ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম, বর্তমানে আপনারা হাতে থাকে স্মার্টফোনের সাহায্যে ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে পারবেন অনলাইনে।
আপনার ভোটার আইডি কার্ডে নাম যদি ভুল থাকে কিংবা নামের বানান যদি কোন প্রকার ভুল থাকে তাহলে মুহূর্তের মধ্যে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে জানাবো ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার নিয়ম ও ভোটার আইডি কার্ডে নাম সংশোধন করার জন্য আপনাদের যে সকল তথ্য প্রয়োজন হবে সকল প্রকার তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
আপনারা যারা ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট আর্টিকেল লেখা শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে
বন্ধুরা আপনারা যারা ভোটার আইডি কার্ড এর নাম সংশোধন করতে চাচ্ছেন প্রথমে আপনাদেরকে জানতে হবে আপনাদের নাম সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো কি কি লাগবে।
বন্ধুরা আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ভোটার আইডি কার্ড নিজ নাম সংশোধনের করার নিয়ম আবেদন সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো।
জন্য প্রথমে আমরা আপনাদেরকে জানাচ্ছি কিভাবে আপনারা ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করবেন এবং নাম সংশোধন করার জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো লাগবে সেগুলো নিম্নে দেওয়া হবেঃ
- এসএসসি সনদ অথবা সম্মানের যেকোনো পরীক্ষার সনদের ফটোকপি।
- অনলাইন জন্ম সনদ এর ফটোকপি।
বন্ধুরা আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নিজ নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে এই দুটি ডকুমেন্টস হলেই আপনার কিন্তু আবেদন করতে পারবেন আবেদন করার পর সাত দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন হয়ে যাবে।
এখানে সর্বোপরি একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে আপনার যদি এসএসসি সনদ না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করবেন।
আপনি যদি এসএসসি সম্ভব না থাকে সেই ক্ষেত্রে যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো লাগবে তা নিম্নে দেওয়া হলঃ
- অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি অবশ্যই দিতে হবে।
- সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্র ফটোকপি (যদি থাকে)
- স্বামী অথবা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র ফটোকপি যদি থাকে।
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি যদি থাকে।
- পাসপোর্ট এর ফটোকপি যদি থাকে।
- কাবিননামা এর ফটোকপি যদি থাকে তাহলে অবশ্যই দিতে হবে।
- আপনি যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার সার্ভিস রেজিস্টার এর ফটোকপি।
বন্ধুরা আমাদের ওয়েবসাইটে উপযুক্ত তথ্যগুলো আপনার কাছে যদি থাকে তাহলে কিন্তু আপনি ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধনের জন্য খুব সহজে আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে।
এখন আমাদের ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আপনাকে দেখানো হবে কিভাবে আপনারা ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম
বন্ধুরা এজন্য প্রথমে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের সাহায্যে ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম এর মধ্যে প্রথমে আপনাকে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের সাহায্যে একটি ব্রাউজার ওপেন করে নিতে হবে।
ব্রাউজারটি ওপেন করে নেয়ার পর আপনি সার্ভারে গিয়ে লিখবেন services nid gov bd লিখে সার্চ করে দিবেন সার্চ করে দিলে আপনাদের সামনে একটি পেজ ওপেন হয়ে যাবে।
অর্থাৎ সরাসরি আপনাকে নির্বাচন কমিশন অফিসের ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে সেখান থেকে আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম অর্থাৎ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে এখানে ক্লিক করুনঃ Services.nidw.gov.bd.
নির্বাচন কমিশনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার সামনে দুটি অপশন চলে আসবে একটি হচ্ছে রেজিস্ট্রেশন করুন আর একটি হচ্ছে আবেদন করুন।
আপনারা যেহেতু ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন এই জন্য প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে।
নিজে নিজে ছবিটি দেখুন ভালোভাবে বুঝতে পারবেনঃ
বন্ধুরা নির্বাচন কমিশনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর এখান থেকে আপনারা এরকম দুটি অপশন দেখতে পারবেন আপনাদেরকে অবশ্যই চিন্তা ভাবনা ছেড়ে দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন অপশনে ক্লিক করে দিতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন করুন অপশনে ক্লিক করে দেয়ার পর আপনাদের সামনে আবার একটি নতুন পেজে ওপেন হয়ে যাবে। নতুন পেজ ওপেন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের এখানে আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং আপনার জন্ম তারিখ এবং নিচে দেওয়া প্রদর্শিত কোডটি ব্যবহার করে।
আপনাকে পরবর্তী পেজে অতিক্রম করতে হবে। নিচে দেওয়া ছবিটি দেখুন আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন কিভাবে আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার এবং জন্ম তারিখ ও প্রদর্শিত কোডটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয়।
বন্ধুরা আপনাদের সঙ্গে ঠিক রকম একটি পেজ ওপেন হয়ে যাবে এখান থেকে আপনাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার এবং জন্ম তারিখ এবং নিজেদের প্রতিষিত করতে ঠিকভাবে পৌঁছিয়ে দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
বন্ধুরা আপনারা যত ভোটার আইডি কার্ডে আপনার নিজের নাম সংশোধন করবেন এই জন্য প্রথমে আপনার রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে এবং রেজিস্ট্রেশন করার প্রথম ধাপ আমরা অতিক্রম করে নিলাম।
সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর আপনাদের সামনে যে পেজটি ওপেন হবে আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে আমরা স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে আপনাদেরকে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
নিচে দেওয়া ছবিটি দেখুন আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেনঃ
বন্ধুরা এইখান থেকে আপনাদের বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সিলেক্ট করতে হবে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা যদি আপনার একই হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি সিলেট করে দিবেন।
আর যদি আপনাদের বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা ভিন্ন ভিন্ন হয় তাহলে অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সিলেট করে দিতে হবে। বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সিলেট করার পর আপনাদেরকে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করে দিতে হবে।
পরবর্তী অপশনে ক্লিক করে দেয়ার পর আপনাদের সামনে আবারো একটি নতুন পে চালু হয়ে যাবে সেখানে অবশ্যই আপনার একটি মোবাইল নাম্বার দেখতে পারবেন।
আপনার মোবাইল নাম্বারটা যদি আপনার সচল হয়ে থাকে তাহলে শুধুমাত্র মাত্র বার্তা পাঠানো সময় ক্লিক করে দিবেন। আর আপনার কাছে যদি মোবাইল নাম্বার না থাকে তাহলে আপনি নতুন করে আবার মোবাইল নাম্বার দিতে পারবেন মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করুন অপশন এ ক্লিক করে দিবেন।
মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে অপশন এ ক্লিক করে দেয়ার পর আপনারা আবার নতুন করে একটি মোবাইল নাম্বার দিবেন এবং পরবর্তী অপশনে ক্লিক করবেন পরবর্তী অপশনে ক্লিক করার পর আপনার মোবাইলে একটি ছয় সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড যাবে নির্বাচন কমিশন অফিসের ১০৫ থেকে।
উক্ত ভেরিফিকেশন করতে আপনি বসিয়ে দিবেন ভেরিফিকেশন করতে বসিয়ে দিয়ে। সাবমিট বাটন কিংবা পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে দিবেন পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে দিলে আপনাদের সামনে আবার একটি নতুন পেজ ওপেন হয়ে যাবে।
মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করার পর আপনার সামনে যে পেজ ওপেন হবে তা আমরা স্ক্রিনশটের মাধ্যমে আপনাদেরকে দেখিয়ে দিচ্ছি নিচে দেওয়া ছবিটি দেখুন ভালভাবে বুঝতে পারবেনঃ
বন্ধুরা আপনাদের সামনে ঠিক এরকম একটি পেজ ওপেন হয়ে যাবে এখান থেকে আপনাদের কাছে শুধুমাত্র আপনারই হাতে থাকে স্মার্টফোনের সাহায্যে আপনি গুগল প্লে স্টোরে চলে যাবেন দেখবেন nid wallet apps ডাউনলোড করে নেবেন।
আপনার মোবাইল ফোনে এনআইডি ওয়ালেট এপ্সটি ডাউনলোড করার কিউআর কোড আপনি স্ক্যান করে নিবেন। স্ক্যান করার পর আপনার ফেসটি স্ক্যান করতে হবে যা অ্যাপসের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে।
আপনারা আপনাদের ফেস সিস্টেম করার পর নির্বাচন কমিশন অফিস পরবর্তী ধাপে আপনাকে অটোমেটিক ভাবে নিয়ে যাবে। আপনার ফেস সিস্টেম করার পর আপনাকে আবার তারা নতুন একটি পেজে নিয়ে যাবে।
নতুন পেজটি ওপেন হওয়ার পর আপনার প্রোফাইল সহ বিস্তারিত তথ্য আপনি এখান থেকে দেখতে পারবেন। নিচে দেওয়া ছবিটি দেখুন আর ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
বন্ধুরা আপনাদের সামনে ঠিক এরকম একটি পেজ ওপেন হয়ে যাবে এখান থেকে আপনারা সরাসরি প্রোফাইল অপশন এ ক্লিক করে দিবেন প্রফেশন এ ক্লিক করার পর আপনাদের সামনে আবারো একটি নতুন পেজ ওপেন হয়ে যাবে।
নিচে দেওয়া ছবিটি দেখুন আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেনঃ
বন্ধুরা প্রোফাইল অ্যাকশনে ক্লিক করার পর আপনার সকল প্রকার তথ্য আপনার প্রোফাইল থেকে দেখতে পারবেন। তাই এখান থেকে যেহেতু আপনি আপনার নাম সংশোধন করবেন।
এর জন্য আপনাকে উপরে অপশন দেখতে পারবেন এডিট নামে একটি অপশন রয়েছে উক্ত এডিট নামে অপশনে ক্লিক করে দিবেন আপনারা।
এডি নামে অপশনে ক্লিক করে দেয়ার পর আপনাদের সামনে আবার একটি নতুন পেজ ওপেন হয়ে যাবে। নিচে দেওয়া ছবিটি দেখুন ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম এজন্য প্রথমে আপনাকে এডিট অপশনে ক্লিক করার পর আপনাদের সামনে ঠিক এরকম একটা অপশন চলে আসবে এখান থেকে আপনারা শুধুমাত্র বহাল অপশনে ক্লিক করে দিবেন।
বহাল অপশনে ক্লিক করে দেয়ার পর আপনাদের সামনে আবারো একটি নতুন পেজ ওপেন হয়ে যাবে আপনাদের সুবিধার্থে আমি দেখিয়ে দিচ্ছি।
নিচের ছবিটি দেখুন বুঝতে পারবেনঃ
বন্ধুরা এখান থেকে আপনারা ক্যালকুলে দেখতে পারবেন ওপরে তিন ধরনের তথ্য রয়েছে একটি হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য অন্যান্য তথ্য ও ঠিকানা দেওয়া রয়েছে।
এখান থেকে আপনারা খেয়াল করলে দেখতে পারবেন আপনি যেহেতু ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করবেন অর্থাৎ আপনার নাম সংশোধন করবেন।
বন্ধুরা নামের উপরে যে আপনি ঠিক মার দেখতে পারতেছেন এই টিক মার্কের উপর যদি ক্লিক করে দেন আপনি বাংলা অথবা ইংরেজি নাম দুটি যদি সংশোধন করেন তাহলে কিন্তু আপনার নামের উপরে ক্লিক করে দিতে হবে।
নিচের দেয়া ছবিটি দেখুন আর ভালোভাবে বুঝতে পারবেনঃ
বন্ধুরা দেখেন এখান থেকে যদি আপনি বাংলা এবং ইংরেজি নাম সংশোধন করতে চান তাহলে নামের উপরে যে ঘটি রয়েছে সেটির মধ্যে একটি ট্রিটমেন্ট দিয়ে দিতে হবে।
এখান থেকে আপনি নামের আগে মোহাম্মদ দিবেন এবং নামের পরে ইসলাম দিবেন অর্থাৎ আপনার এখান থেকে যে বিষয়টুক সংশোধন করা দরকার আপনি এখান থেকে সংশোধন করতে পারবেন।
আপনার নামের বাংলা এবং ইংরেজি অক্ষর দুইটাই যদি সমস্যা হয় তাহলে কিন্তু দুটি আপনি ঠিক করতে পারবেন ঠিক করার পর আপনি পরবর্তীতে ক্লিক করে দিবেন।
পরবর্তী অপশনে ক্লিক করে দেয়ার পর আপনাদের সামনে নতুন আরেকটি পেজ ওপেন হবে আপনাদের সুবিধার্থে আমি স্ক্রিনশটের মাধ্যমে আপনাদেরকে দেখিয়ে দিচ্ছি।
নিচের দেওয়া ছবিটি দেখুন ভালোভাবে বুঝতে পারবেনঃ
বন্ধুরা পরবর্তী অপশনে যদি আপনি ক্লিক করেন দেখতে পারবেন আপনার আগের এবং পূর্ববর্তী এবং বর্তমান যে অবস্থায় রয়েছে সংশোধন করার পর এটি আপনি নতুন করে দেখতে পারবেন।
আরকি সংশোধন করার পরে যেটা হয়েছে আপনি সেটা দেখতে পারবেন তারপরে আপনি আবার পরবর্তী অপশনে ক্লিক করে দিবেন।
ক্লিক করে দেয়ার পর আপনাদের সামনে আবার একটি নতুন পেজ চালু হয়ে যাবে সেখান থেকে আপনারা বিস্তারিত দেখতে পারবেন ছবিটি দেখুন বুঝতে পারবেন।
বন্ধুরা পরবর্তী ক্লিক করার পর আপনারা এরকম একটি সিস্টেম দেখতে পারবেন যেখানে আপনাদের টোটাল ব্যালেন্স রয়েছে জিরো এখন যেহেতু আপনি ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম সংশোধন করবেন তাহলে এই জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার এনআইডি নাম্বারে রিচার্জ করতে হবে।
এ পেমেন্ট পদ্ধতি আপনি বিকাশ নগদ রকেট থেকে আপনি করতে পারবেন। আমি আপনাদের সুবিধার জন্য বুঝার ক্ষেত্রে স্ক্রিনশট এর সাহায্যে দেখিয়ে দিয়েছি কিভাবে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট পদ্ধতি সম্পন্ন করবেন।
প্রথমে আপনারা আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের সাহায্যে বিকাশ অ্যাপসে লগইন করবেন। লগইন করার পর আপনারা পেবিল নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন পি বিল অপশনে ক্লিক করে দিবেন।
বন্ধুরা পে বিল অপশনে ক্লিক করার পর আপনারা একটু নিচের দিকে খেয়াল করলে দেখতে পারবেন nid অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন অফিসিয়াল একটি সিস্টেম দেওয়া রয়েছে।
নিচে দেওয়া ছবিটি দেখুন বুঝতে পারবেনঃ
বন্ধুরা আপনাদের সামনে ঠিক এরকম একটি পেজ চলে আসবে এনআইডি সার্ভিস এনআইডি সার্ভিস এর মধ্যে ক্লিক করার পর আপনারা পেমেন্টের ধরন সিলেট করে দিবেন এন আইডি কারেকশন ইনফো মধ্যে আপনারা ক্লিক করে দিবেন আর যদি আপনাদের দুটি সংশোধন হয় তাহলে অবশ্যই বোথ ইনফোক কারেকশন এর মধ্যে ক্লিক করে দিতে হবে।
ক্লিক করে দেয়ার পর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অর্থাৎ এনআইডি কার্ডের নাম্বারটি আপনি বসিয়ে দেবেন এন আইডি কার্ড নাম্বারটি বসিয়ে দিলে আপনারা দেখতে পারবেন সেখানে আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চলে এসেছে।
নিজে দেওয়া ছবিটি দেখুন বুঝতে পারবেনঃ
বন্ধুরা এখান থেকে আপনারা সরাসরি পে বিল করতে এগিয়ে যান আইডি নাম্বার দেয়ার পর পে বিল করতে এগিয়ে যান অপশনে ক্লিক করে দিবেন ক্লিক করে দেয়ার পর আপনার এখানে সরাসরি টাকার পরিমান চলে আসবে টাকার পরিমাণ চলে আসার পর আপনারা আপনাদের পিন কোড ব্যবহার করে।
ট্যাব বাটনে ক্লিক করে ধরে রাখবেন দেখবেন যে আপনার নির্বাচন কমিশনার অফিসে যে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র আপনার নাম সংশোধনের জন্য যে ফি টা তারা কেটে রাখবে।
তারপরে আপনি আবার চলে যাবেন নির্বাচন কমিশনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর আপনি যে ব্যালেন্সটা শূন্য দেখেছিলেন সে ব্যালেন্সের উপরে আবার একটু রিলোড দিয়ে নিবেন রিলোট দিলে দেখতে পারবেন আপনার এখানে টাকা জমা হয়ে গেছে।
নিচের দেয়া ছবিটি দেখুন ভালোভাবে বুঝতে পারবেনঃ
তারপরে বন্ধুরা এখান থেকে আপনাদের দেখতে পারতেছেন এখানে সরম 345 টাকা জমা হয়ে গেছে। তারপর আপনার অবশ্যই পরবর্তী অপশনে ক্লিক করে দিবেন।
পরবর্তী অপশনে ক্লিক করে দেয়ার পর আপনাদের সামনে আবারো নতুন পেজ ওপেন হয়ে যাবে আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে আমরা স্ক্রিনশটের মাধ্যমে আপনাদেরকে দেখিয়ে দিচ্ছি।
নিচের ছবিটি দেখুন বুঝতে পারবেনঃ
বন্ধুরা এখান থেকে আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো আপলোড করতে হবে প্রয়োজনের ডকুমেন্টসগুলো আপলোড করার জন্য আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটে পক্ষ থেকে আগে জানানো হয়েছে আপনাদের ভোটার আইডি কার্ডের নিজের নাম সংশোধন করার জন্য কি কি তথ্য প্রয়োজন।
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম এখানে আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি অবশ্যই আপলোড করবেন এছাড়াও আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি সনদ অবশ্যই আপলোড করতে হবে।
অনলাইন জন্ম সনদ এবং এসএসসি সার্টিফিকেট আপনি স্ক্রিন করার পর পরবর্তীতে অপশন ক্লিক করে দেবেন পরবর্তী অপশন ক্লিক করে দেয়ার পরে আপনার আবেদন পদ্ধতিতে আপনি সাবমিট করে দিবেন।
বন্ধুরা আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের প্রক্রিয়া সাবমিট দিয়ে দিলে কিন্তু হয়ে যাবে পরবর্তী সময়ে আপনারা সাত দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন হয়ে যাবে আপনার নিজ নাম।
আশা করছি বন্ধুরা আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল লেখা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বুঝতে পেরেছেন।
শেষ কথাঃ
বন্ধুরা আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইট আর্টিকেল লেখা ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম করেছেন তারা আজকে এখন থেকে কিভাবে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের নিজ নাম কিভাবে সংশোধন করতে হয় সে বিষয় বুঝে গেছেন এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নিজ নাম সংশোধন করার জন্য কি কি তথ্য প্রয়োজন হয় সে বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন।
আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল লেখা ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে মত জানাবেন।
এছাড়াও আপনার বন্ধুবান্ধবদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করার নিয়ম আমাদের এই আর্টিকেলটি যে কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ।