মাইক্রোসফ্ট কি? মাইক্রোসফট আসলে কতটা বড়? বিস্তারিত জানুন

গুগলের সবচেয়ে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনএফ এবং হলোলেন্স এর মালিক কে বলতে পারেন? অথবা বিশ্ব বিখ্যাত গেমিং কোম্পানি এক্সবক্স কিনবা স্কাইপি অথবা লিংকডইনের মালিক কে আপনার জানা আছে?

অথবা বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে সহজ মূল্যে ভালো মানের কম্পিউটার দেওয়ার সবচেয়ে সহজ পথ থেকে বেছে নিয়েছিলেন সেটা কি আপনার জানা আছে?

ওকে খুব বেশি টেনশন নেবার কোন কারণ নেই। সব প্রশ্নের একটাই উত্তর মাইক্রোসফট, বিল গেটস। আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের মত আমিও বেশ অপেক্ষায় ছিলাম।

সত্যিকার অর্থে আপনার জন্য অনেক বড় সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে। আর্টিকেল টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।জেনে নিন মাইক্রোসফট সম্পর্কে।

চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচিতি

1955 সালে উয়িলিয়াম হেনরি গেটস, বর্তমান বিল গেটস এর জন্ম হয় ওয়াশিংটনের সিয়াটলে। সেইসাথে জন্ম হয়েছিল তার পরবর্তী এক পৃথিবী কে বদলে দেওয়া ব্যক্তির নাম।

ছোটবেলার বিল গেটসকে সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় গেম খেলতে খুব পছন্দ করতেন। 1960 সালে বিল গেটস প্রথমবারের মতো স্কুল যাত্রা শুরু করেন এবং একই বছর মাইক্রোকম্পিউটারের আবিষ্কার হয়। সারা পৃথিবীতে তখনকার সময়ে মাইক্রো কম্পিউটার ছাড়া অন্যান্য কম্পিউটারের দাম ছিল আকাশচুম্বী।

তখনকার সময়ে কম্পিউটারের দাম ছিল বর্তমানে প্রায় 1 লক্ষ 50 হাজার ডলারের কাছাকাছি। যার ব্যবহার হতো বড় বড় কোম্পানি কিংবা ইউনিভার্সিটির মত বড় নামি দামি প্রতিষ্ঠানগুলোতে। যার ফলে সে সময়ে মাইক্রোকম্পিউটারের ছিল সবার জন্য সহজলভ্য।

ছোটবেলা থেকেই বিলগেটস কম্পিউটার কিংবা কম্পিউটার টাইপ এর বিভিন্ন ডিভাইস এর প্রতি আগ্রহী ছিলেন এবং তার বন্ধুরা মিলে সেসময় মাইক্রো কম্পিউটার সম্পর্কে জানার ব্যাপারে বেশ উৎসাহী হয়ে পড়লেন এবং একটা সময় তারা নিজেরাই মাইক্রোকম্পিউটারের জনক দল শেখা শুরু করলেন।

সে সময় বিল গেটসের খুব কাছের বন্ধু ছিলেন এলেন। মাইক্রোসফট এর মূল গল্পের শুরু হয় 1974 সালে।সে সময় বিল গেটস চলে যান হার্বাট ইউনিভার্সিটি তে পড়াশোনা করার জন্য এবং এলেন চলে যান ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি তে পড়াশোনা করার জন্য।

কিন্তু পরবর্তীতে এলেন হানিওয়েল কোম্পানিতে জব করতে চলে যান। সে সময় বাজারে আসে আন্টি আর 8018 মাইক্রোকম্পিউটার, যেটি তৎকালীন সময়ে সবচেয়ে ভালো মানের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এবং ছিল সবচেয়ে ভালো মানের মাইক্রোকম্পিউটার।

কোন কিছু না ভেবে এলেন একদিন হুট করেই বিল গেট্স এর কাছে চলে যান কম্পিউটার নিয়ে। বিল গেটস কম্পিউটারে দেখার পর তিনি ভাবলেন কম্পিউটারের জন্য তারা কোন সফটওয়্যার তৈরি করতে পারেন , যে সফটওয়ারের সাহায্যে কম্পিউটারটিতে খুব ভালোভাবে কাজ করবে।

যেই ভাবা সেই কাজ। এলেন চলে গেলেন আন্টির কোম্পানিতে এবং তাদেরকে গিয়ে তিনি বললেন তাদের কাছে একটি সফটওয়্যার আছে যেটা কম্পিউটারটিতে খুব ভালোভাবে কাজ করবে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে তখনও তৈরির ডিজাইন ঠিকভাবে করা হয়ে ওঠেনি এবং পরে এলেন কে চিঠি দিয়ে কোম্পানিটি তার কাছে সফটওয়্যারটি চাইলেন।

পরবর্তীতে পাঠালেন এবং বিল গেটস দুজন মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ সফটওয়্যার তৈরি করলেন এবং কোম্পানির কাছে জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে গেলেন।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য,সে সময়ে সফটওয়্যারটি সব ধরনের টেস্ট এ উত্তীর্ণ হয়ে যায় এবং পৃথিবী দেখলো প্রথমবারের মতো কোনো থার্ডপার্টি সফটওয়্যার। সফটওয়্যার উদ্ভাবনের অবিস্মরণীয় সফলতার পর এলেন এবং বিল গেটস মিলে কোম্পানির নাম মাইক্রোসফ্ট যার উদ্দেশ্য ছিল সফটওয়্যার ফর মাইক্রোকম্পিউটার।

প্রথমবারেই সফলতার পর বিল গেটস এবং তাদের অফিস স্থানান্তর করেন ওয়াশিংটনের বেলভিউতে। তখন 1979 সাল, মাইক্রোসফ্ট ভেবেছিল তারা তাদের একটি অপারেটিং সিস্টেম বাজারে নিয়ে আসবে। একই সময়ে আইবিএম বাজার প্রসিদ্ধ বিভিন্ন কোম্পানির কাছে অপারেটিং সিস্টেম চেয়েছে।

তখনকার প্রসিদ্ধ সব কোম্পানির কাছে খুব চড়া দামে তাদের অপারেটিং সিস্টেম বিক্রি করতে চেয়েছিল, কিন্তু বিল গেটস ভিন্ন কিছু ভেবে বসেছেন। তিনি আইবিএম এর কাছে অপারেটিং সিস্টেম বিক্রি করেছেন এককালীন 50 হাজার ডলারের বিনিময়ে।

যাতে অপারেটিং সিস্টেমের স্বত্বাধিকার থাকবে microsoft-এর নামে এবং সাইনিং রেজিস্ট্রেশন হবে আইবিএম এর নাম এবং বাজারে বিক্রি হওয়া প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেমের বিনিময়ে তাকে শুধু মাত্র 1 ডলার করে দিতে হবে। এমন চুক্তিতে রাজি হয়ে যায়।

এমন অসাধারণ চিন্তাভাবনা করে তৈরি করা এই চুক্তিকে ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা চুক্তি বলেও আখ্যায়িত করা হয়েছে।

অনেকবার এবং সারা পৃথিবী জুড়ে কম্পিউটারের নাম হয়ে যায় মাইক্রোসফ্ট। সে সময়ে প্রায় 92 পার্সেন্ট মার্কেট দখল করে নেয়।

উইন্ডোজ পিসি এবং রাতারাতি দুনিয়া বনেছেন বিল গেটস এবং পৃথিবীতে সবচেয়ে পরিচিত মুক্তির একজন হয়ে ওঠেন বিল গেটস এবং দ্রুত একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে পরিণত হয় মাইক্রোসফ্ট। সে সময়ে বেশ ভালো জনপ্রিয় ছিল আমেরিকার বাজারে। কিন্তু মাইক্রোসফট থেকে এর দাম ছিল অনেক বেশি।

অন্যদিকে অ্যাপেল থেকে microsoft-এর ম্যানপাওয়ার ছিল অনেক বেশি এবং ভালো পর্যায়ের ফলে অ্যাপেল তাদের কিছু সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর কাজ দিয়েছিল মাইক্রোসফটকে।

1984 সালের দিকে বাজারে এবেলেবেল থাকা মেকিন্টোসের জন্য মেকিন্টোসের ছিল পৃথিবীতে প্রথম কোন কম্পিউটার যাতে গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করা হয়েছে এবং যার ডেভলপ করেছে মাইক্রোসফট।

এখান থেকে অ্যাপেল এবং microsoft-এর সবচেয়ে বড় শত্রুতামূলক প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়ে যায় কারণ সে সময় বিল গেটস ঘোষণা দিয়েছিলেন পরবর্তী বছরেই তিনি উইন্ডোজ পিসিতে একই ধরনের গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করতে যাচ্ছেন।যে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি স্টিভ জবস।

যুক্তিক ভাবে এসে গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের মালিক কিন্তু অ্যাপ্লি ছিল যার ফলে আপেল এবং microsoft-এর সম্পর্ক সত্যিকার অর্থে অনেক বেশি কমপ্লিকেটেড হয়ে যায়।

একই সময়ে জবস এবং স্টিভ ওজনিয়াক এর মধ্যে অন্তর্কোন্দল চরমে পৌঁছায়।ফলে স্টিভ জবস অ্যাপেল সিরিজ নেক্সট এ চলে যান। একদিকে অ্যাপেল মার্কেট হচ্ছে অন্যদিকে মাইক্রোসফটে মার্কেট খুব দ্রুতই উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।

অ্যাপেল microsoft-এর দুবছর পরেই মাইক্রোসফট তাদের আইপিও নিয়ে আসে বাজারে এবং শুরুতেই তিনজন বিলিনিয়র এবং আনুমানিক 12000 বিলোনিয়ার তৈরি হয় microsoft-এর এমপিদের মধ্যে।

সময়ের পরিক্রমায় মাইক্রোসফট ভালো উন্নতি করেছে। 1990 সালে তারা প্রথমবারের মতো microsoft-office নিয়ে বাজারে হাজির হয়। যাতে ছিল microsoft-office এবং মাইক্রোসফট এক্সেল যার ফলে সারা বিশ্বজুড়ে উইন্ডোজ এর চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে যায়।

তারা সারা বিশ্বের কম্পিউটার মার্কেট করতে শুরু করে 1994 সালের ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস মামলায়। পরে বিল গেটসকে বেশ যন্ত্রণা পোহাতে হয় এবং পাবলিকলি তিনি হেনস্থার শিকারও হন।

অল্পদিনের মধ্যেই দৃশ্যপটে অন্যকিছু ভেসে আসলো। 1997 সাল অ্যাপেল ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় বসেছিল। মহা এই বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য একজন এগিয়ে আসেন। তিনি ছিলেন বিলগেটস।

মাধ্যমে শেষ হয় না অ্যাপেলের ব্যাংকঋণের 150 মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে অ্যাপেল কে রীতিমত পথহারা কোম্পানি থেকে পথে নিয়ে আসেন।

পরবর্তীতে তারা একটি এগ্রিমেন্টে চলে যান যার ফলস্বরূপ পরবর্তী পাঁচ বছর অ্যাপেল এর যতগুলো কম্পিউটার বাজারে আসবে তার সবগুলোর সাথে। microsoft-office সুইট এবং ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে না। এখনো পর্যন্ত রয়েছে।

বর্তমানে সারা পৃথিবীতে যতগুলো পিসি ব্যবহৃত হচ্ছে তার 75 থেকে 70 পার্সেন্ট মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত। চলতি বছরে বিশ্বের সেরা ম্যাগাজিনের 100 কোম্পানির তালিকার মধ্যে microsoft-এর অবস্থান রয়েছে ষোলতম।

বর্তমানে microsoft-এর মালিকানাধীন রয়েছে অসংখ্য কোম্পানি। যার মধ্যে রয়েছে নোকিয়া, এক্সবক্স, link3webmail, বিন গিটহাব, এমএসএমএস, স্কাইপি সহ আরো অনেকগুলো কোম্পানির 1987 সালের 30 শে জুলাই মাইক্রোসফ্ট প্রথমবারের মতো কোন কোম্পানিকে একবার করে নেয়। যে কোম্পানির নাম ছিল একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার।

কোম্পানি সেই থেকে আজ পর্যন্ত মাইক্রোসফ্ট 226 টি কোম্পানি কে অ্যাড করেছে। যে কোনো না কোনোভাবে microsoft-এর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার মতো ছিল অথবা সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল।

সবগুলোকেই মাইক্রোসফ্ট নিজেদের করে নেয়। এখানেই শেষ নয়। বর্তমানে সারা পৃথিবী জুড়ে এমন আরো 100 টিরও বেশি কোম্পানি রয়েছে যেগুলোতে সরাসরি microsoft-এর শেয়ার রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ আমেরিকার বিখ্যাত এবং অ্যামাজনের মালিকানাধীন অডিও live.com এর কথাই বলা যায় এবং মাইক্রোসফটের এশিয়া রয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত ওভারে টিএনটি। এবং ফেসবুকে বর্তমানে মাইক্রোসফ্ট আমেরিকার থার্ড লার্জেস্ট কোম্পানি ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে পৌঁছার গৌরব অর্জন করেছে।

এর আগে রেকর্ড ছিল শুধুমাত্র অ্যাপেল এবং অ্যামাজনের। বিল গেটস এর পরে মাইক্রোসফটকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে তুলে নেওয়ার জন্য একজনের সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করেছেন এবং বেশি শুনেন কমিয়েছেন। তিনি হচ্ছেন সাথিয়া নাদেলা।

যিনি বর্তমানে মাইক্রোসফট এর সিইও। তার অধীনেই মাইক্রোসফট দিনের মতো কোম্পানিগুলোকে এড করতে সক্ষম হয়েছে এবং তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি মাইক্রোসফট এর সাথে অ্যাপেলের শব্দ বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বিশাল এক প্রস্তুতি হাতে নিয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন আইফোনের পরবর্তী ভার্সনগুলোতে ওনাকে ছোট অফিস সাইট ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

2018 সালে পশ্চিম গুলো ব্যান্ডেড কোম্পানির তালিকা মাইক্রোসফট এর অবস্থান ছিল 30 তম। মাইক্রোসফট অ্যামাজনের এ ডব্লিউ এর পরেই পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্লাউড সার্ভিস প্রোভাইডার।

2015 সালে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ টেন রিলিজ এর পরপরই সেটা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়ে যায়।বর্তমানে সারাবিশ্বে প্রায় 45% পিসিতে উইন্ডোজ টেন ব্যবহার হয়ে আসছে।

বর্তমানে সারা বিশ্বজুড়ে মাইক্রোসফটের কাছে 1 লক্ষ 44 হাজার 146 জন এমপি এবং 2018- 19 অর্থবছরে মাইক্রোসফট আয় করেছে 125 দশমিক 8 বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে microsoft.net ইনকাম ছিল 39 দশমিক 2 বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং তাদের টোটাল অ্যাসেট রয়েছে 286.15 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের।

মাইক্রোসফ্ট নিয়ে এসেছে মাইক্রোসফট সারফেস। যার ফলে কোম্পানিটি সফটওয়্যার থেকে হার্ডওয়ার মার্কেটিং নিজেদের অবস্থান ধরে নিতে শুরু করেছে।

প্রথমদিকে মাইক্রোসফট উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ব্যবসা করে আসলেও বর্তমানে উন্নত ও উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত প্রায় সব দেশেই তাদের ব্যবসার সমানতালে পরিচালিত করে আসছে।

2006 সালে মাইক্রোসফট ইউটিউবকে কেনার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেছে মাত্র পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বিনিময় এবং ছয় মাস পরে গুগোল ইউটিউব কে কিনে বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।

এবং চ্যালেঞ্জ নিলে আরো একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যার নাম ছিল ট্রাইব ডাটা যা মূলত ট্রাফিক। যেটা নিয়ে কাজ করতেছি। তার জীবনে অনেক সম্মান কামিয়েছেন কিন্তু মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করার আগে বিল গেটস দুবার বিনা লাইসেন্সে ড্রাইভিং করার অপরাধে পুলিশের হাতে রেস্ট হয়েছিলেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top