৩৫ টি কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক

আমাদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদের কম্পিউটার বিষয়ক অনেক ধরনের পোষ্ট পাবলিশ করে রেখেছি। সেই লক্ষ্যে আজ আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দিব। কম্পিউটারের জনপ্রিয় কিছু কীবোর্ড শর্টকাট কোড সম্পর্কে।

৩৫ টি কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক
৩৫ টি কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক

আপনি যদি কম্পিউটার ব্যবহার করেন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাজের সাথে অবশ্যই কি-বোর্ডের শর্টকাট গুলো ব্যবহার করতে হবে।

আর আপনি যখন, কম্পিউটারের কীবোর্ড শর্টকাট গুলো নিজের আওতায় নিতে পারবেন। তখন আপনি অল্প সময়ের মধ্যে কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন।

তাই আপনি যদি কম্পিউটারের সাধারণ জ্ঞান এবং কম্পিউটারের দক্ষতা উন্নয়ন করার জন্য কি-বোর্ডের কিছু জনপ্রিয় শর্টকাটগুলো শিখে নিতে পারেন তাহলে আপনার অনেক লাভ হবে।

মনে করুন আপনি কম্পিউটার দিয়ে টাইপিংয়ের কাজ করছেন। সেই সময় আপনার বিভিন্ন ধরনের লেখা কপি করার প্রয়োজন হয়, এবং পেস্ট করার প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি বারবার মাউস ধরেন।

তাহলে কিন্তু আপনার অনেক সময় ব্যয় হয়ে যাবে। তার জন্য আপনি যদি কিবোর্ডের শর্টকাটগুলো মুখস্ত করতে পারেন। তাহলে দ্রুত কাজগুলো সম্পাদন করতে পারবে।

আমরা আশা করি যে সকল কি-বোর্ডের শর্টকাট টেকনিক গুলো আপনাকে জানিয়ে দেবো। সে গুলো আপনার অনেক কাজে লাগবে। সেটি অফিসের কাজে ব্যবহার করুন, বা নিজের পার্সোনাল কাজে ব্যবহার করুন।

এই শর্টকাটগুলো আপনি যদি জেনে রাখতে পারেন। তাহলে কম্পিউটারের বিষয়ে অনেক দক্ষ হয়ে উঠবেন।

আপনি যদি কোন অফিসিয়াল কাজ করেন। যে গুলোতে কম্পিউটার ব্যবহার অনেক জরুরী। তবে, কম্পিউটারের সকল সর্টকাট জেনে রাখা ভবিষ্যতে, আপনার জন্য অনেক লাভজনক হবে বলে আশা করা যায়।

তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক কম্পিউটারের কীবোর্ড শর্টকাট কোড গুলো টেকনিক সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ

৩৫ টি কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক

শর্টকাট বলতে আমরা আলাদা আলাদা উইন্ডোজ প্রোগ্রামের জন্য, আলাদা আলাদাভাবে শর্টকাট-কী ব্যবহার করতে পারি। বা ব্যবহার করে যাচ্ছি যেমন-

আপনি যদি মাইক্রোসফট অফিস, ওয়ার্ড, এক্সেল, এক্সেল এবং পাওয়ার পয়েন্ট ইত্যাদি ব্যবহার করেন। তাহলে তার জন্য আলাদা আলাদা শর্টকাট কী অবশ্যই রয়েছে।

এরকম ভাবে আলাদা আলাদা উইন্ডোজ প্রোগ্রামের জন্য যেমন, গুগল ক্রোম ব্রাউজার, উইন্ডোজ, এমএস ওয়ার্ড, ফাইল এক্সপ্লোরার, মজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজার ইত্যাদি। ব্যবহার করার সময় আপনার আলাদা আলাদা উইন্ডো শর্টকাট কোড বা কী ব্যবহার করতে হবে।

তার কারণ, কম্পিউটার আলাদা আলাদা প্রোগ্রাম ব্যবহার করার সময়। আপনার আলাদা আলাদা ফাংশন এর প্রয়োজন হতে পারে।

এছাড়া কিবোর্ডের অনেক প্রকার শর্টকাট কী আছে, যেগুলো সব জায়গায় একই ভাবে ব্যবহার করা যায়। এর মানে সকল প্রকার প্রোগ্রামিং সেই শর্টকাট কোড গুলো এ কিভাবে কাজ করে থাকে।

যেমন- Ctrl+C আপনি এটির মাধ্যমে কম্পিউটারের যেকোন ফাংশনে গিয়ে কপি করতে পারবেন। শুধু এই শর্টকাট কী ফর্মুলা ব্যবহার করে।

তো চলুন এখন জেনে নেয়া যাক, কম্পিউটারে সব চেয়ে জনপ্রিয় ও প্রয়োজনীয় কীবোর্ড শর্টকাট সম্পর্কে।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর শর্টকাট-কী টেকনিক ?

আপনি যদি অফিসে বা স্কুলের কাজে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করেন। তাহলে নিচের দেয়া কীবোর্ড শর্টকাট গুলো ব্যবহার করে, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর কাজে নিজেকে এক্সপার্ট বানিয়ে নিতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ

কীবোর্ড শর্টকাট কী মাইক্রোসফট ওয়ার্ড যেমন-

  1. Shift + F10 = শর্টকাট মেনু পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
  2. F4 = ফাংশন কী এর ব্যবহার করে আপনারা আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবেন।
  3. F5 = ফাংশন কী এর ফাংশন কী এর F5 ব্যবহার করে, এমএস ওয়ার্ড এর কাজ করার সময়। আপনার যদি কোন ডকুমেন্ট আলাদা পেজে যেতে চান। তাহলে F5 কী ব্যবহার করে, পেজের নম্বর ব্যবহার করে। ডকুমেন্ট এর যে কোন পেজে প্রবেশ করতে পারবেন।
  4. এছাড়া, F5 ব্যবহার করে, আপনারা কম্পিউটারে যে ভাবে মাউস দিয়ে রিফ্রেশ করেন, রিফ্রেশ করার কাজটিও কিন্তু আপনারা এই কী দিয়ে করতে পারবেন।
  5. Ctrl + F2 = এর মাধ্যমে এমএস ওয়ার্ড এর ডকুমেন্ট প্রিন্ট দেওয়ার আগে প্রিন্ট প্রিভিউ করে দেখা যায়।
  6. Ctrl + A = এটির কাজ হলো ডকুমেন্ট এর সকল টেক্সট/ লেখা সিলেক্ট করতে পারবেন।
  7. Ctrl + B = এর মাধ্যমে আপনি যে কোন টেক্সট Bold মানে গাঢ় করতে পারবেন।
  8. Ctrl + C = এটির মাধ্যমে আপনি যে কোন লেখা বা লাইন সিলেক্ট করে কপি করতে পারবেন।
  9. Ctrl + E = এটি ব্যবহার করে টেক্সট/ বা লেখা গুরো পেজের মাঝ (Center) বরাবর নিয়ে আসতে পারবেন।
  10. Ctrl + F = এর মাধ্যমে যে কোন শব্দ বা কাক্য খুজার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
  11. Ctrl + I = এর মাধ্যমে আপনি যে কোন লেখা সিলেক্ট করে Italic ফন্টে লিখতে পারবেন। যেমন- jit.com.bd
  12. Ctrl+ K = এর মাধ্যমে আপনার সিলেক্ট করা লেখাতে Hyperlink- URL Web Address যুক্ত করতে পারবেন।
  13. Ctrl + L = এর মাধ্যমে যে কোন লেখা সিলেক্ট করে পেজের বাম পাশে নিয়ে যেতে পারবেন।
  14. Ctrl + N = এর মাধ্যমে আপনারা যে কোন নতুন ডকুমেন্ট খোলতে পারবেন।
  15. Ctrl + O = এর মাধ্যমে ওয়ার্ড ফাইলে কাজ করার পরে, যে ডকুমেন্ট সেভ করে রাখবেন। সেটি খুজেঁ বের করতে পারবেন। মানে সেভ করা ডকুমেন্ট খোলার কাজ করে।
  16. Ctrl + S = এর মাধ্যমে যে কোন ডকুমেন্ট কাজ করার পরে সেভ করতে পারবেন।
  17. Ctrl + U = এর মাধ্যমে যে কোন লেখা বা লাইন সিলেক্ট করে Underline দিতে পারবেন।
  18. Ctrl + V = এর মাধ্যমে যে কোন কপি করা লেখা নির্দিষ্ট জায়গায় পেস্ট/ Paste করতে পারবেন।
  19. Ctrl + X = এর মাধ্যমে যে কোন লেখা সিলেক্ট করে ক Cut করতে পারবেন।
  20. Ctrl+ Z= এর মাধ্যমে ওয়ার্ড ফাইলে বা যে কোন ফাইলে কাজ করার সময় যদি কোন কিছু ভুল হয়। সেক্ষেত্রে Ctrl+Z চাপলে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে।
  21. Ctrl + Shift + C = Copy Formats ব্যবহার করার জন্যে।
  22. Ctrl + Shift + D = এর মাধ্যমে যে কোন লেখা Double Underline ব্যবহার করা যায়।
  23. Ctrl + Shift + F = এর মাধ্যমে যে কোন লেখার ফন্ট স্টাইল পরিবর্তন করা যায়।
  24. Ctrl + Shift + H = এর মাধ্যমে কিছু লুকানো Text Formatting Apply করা যায়।
  25. Ctrl + Home = এর মাধ্যমে ডকুমেন্ট এর শুরুতে যাওয়া যায়।
  26. Ctrl + Delete = এর মাধ্যমে আমরা যে কোন লেখা ডান পাশ থেকে ডিলিট করতে
  27. Ctrl + Back-Space এর মাধ্যমে যে, কোন লেখা বাম পাশের শব্দ ডিলিট করা যায়।

এম এস ওয়ার্ড কীবোর্ড শর্টকাট এম এস ওয়ার্ড কীবোর্ড শর্টকাট  এম এস ওয়ার্ড কীবোর্ড শর্টকাট  এম এস ওয়ার্ড কীবোর্ড শর্টকাট  এম এস ওয়ার্ড কীবোর্ড শর্টকাট  এম এস ওয়ার্ড কীবোর্ড শর্টকাট  এম এস ওয়ার্ড কীবোর্ড শর্টকাট

তো আপনি যদি এমএস ওয়ার্ড এ অফিসিয়াল কাজ করতে চান। তাহলে আপনার অবশ্যই উপরের দেওয়া কীবোর্ড শর্টকাট গুলো ব্যবহার করতে হবে।

আর এ শর্টকাটগুলো ব্যবহার করার ফলে, আপনারা সহজেই অল্পসময়ের মধ্যে কাজ গুলো শেষ করতে পারবেন।

উইন্ডোজের অন্যান্য শর্টকাট-কী এবং টেকনিক ?

আমরা এখন আপনাকে কম্পিউটারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং কিবোর্ড এর অন্যান্য শর্টকাট গুলোর বিষয়ে। যেগুলো সাধারন কম্পিউটারে, ব্যবহার করার কাজে লাগে।

আরো পড়ুনঃ

এবং কম্পিউটারে দ্রুত কাজ করার জন্য, এই কীবোর্ড শর্টকাট টেকনিক গুলো, অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন-

  1. Windows Key + R = কম্পিউটার স্টার্ট মেনু চালু করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
  2. Windows Key + E = একি ব্যবহার করে ফাইল এক্সপ্লোর চালু করতে পারবেন।
  3. Alt + Tab = এর মাধ্যমে কম্পিউটারের খোলা থাকা প্রোগ্রাম গুলো সিলেক্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
  4. Windows Key + Up Arrow Key = এর মাধ্যমে বর্তমান অবস্থায় চালু থাকা উইন্ডোজ ম্যাক্সিমাইজ বা ফুল স্ক্রিন করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
  5. Ctrl + Shift + Esc = এর মাধ্যমে কম্পিউটারে Task Manager খোলার জন্য ব্যবহার করা হয়।
  6. Alt + F4 = যে কোন ফাইল বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটার বন্ধ করার শর্টকাট
  7. F1 = এর মাধ্যমে চালু থাকা এপ্লিকেশন এর Help Menu চালু করা যায়।
  8. Windows Key + M = এর মাধ্যমে সকল প্রকার উইন্ডোজ স্ক্রিণ Minimize করা যায়।

আপনি যদি উইন্ডোজভিত্তিক কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাহলে, এই শর্টকাটগুলো আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটার শর্টকাট pdf

আরো পড়ুনঃ

সর্বোপরি আমাদের কথাঃ

আপনি যদি অফিসিয়াল কাজ বা ব্যক্তিগত কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে আপনাকে অবশ্যই উপরে দেওয়া কীবোর্ড শর্টকাট গুলো মুখস্ত করতে হবে। যার ফলে আপনারা দেশের সময় কাজ গুলো অল্প সময়ে করে নিতে পারবেন।

৩৫ টি কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক ৩৫ টি কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক ৩৫ টি কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক

আমাদের আর্টিকেল আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বিশেষ করে, এই পেজের লেখা গুলো ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

৩৫ টি কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক ৩৫ টি কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক ৩৫ টি কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক ৩৫ টি কম্পিউটার কিবোর্ড শর্টকাট কোড এবং টেকনিক

আর প্রতিদিন আমাদের এই মায়াজাল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চাইলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top