কিভাবে একজন সফল ইউটিউবার হবো ? সেরা ৬ টি টিপস

আজ ইউটিউব এমন একটি অনলাইন ইনকাম প্লাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার মাধ্যমে, মানুষ ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সাথে সাথে নিজেকে নিজের যে, কোনো ব্যবসায়ী পণ্য বা সার্ভিস ভিডিওর মাধ্যমে মানুষদের মাঝে প্রচার মার্কেটিং করে নিতে পারেন।

বিশেষ করে ইউটিউব থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা আজ একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই কিভাবে সফল ইউটিউবার হবো, সফল ইউটিউবার হওয়ার উপায় কি এবিষয়ে অনেকে জানতে আগ্রহী।

একজন সফল ইউটিউবার, ইউটিউব চ্যানেল গুলোতে, হাজার হাজার সাবস্ক্রাইব আছে। ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিও গুলো অনেক ভিউ হয়।

কিভাবে একজন সফল ইউটিউবার হবো ? সেরা ৬ টি টিপস

এবং যারা নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করে, তাদের আলাদা করে অন্য কোন কাজ করার চেষ্টা করতে হয় না।

এছাড়া অনেক ইউটিউবার আছে যারা এত সকল যে, নিজের ইউটিউব চ্যানেলকে একটি বিজনেস প্ল্যাটফর্ম হিসেবে, অনলাইন থেকে ইনকাম করে যাচ্ছে।

সফল ইউটিউবার বলতে আপনি কোন টার্গেট নিয়ে কাজ করছেন। সেটি কে বোঝানো হয়, আপনার জন্য ইউটিউব এর সফলতা হয়তো অন্য কোন মানে বা পরিকল্পনা হতে পারে।

তবে বর্তমান সময়ে 90% ইউটিউবে ইউটিউবে সফল হওয়া মানে, চ্যানেলের লক্ষ লক্ষ সাবস্ক্রাইব এবং আপলোড করা ভিডিও তে হাজার হাজার ভিউ হওয়া কে বোঝানো হয়।

কারণ এর ওপর একটা চ্যানেল ভালোভাবে দাঁড়িয়ে পড়ে এবং তারপর সেই ইউটিউব চ্যানেল টি অনলাইনের মাধ্যমে টাকা আয় করার সুযোগ করে দেয়। একজন সফল ইউটিউবার ছাড়া কেউ ধারণা করতে পারে না।

যদি কোন ভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল সফলতার রাস্তায় চলে যায়। এই ব্যবসা আপনাকে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বানিয়ে দিবে অল্প সময়ের মধ্যে।

কিভাবে একজন সফল ইউটিউবার হওয়া যায়। সে বিষয়ে নিচের টিপস গুলো জেনে নেয়া যাক।

একজন সফল ইউটিউবার হতে কি কি লাগে ?

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষ ইউটিউব এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার উদ্দেশ্যে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে সেখানে ভিডিও আপলোড করে। আপনিও যদি তাদের মতো ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে সেখানে ভিডিও তৈরি করেন।

তবে কিছুদিন মন দিয়ে কাজ করার পর হয়তো আপনি কাজ করা ছেড়ে দেন। তার কারণ আপনি ভিডিও আপলোড করছেন কিন্তু তার ফলে ভিউ বা সাবস্ক্রাইব বাড়ছে না।

এজন্য আমার আপনার মত অনেক লোক ইউটিউব থেকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যায়। তাই একজন ভালো ইউটিউবার সফল ইউটিউবার হওয়া এতটা কিন্তু সহজ ব্যাপার না আমরা যতটা সহজ ভাবি।

কিন্তু কিছু সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করে কাজ করে, আপনারা ইউটিউব চ্যানেলে অবশ্যই সফলতা বয়ে আনতে পারবেন।

প্রথমে আপনার প্রয়োজন হবে নিজের কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাস, কাজে মন থাকা এবং সফল হওয়ার ইচ্ছাশক্তি। এগুলো যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনিও ইউটিউব চ্যানেলে সফল হতে পারবেন।

এছাড়া একটা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে সেখানে সাকসেস হওয়ার জন্য, আপনার কিছু জিনিসের উপর নজর দিতে হবে। সেগুলো হচ্ছে-

আরো দেখুনঃ

সফল ইউটিউবার হওয়ার উপায়

একটি সফল ইউটিউব চ্যানেল বানানোর জন্য আপনার মন দিয়ে কাজ কর আর বাইরে আরো অনেক কিছু করতে হবে।

তবে কাজের প্রতি আগ্রহ ও উৎসাহ এবং সফল হওয়ার ইচ্ছা থাকলে। আপনি একজন সফল ইউটিউবার অবশ্যই হতে পারবেন।

এছাড়া আমরা নিচে যে, টিপস গুলো বলবো সেগুলো আপনি যদি কাজ করতে পারেন তাহলে দ্রুত আশা করা যায় ইউটিউবে আপনি সফল হতে পারবেন।

01. জনপ্রিয় ও কাজের বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করুন

আমাদের এই ওয়েবসাইটে ইউটিউব অনেক বার ইউটিউব নিয়ে অনেক টিউটোরিয়ালে প্রকাশ করেছি। আর সেখানে বলেছি যে, নিজের ইন্টারেস্ট নিয়ে ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করবেন। কিন্তু আমি কখনোই বলিনি যে মানুষের ইন্টারেস্ট বা রুচি না বুঝে ভিডিও তৈরি করুন।

কারণ আপনার ইউটিউব চ্যানেলের যদি শুধুমাত্র আপনার ইচ্ছাকৃতভাবে ভিডিও আপলোড করেন সেক্ষেত্রে কিন্তু কোন মানুষ আপনার ভিডিওগুলো দেখবে না।

তাই মানুষের চাহিদামত আপনাকে ভিডিও তৈরি করতে হবে যেগুলো সার্চ করে ,লোকেরা সহজে ইউটিউব চ্যানেলে পেয়ে যাবে এবং বিভিন্ন কাজের বিষয় শিখতে পারবে।

কারণ আপনি যদি আপনার ইচ্ছামত ভিডিও তৈরি করেন তাহলে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ইউটিউব সার্চ খুঁজে পাবে না। কারণ তাদের ইন্টারেস্ট আর আপনার পিন্টারেস্ট কখনোই এক হবে না।

যার ফলে আপনি ভিডিও তৈরি করতে থাকবেন কিন্তু সেগুলোতে কেউ আসবে না।

তার জন্য ভিডিওতে ভিউ করার জন্য আপনাকে এমন বিষয় খুঁজে বের করতে হবে যে বিষয়গুলো মানুষের মধ্যে অনেক জনপ্রিয়।

যে ভিডিও গুলো দেখে মানুষের উপকার হবে এবং কিছু শিখতে পারবে। সে সকল ভিডিও লোকেরা ইউটিউবে সার্চ করে খুঁজে থাকে তাই আপনাকে সেই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে।

আপনি যদি মানুষের চাহিদা মতো ভিডিও তৈরি করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি কী-ওয়ার্ডটি টুলস ব্যবহার করতে হবে।

আমরা আগের পোস্টে আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি। ইউটিউব এর জন্য কিভাবে বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন। আপনারা চাইলে, সে আর্টিকেলটি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে পড়ে নিতে পারেন।

ইউটিউব ভিডিওর কিওয়ার্ড রিসার্চ করার পর আপনারা যে কোন বিষয়ে ইন্টারনেটে কতবার সার্চ হয় সে বিষয়ে অবশ্যই জেনে নিতে পারবেন।

এরকমভাবে আপনি যদি কেউ আট রিসার্চ করে মানুষের রুচি সম্মত ভিডিও বানাতে পারেন।

তাহলে আপনার ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হবে এবং অনেক পরিমাণে আসবে যার ফলে আপনি সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন ইউটিউব থেকে।

02. আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল ভিডিও তৈরি করুন

ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করার সময় অবশ্যই আপনাকে আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করতে হবে।

আপনার ভিডিও যে, বিষয় নিয়ে বানানোর চিন্তা করছেন। সে বিষয়ে পুরো জ্ঞান নিয়ে তারপর আকর্ষণীয় তথ্য সংগ্রহ করে, ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করবেন।

যার ফলে আপনার ভিডিও দর্শকরা পুরোপুরি ভাবে দেখতে আগ্রহ বোধ করবে। আপনার ভিডিও অধীনে ইন্টারেস্টিং হবে এবং সকল প্রকার তথ্য মানুষ পেয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে মনে রাখবেন যতটা বেশি তথ্য দিয়ে তথ্যপূর্ণ ভিডিও তৈরি করবেন তত বেশি মানুষ আপনার ভিডিও দেখতে পছন্দ করবে।

আরো দেখুনঃ

আপনি ইউটিউবে যে কোন বিষয়ে সার্চ করে দেখুন প্রথম দশটি ফলাফল, যে গুলো ভিডিওতে থাকবে, সে গুলোর মধ্যে ভালো ভাবে ডিটেইলস দিয়ে ভিডিও তৈরি করা হয়েছে।

তাই এভাবে তথ্য সম্পূর্ণ ভিডিওগুলো ইউটিউবে সার্চ এ সবার আগে দেখানো হয়। তাই যেকোন ভিডিও তৈরি করেন না কেন তারপরও তথ্য জেনে তারপর ভিডিও তৈরি করুন তাহলে আপনি ভিডিও গুলো সহজেই ভাইরাল করতে পারবেন।

03. YouTube SEO এর ব্যাপারে ধ্যান দিন

ইউটিউব এর ভিডিও তে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে অধিক ভিউ পাওয়ার জন্য। সব থেকে জরুরি বিষয় হচ্ছে ইউটিউব ভিডিও এসইও।

ইউটিউব এসইও কি? কিভাবে করতে হয় এ বিষয়ে আমরা আগের আর্টিকেলে বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছি। আপনারা চলে সেই আর্টিকেলটি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে পড়ে নিতে পারেন।

ভিডিও গুলো সঠিকভাবে এসইও ব্যবহার করলে গুগল সার্চ এবং ইউটিউব ভিডিও সার্চ থেকে অধিক পরিমাণে ভিউয়ার সহজে পাওয়া যায়। যার ফলে ইউটিউব চ্যানেল অনেক সফলতার দিকে এগিয়ে যায়।

তাই প্রতিটি ভিডিও আপলোড করার পর, সেগুলোতে সঠিক ভাবে প্রয়োজনীয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন প্রয়োগ করবেন।

04. মানসম্মত ভিডিও তৈরি করুন

বর্তমান সময়ে ইউটিউবে গিয়ে যে কোন বিষয় নিয়ে সার্চ করে, দেখলে আপনারা সেই একই টপিকে অনেক ভিডিও গুলো দেখতে পারবেন।

মানে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ইউটিউবে ভিডিও তৈরী করে আপলোড করছে। তাই প্রতিযোগিতার অনেকগুণ বেড়ে যাচ্ছে।

মানুষের কাছে তাদের সমস্যার সমাধান পাওয়ার অনেক ইউটিউব ভিডিও আছে। যেগুলো দেখে তারা যে কোন জিনিসের বিষয়ে সহজেই জ্ঞান অর্জন করতে পারে।

এজন্য আপনি মানসম্মত ভাবে ভিডিও তৈরী না করতে পারলে। ইউটিউবে বর্তমান সময়ের সফলতা পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।

আপনার এমন কিছু বিষয় খুঁজে ভিডিও তৈরি করতে হবে এগুলোর ব্যাপারে কিছু ভিডিও ইন্টারনেট ইউটিউবে এখনো নেই।

সহজভাবে বলতে গেলে এমন বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করবেন যে বিষয়ে জানতে চান। কিন্তু সে ভিডিও আগে থেকে ইউটিউবে আপলোড করার নেই।

আরো পড়ুনঃ

আপনার যদি কোন আলাদা ট্যালেন্ট থাকে। আপনারা এমন কিছু ভিডিও তৈরি করবেন। যেগুলো মানুষ দেখতে চান? কিন্তু ইউটিউবে সেগুলো খুঁজে পান না সে বিষয়গুলো নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে।

এরকমভাবে ক্রিয়েটিভ কাজ করলে সহজে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে হিউজ পরিমান ভিউ চলে আসবে এবং সাবস্ক্রাইব বাড়তে থাকে।

একটি ভিডিওর কোয়ালিটি আপনাকে নজর দিতে হবে। কারণ বর্তমানে 4জি এর যুগ এবং ফাস্ট ইন্টারনেট সকলেই ব্যবহার করে।

তার জন্য আপনার ভিডিও কোয়ালিটি এইচডি হতে হবে। সেখানে কিছু আকর্ষণীয় ভিডিও ইফেক্ট অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

যত বেশি ভালো নিজের ভিডিওতে প্রেজেন্ট করতে পারবেন। তত মানুষ আপনার ভিডিওটি দেখে আকর্ষিত হবে।

05. নিজের চ্যানেলের বিষয় (niche) মনে রেখে ভিডিও তৈরি করুন

একজন সফল ইউটিউবার সবসময় ইউটিউব চ্যানেলের বিষয় অনুসরণ করে ভিডিও তৈরি করে। এবং আমাদের বর্তমান সময়ে যারা নতুন ইউটিউবার হয়ে যাত্রা শুরু করেছে।

তারা ইউটিউব চ্যানেলের বিষয়টি বাদ রেখে সেখানে বিভিন্ন ধরনের, আজেবাজে ভিডিও আপলোড করে যার ফলে তারা তেমন ভিউ পায় না।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও তৈরি করার সময় অবশ্যই আপনার ইউটিউব এর নিস ভিডিও তৈরি করতে হবে।

কারণ আপনার ইউটিউব চ্যানেল টা যদি টেকনোলজি বিষয় হয়ে থাকে সেখানে যদি আপনি চাকরির খবর দেন তাহলে কিন্তু হবে না।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে দ্রুত সফলতা পেতে চাইলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নিস মোতাবেক ভিডিও তৈরী করে, আপলোড করতে হবে।

06. নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন

আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে সেখানে সফলতা অর্জন করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত হতে হবে।

ইউটিউবে নিয়মিত কাজ করা মানে প্রতিদিন নয়। আপনি চাইলে প্রতি মাসে 10 থেকে 15 টি ভিডিও নিয়মমাফিক আপলোড করতে পারেন।

সেই সময়টি আপনাকে সঠিকভাবে নির্ধারণ করে নিতে হবে যাতে প্রতিমাসে আপনি 15 টি করে ভিডিও আপলোড করতে পারেন।

কারণ আপনার ইউটিউব চ্যানেল যে বিষয়ে ভিডিও আপলোড করেন সে বিষয়ে অনেক ভিজিটর পেয়ে যাবেন।এবং ভিজিটর আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কবে ভিডিও আপলোড হবে সে বিষয়ে অপেক্ষা করে থাকবে।

কিন্তু আপনি যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভিডিওগুলো আপলোড না করেন। সেক্ষেত্রে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটটি এড়িয়ে চলবে আপনার ভিউ কমে যাবে।

তাই আপনাকে অবশ্যই ইউটিউবে কাজ করার জন্য নিয়মিত হতে হবে, তাহলেই সফলতা পাবেন।

অবশ্যই পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই পোস্টে আপনাকে শিখিয়ে দেয়া হলো, কিভাবে একজন সফল ইউটিউবার হতে হয়। বর্তমান সময়ে যারা ইউটিউব চ্যানেলে সফলতা অর্জন করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে তারা সকলেই এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে কাজ করে গেছে।

আপনিও যদি ইউটিউবে সফল হতে চান তাহলে আপনাকে এই টিপস গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই আপনার কাছে একটি কমেন্ট আশা করছি।

এছাড়া, আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত ইউটিউব বিষয়ে এবং অনলাইন ইনকাম বিষয়ে নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চান ভিজিট করুন ধন্যবাদ।