নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে, আপনারা যারা নতুন ভোটার হবেন তাদের ভোটার হতে কি কি লাগে অর্থাৎ এনআইডি কার্ড করতে কি কি লাগে সে বিষয়ে বিস্তারিত প্রক্রিয়া জানাবো।

আপনারা যারা নতুন ভোটার হবেন ভোটার হতে কি কি প্রয়োজন ডকুমেন্ট লাগবে এবং কিভাবে আপনারা ভোটার আইডি কার্ড করতে পারবেন যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হলে।

সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানো হবে অবশ্যই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল লেখা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

আপনারা যারা এখনো ভোটার হননি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আগ্রহ তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে দেওয়া আর্টিকেল গুলো ভালোভাবে পড়বেন পড়ার পর যে সকল প্রয়োজনে কাগজপত্র গুলো আপনার লাগবে সেগুলো আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে
নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে 

বর্তমান যুগে আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড করে না থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড করতে হবে। কেননা আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড না করেন তাহলে কিন্তু আপনি বাংলাদেশের নাগরিক না হিসেবে বিবেচিত হবেন।

তাই আপনারা যারা নতুন নতুন ভোটার হতে চাচ্ছেন তাদের ভোটার হওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে পারবেন।

বন্ধুরা আমরা যে সকল কাগজপত্র কথা উল্লেখ করব সে সকল কাগজপত্র দিয়ে আপনারা 18 বছর হইতে সর্বোচ্চ বছর পর্যন্ত আপনারা ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন।

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে তা নিম্নে দেওয়া হলোঃ

অনলাইন জন্ম নিবন্ধনঃ বন্ধুরা আপনারা যারা নতুন ভোটার হবেন তাদেরকে অবশ্যই প্রথমে যে কাগজটা লাগবে সেটি হচ্ছে অনলাইন জন্ম নিবন্ধনটি অবশ্যই আপনাদের লাগবে।

আপনারা যারা অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন রয়েছে তারা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন দিয়ে অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। তাই অবশ্যই আপনাদেরকে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে হবে আপনাদের জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইনে আছে কিনা।

ভোটার হওয়ার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে আপনাকে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সংযুক্তি করতে হবে। অন্যথায় আপনি ভোটার হতে পারবেন না।

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ বন্ধুরা আপনারা যারা নতুন ভোটার হবেন অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের পরে আপনাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সংযুক্তি করতে হবে। আপনার লেখাপড়া সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা এখানে সংযুক্ত করতে হবেঅ

যদি আপনি পঞ্চম শ্রেণী পাস করে থাকেন তাহলে পেয়েছি সনদ দিবেন যদি অষ্টম শ্রেণী পাস করে থাকেন তাহলে জেএসসি সনদ দিবেন, আর যদি আপনি এসএসসি পাশ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই এসএসসি সনদ সংযুক্ত করতে হবে।

আর যদি আপনি মাস্টার্স কমপ্লিট করে থাকেন তাহলে অবশ্যই মাস্টার্সের পরীক্ষার সনদের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ আপনার সর্বশেষে যোগ্যতা সনদ আপনাকে সংযুক্ত করতে হবে ।

পিতা মাতার এনআইডি কার্ডঃ বন্ধুরা আপনাদের মনে অনেকেরই প্রশ্ন আসতে পারে নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে তো তার মত অন্যতম যে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগে আপনার পিতামাতার এন আইডি কার্ড।

আপনি যদি নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন তাহলে তার সঙ্গে অবশ্যই আপনার পিতা-মাতার আইডি কার্ড করতে হবে।

কেননা আপনি যেহেতু নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন এবং আপনার ভোটার হওয়ার জন্য আপনার পিতা-মাতার নাম অনুসারে আপনার পিতা এবং আপনার মাতার নাম আপনার আইডি কার্ড সংযুক্তি করা হবে।

কাবিননামা অথবা বৈবাহিক সনদঃ বন্ধুরা আপনারা যারা বিবাহিত রয়েছেন তাদেরকে অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য যে সকল প্রয়োজনের কাগজ থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আপনাকে অবশ্যই কাবিননামা সংযুক্ত করতে হবে।

আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে আবেদন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই বিবাহিত সিলেট করে দিলে অবশ্যই কিন্তু আপনাকে কাবিন নামা অথবা বৈবাহিক সংযুক্তি করে দিতে হবে।

অন্যথায় আপনি যদি বৈবাহিক দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে কিন্তু কাবিননামা অথবা বৈবাহিক সনদ ছাড়া ভোটার আইডি কার্ড করতে পারবেন না।

স্বামী অথবা স্ত্রীর আইডি কার্ডঃ আপনি যদি একজন পুরুষ ব্যক্তি হয়ে থাকেন যদি আপনি বিবাহ করার পর ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য আবেদন পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ড আপনাকে সংযুক্ত করতে হবে।

আর আপনি যদি মহিলা হয়ে থাকেন আপনার স্বামী ভোটার আইডি কার্ড অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে। যদি আপনি বিবাহিত দিয়ে আবেদন করেন তাহলে অবশ্যই কিন্তু আপনাকে স্বামী স্ত্রী ভোটার আইডি কার্ড সংযুক্ত করতে হবে।

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে এই কথা যদি আপনারা জানতে চান তাহলে অবশ্যই স্বামী স্ত্রীর আইডি কার্ড আপনাদেরকে সংযুক্ত করতে হবে।

রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্টঃ নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে আপনাকে অবশ্যই রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্ট সংযুক্ত করতে হবে।

আপনারা অনেকে অনেকের ভোটার আইডি কার্ডে দেখতে পারবেন পিছনের দেখতে পারবেন রক্তের গ্রুপ লেখা রয়েছে তো আপনার আইডি কার্ডে যদি রক্তের গ্রুপ সংযুক্ত করতে চান তাহলে অবশ্যই রক্তের গ্রুপে রিপোর্ট আপনাকে আবেদন করতে সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

বিদ্যুৎ বিলের কপিঃ বন্ধুরা আপনারা যারা নতুন ভোটের জন্য আবেদন করবেন নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি লাগে সে বিষয়ে আপনারা জানার জন্য আগ্রহপ্রার্থী তাই অবশ্যই আপনাদেরকে ইউটেনিটি বিল অর্থাৎ বিদ্যুৎ বিল সংযুক্ত করতে হবে।

বিদ্যুৎ বিল সংযুক্ত করার কারণ হচ্ছে আপনি কোন এলাকার বাসিন্দা সেটি নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার বাড়ি অথবা আপনার পাশের বাড়ির যে কারো একটি বিদ্যুৎ বিলের মূল কপি সংযুক্ত করতে হবে।

প্রত্যয়ন পত্রঃ বন্ধুরা আপনারা যারা ভোটার আইডি কার্ড করবেন নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন। নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে অবশ্যই আপনাদেরকে প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে সংযুক্ত করতে হবে।

আপনার প্রথম প্রতিনিধিত হবে আপনার এলাকার স্থানীয় পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ অথবা ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিকট হতে আপনার একটি প্রত্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে এবং তা আপনার ভোটার আইডি কার্ডের আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে হবে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য।

নাগরিকত্ব সনদপত্রঃ বন্ধুরা আপনারা যারা নতুন ভোটার হবেন তাদেরকে অবশ্যই নাগরিকতার সনদপত্র আপনারা আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

আপনার নাগরিকত্ব সনদপত্র টি পাবেন আপনার এলাকার স্থানীয় পৌরসভার মেয়র কিংবা ওয়ার্ড কাউন্সিলর অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট হতে আপনাকে সংরক্ষণ করতে হবে এবং তার জমা দিতে হবে।

ট্যাক্স রশিদের কপিঃ বন্ধুরা আপনারা যারা নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন তাদের ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য অবশ্যই টেক্স রশিদের কপি জমা দিতে হবে।

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ট্যক্স রশিদের কপি। আপনার টেক্স রশিদের কপিটি আপনি সংগ্রহ করবেন আপনারা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় হইতে।

চেয়ারম্যান কর্তৃক অঙ্গীকারনামাঃ আপনাকে আপনার এলাকার চেয়ারম্যান কিম্বা পৌরসভার মেয়র অথবা ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিকট হইতে একটি অঙ্গীকারনামা সংগ্রহ করতে হবে।

কেননা আপনার এই অঙ্গীকারনামাটি ভোটার হয়নি মর্মে একটি প্রত্যয়ন পত্র করতে হবে তার মধ্যে অবশ্যই চেয়ারম্যান অথবা পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর স্বাক্ষর থাকতে হবে।

অঙ্গীকার নামার মধ্যে আপনাদেরকে উল্লেখ্য করতে হবে যে আমি ইতিপূর্বে আর কোন জায়গায় ভোটার হয়নি বলে একটি অঙ্গীকার নাম আপনাকে সংরক্ষণ করতে হবে এবং তা আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

পাসপোর্টের কপিঃ বন্ধুরা আপনারা যারা ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন এবং ভোটার হওয়ার জন্য আপনাদের কি কি লাগে সে বিষয়ে আপনারা জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন তবে অবশ্যই আপনাদেরকে জানতে হবে অবশ্যই পাসপোর্ট এর কপি যদি আপনার থাকে তাহলে অবশ্যই সংযোজন করতে হবে।

আপনি যদি পাসপোর্ট এর কপি সংযোজন করেন তাহলে অবশ্যই আপনার পাসপোর্টটি এখানে উল্লেখ করা হবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের মধ্যে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কপিঃ নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স কপি আপনার যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি সংযোজন করবেন।

আর আপনার যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে তাহলে কিন্তু সংযোজন করার কোন প্রকার প্রয়োজন নেই আপনারা ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং পাসপোর্ট ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিবন্ধী সনদঃ বন্ধুরা আবেদনকারী প্রার্থী যদি প্রতিবন্ধী হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে প্রতিবাদী সনদ সংযুক্ত করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে আবেদন করার পর অবশ্যই আপনারা প্রতিবন্ধী সনদ সংযুক্ত করতে হবে।

নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে তার মতো অন্যতম কাগজ হচ্ছে আপনি যদি প্রতিবন্ধী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি প্রতিবন্ধী উল্লেখ্য করে দিবেন।

এছাড়া অন্যান্য কাগজপত্র মতে রয়েছে আপনার যদি সার্ভিস থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সার্ভিস আইডি কার্ড এর ফটোকপি দিবেন এছাড়া অন্যান্য যদি আপনি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে।

অন্যথায় আপনার ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য আর কোন প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে না। নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে আশা করি সে বিষয়ে আপনারা বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।

আপনাদের যে সকল কাগজপত্র লাগে সেই সকল কাগজপত্র সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি আপনাদের জন্য।

যারা নতুন ভোটার হবেন তারা অবশ্যই উপরের কাগজগুলো অর্থাৎ প্রয়োজনে কাগজগুলো আপনারা সংরক্ষণ করবেন এবং অনলাইনে আবেদন করার পর আপনারা সেটি সংযুক্ত করতে হবে।

তাহলে অল্প দিনের মধ্যেই আপনারা ভোটার হয়ে যেতে পারবেন এবং এনআইডি কার্ড সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে আপনি পেয়ে যাবেন।

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুনঃ services.nidw.gov.bd

শেষ কথাঃ

আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইট আর্টিকেল লেখা নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর্টিকেল পড়েছেন তারা অবশ্যই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বুঝতে পেরেছেন।

নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র করার জন্য আপনাদের যে সকল প্রের জন্য ডকুমেন্টগুলো লাগবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বুঝেছেন।

আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল লেখা নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে পড়েছেন তাদের যদি আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখা পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে মতামত জানাবেন।

আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে? এনআডি কার্ড করতে কি কি লাগে আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য যেকোন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top