ফ্রিল্যান্সিং করা যাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যেটা একজন মানুষের জীবন পরিবর্তন করতে সক্ষম।

বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্মে অনেক অনেক কাজ করে টাকা উপার্জন করা যাচ্ছে এটা এখন কারোরই অজানা নয়।

কিন্তু অনেকেই এমন প্রশ্ন করে থাকেন কোন পদ্ধতি বা কোন মাধ্যমে সর্বোচ্চ আয় করা সম্ভব হয়। তাই আজকে আমরা ফ্রিল্যান্সিং করে সবচেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করা যাবে এমন হাতেগোনা পাঁচটি মাধ্যম সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো।

তাহলে আসুন জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন তার নাম। অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। 

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম || ফ্রীল্যান্সিং করে ইনকাম করার সম্পূর্ণ গাইড
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম || ফ্রীল্যান্সিং করে ইনকাম করার সম্পূর্ণ গাইড

ফ্রিল্যান্সিং কি? 

ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করার একটা মাধ্যম। আজকাল এটা সবাই জেনে ফ্রিল্যান্সিং মানে হচ্ছে অনলাইন প্লাটফর্মে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার একটি বিরাট সুযোগ। যেখানে কাজ করে মানুষ সরকারি চাকরির চাইতেও বেশি টাকা কামাতে পারে।

যারা প্রচলিত অফিস বাদ দিয়ে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে সবচেয়ে বেশি আয় করতে চান তাদের জন্য মূলত ডেটা এনালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্ষেত্রে দক্ষতা অনেক বেশি কাজে আসে। আর তাই এই দুটি খাটের দক্ষ কর্মীর চাহিদার সব থেকে বেশি বাড়ছে বলে জানা গেছে। ফ্রিল্যান্সিং কি? অনলাইনে ইনকাম করার সেরা মাধ্যমগুলো কি কি?

এবং অনলাইন থেকে হিউজ পরিমাণ টাকা ইনকামের কৌশল গুলো কি এ সম্পর্কে আরো কনটেন্ট আমাদের ওয়েবসাইটের ইতিমধ্যে পাবলিশ করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন আমাদের মায়াজাল ডট নেট ডট কম ওয়েবসাইট। এবার আসুন জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং করে সবচেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করার মাধ্যম। 

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম এর সেরা ৫টি মাধ্যম

ইতিমধ্যে বলেছি, কর্মী নিয়োগ দাদাদের কাছে ডেটা এনালিটিক্স ও ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট যারা কর্মীর চাহিদা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত খুব সম্প্রতি ফাস্ট ৫০ নামের একটি দক্ষতা বিষয়ক প্রান্তিক সূচক প্রকাশ করেছে ফ্রিল্যান্সার ডটকম। আর এদের মধ্যে সবথেকে চাহিদা সম্পন্ন দক্ষতার স্থান পেয়েছে:

  • ডেটা এনালিটিক্স
  • ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট
  • মাইক্রোসফট অফিস
  • কপি টাইপিং
  • ট্রান্সক্রিপশন
  • রাশিয়ান ট্রান্সলেশন
  • বুক কিপিং
  • ইমেইল হ্যান্ডেলিং এবং
  • কাস্টমার সাপোর্ট।

আর যে বা যারা এই বিষয়গুলোতে অনেক বেশি এক্সপার্ট তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং খুব দ্রুত সুফল বয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম। তবে এ পর্যায়ে আমরা হাতে গোনা পাঁচটা ডিমান্ডেবল কাজ সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নেই কি পাঁচটি কাজ যেগুলোর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ে খুব তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করা সম্ভব।

১. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট

প্রোগ্রামিং এর কাজ বিশেষ করে সফটওয়্যার এবং মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সর্বাধিক অর্থ প্রদান করে থাকে। অন্যতম সেরা মাধ্যম গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট। আপনি যদি একজন সফটওয়্যার বিকাশকারী হতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে অর্ধেক দিক থেকে এটি একটি ফলপ্রসুক্ষেত্র।

এটি এমন একটি দক্ষতা সম্পন্ন কাজ, যার সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করা বেশ কঠিন এবং সেখানে খুব ভালো কোডার নেই। আর তাই এই মাধ্যমে জনপ্রিয় হতে বা এটিকে সম্পূর্ণভাবে আয়ত্ত করতে বেশ কষ্ট করতে হবে পাশাপাশি সম্ভব হবে ইউজ পরিমান টাকা ইনকাম করা।

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইনকাম বেশি আর মূলত বর্তমানের পাঁচটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে তাকে একজন প্রফেশনাল সফটওয়্যার ডেভলপার হিসেবে গণ্য করা হয়। সেই পাঁচটি প্রোগ্রামিং ভাষা গুলো হচ্ছে:

  • জাভা স্ক্রিপ্ট
  • পাইথন
  • সি
  • Java
  • সি প্লাস প্লাস

তবে কেউ যদি চান তাহলে এই পাঁচটি ল্যাঙ্গুয়েজ এর বাইরে ও আরো অসংখ্য language সম্পর্কে আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তবে হ্যাঁ অবশ্যই আপনাকে শুরু থেকে স্টেপ বাই স্টেপ জানতে হবে শিখতে হবে।

নইলে আপনি যদি সবকিছু একবারে একসঙ্গে আয়ত্ত করতে চান তাহলে এটা কখনোই পসিবল হবে না। তবে সেটা যাই হোক না কেন ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি মোটা পরিমান টাকা ইনকামের জন্য এবং জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য অন্যতম সেরা মাধ্যম হচ্ছে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট। 

২. ওয়েব/অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েব ডিজাইন

একজন ওয়েব ডেভলপার তার এডভান্স প্রোগ্রামিং স্কিম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করেন। আর এসব ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে সাধারণত ফ্রন্ট এন্ড ব্যাক এন্ড অথবা ফুলস্টক ডেভলপার হতে হয়।

ফুলস্টপ ডেভলপারদেরকে বলা হয়ে থাকে অলরাউন্ডার। যারা ব্যাক এবং ফ্রন্ট উভয়েরই কাজ করতে পারে।

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর পরে মূলত অ্যাপ বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কথা আসে। যেটি ২০১৫ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন কাজ হিসেবে বিবেচনায় এসেছে। ওয়েব ডিজাইন এটা এমন একটি জনপ্রিয় কাজ যার মাধ্যমে খুব সহজেই নিজেকে একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম।

তাই আপনি যদি খুব দ্রুত এবং টাকা ইনকামের জন্য সেরা মাধ্যম খুঁজতে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আদর্শ হবে ওয়েব ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট স্কিলটি। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে দুইটি ধাপ রয়েছে।

এটেল সে ফ্রন্ট এন্ড আর একটি হচ্ছে ব্যাক এন্ড। আপনি যেকোনো একটিও করতে পারেন আবার দুইটি করে অলরাউন্ডার হতে পারেন। 

৩. ডেটা এনালিটিক্স

মার্কেটে অনেক বেশি আলোচনায় এসেছে ডেটা এনালিটিক্স এর বিষয়টি। বিশ্লেষকরা খুব সম্প্রতি জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের ডাটা এনালিটিসের চাহিদা সময়ের সাথে সাথে অনেক বেশি বাড়তে থাকবে। ২০২৩ সাল নাগাদ ডাটা এনালিটিক্স মার্কেট বেড়ে দাঁড়াবে ২৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

আর এটা শুনে নিশ্চয়ই আপনি এতক্ষণে বুঝে ফেলেছেন যে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে হিউজ পরিমাণ টাকা ইনকাম করার জন্য কোন মাধ্যমকে জনপ্রিয়।

আর তাছাড়াও আপনি যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করেন তাহলে বুঝতে পারবেন বর্তমানে ব্যবসার ট্রেন্ড বুঝতে এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনার সাজাতে দক্ষ কর্মীদের নানা প্রকল্প নিচে নিয়োগ দাতারা।

আর এজন্য যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের আগ্রহী তাদের জন্য এই দক্ষতা বাড়তি আয়ের পথ খুলে দেবে। তাই আপনি যদি চান তাহলে ডাটা এনালিটিসে দক্ষ হয়ে থাকলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আপনার একটি উজ্জ্বল আলোকিত ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।

৪. ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট

গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের চাকরি আগের প্রান্তিকে পোস্ট হওয়া ৭৯২৫ থেকে ১২,৩২৯টিতে পৌঁছেছে। অর্থাৎ এই ঘাটে চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশেও বেশি। তাহলে বুঝতেই পারছেন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এই মাধ্যমটির কতটা জনপ্রিয়।

তাই আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং করে একটি দারুণ লেভেলে ইনকাম করতে চান তাদের জন্য একটি জনপ্রিয় মাধ্যম করা এবং এই সেক্টরে কাজ করা। 

৫. লেখালেখি

সত্যি বলতে রাইটারদের চাহিদা পড়বে ছিল এখনো আছে। আর সময় যত যাবে রাইটারদের কদর ততই বাড়তে থাকবে। কারণ সবকিছু সৃষ্টি টা হয়ে থাকে লেখালেখির মাধ্যমে।

বলতে পারেন ইমবাউট মার্কেটিং এর মত নতুন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে ডেভেলপমেন্টের জন্য কৃত্রিম লেখার ক্ষেত্রে রাইটিং কি এখন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আপনি জেনে অবাক হবেন যে মাসে কমপক্ষে 50000 থেকে 1 লাখ পর্যন্ত আয় করা সম্ভব রাইটিং এর মাধ্যমে। তবে writing বিভিন্ন বিভাগের হয়। সেগুলো হতে পারে কপিরাইটিং আবার হতে পারে আর্টিকেল রাইটার, টেকনিক্যাল রাইটার বা কনটেন্ট রাইটিং।

প্রতি বিভাগ ভেদে আয় এর পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলে খুব সহজেই লেখালেখির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। 

আমাদের শেষ কথা: তো পাঠক বন্ধুরা, ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকামের জন্য যেহেতু অনেক অনেক মাধ্যম রয়েছে তাই আপনি চাইলে যেকোনো একটি মাধ্যম অবলম্বন করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনার সুন্দর একটা ভবিষ্যতও অপেক্ষা করছে।

সবদিক বিবেচনা করে আমাদের সাজেস্ট করা এই পাঁচটি মাধ্যম আপনাদের জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। তো আপনাদের মতামত কি আমাদের কমেন্ট করে জানান। পরবর্তী আর্টিকেল সবার আগে পেতে আমাদের মায়াজাল ডট নেট ডট কম ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।  

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top