ডোমেইন হোস্টিং এর দাম (কেনার আগে যা জানতে হবে)

ডোমেইন হোস্টিং এর দাম : বর্তমান সময়ে হোস্টিং এবং নিয়ে নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলার মত দেখা যায়।

কষ্টার্জিত টাকা না জেনে বুঝে খরচ করলে তো খারাপ লাগবে।

তাই আমি আজ আপনাদের মানে নতুন যারা ব্লগিং শুরু করছেন তাদের জন্য কিছু ধারণা দিতে চায়।

কারণ যারা নতুন ব্লগিং শুরু করে, তারা কোন ধরনের ডোমেইন হোস্টিং কিনলে বেশি সুবিধা ভোগ করবে, সে বিষয়ে কিন্তু জানে না।

তাই আজ আমি আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে হোস্টিং এর দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।

ডোমেইন হোস্টিং এর দাম (কেনার আগে যা জানতে হবে)
ডোমেইন হোস্টিং এর দাম (কেনার আগে যা জানতে হবে)

এবং কেনার আগে যে, জিনিস গুলো জানতে হবে। সে বিষয় গুলো এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে।

তাই আপনি যদি ডোমেন হোস্টিং এর দাম সম্পর্কে বিস্তারিত, তথ্য পেতে চান? তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে করুন।

ডোমেইন এর দাম

ব্লগিং, ওয়েবসাইট বা ব্লগ শুরু করার জন্য অবশ্যই একটি ডোমেইন প্রয়োজন হয়। ডোমেইন কিনতে গেলে .com ডমেইনের দাম ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা লাগতে পারে, যা আপনারা অনায়াসে বাংলাদেশী ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারবেন।

আবার আপনি যদি ডটকম ডোমেন ছাড়া অন্য কোন ডোমেন কিনেন সেক্ষেত্রে সেখানে কিছু শর্ত দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এ ধরনের ডোমেনের দাম গরমিল না করাই ভালো।

আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে ডোমেইন কিনতে চান বাংলাদেশি ওয়েবসাইট ব্যতীত Namecheap কোম্পানি থেকে ডোমেইন হোস্টিং কিনতে পারেন।

বিখ্যাত কোম্পানি GoDaddy এর পাশাপাশি Namecheap সব থেকে বেশি ডোমেন বিক্রি করেন।

আমি ব্যক্তিগতভাবে, Namecheap কোম্পানি পছন্দ করে ডুমেন্ট কেনার জন্য। আপনারা যারা নতুন ডোমেইন কিনতে চান?

তারা Namecheap থেকে ডোমেন কিনলে ৯ ডলার থেকে ১০ ডলার দিয়ে .com ডোমেইন কিনতে পারবেন।

তো আপনারা যারা ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করার জন্য, ডোমেন কেনার চিন্তা করেন। তারা সকল চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে, Namecheap কোম্পানি হতে ডোমেন ক্রয় করুন।

আমরা আপনাকে যেহেতু বলেছি, Namecheap থেকে .com ডোমেন ১০ ডলার দিয়ে কিনতে পারবেন। যা বাংলাদেশি টাকায় এক হাজার টাকার মত লাগতে পারে।

তো আশা করি বন্ধুরা আপনারা বুঝতে পেরেছেন, ভালো একটি ডোমেইন কিনতে কত টাকা লাগে।

আবার আপনি যদি ডটকম ছাড়া কোন ডোমেন্ট কিনেন। সেক্ষেত্রে আপনার খরচ আরো কম লাগতে পারে। তবে হাই কোয়ালিটি ডোমেইন হিসেবে ডট কম এক্সটেনশন অনেক ভালো।

এক্ষেত্রে আপনি যদি xyz ডোমেন স্টেনশন কিনেন। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ টাকায় 400 থেকে 500 টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন।

হোস্টিং কেনার আগে যা জানতে হবে

আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য, হোস্টিং কেনার আগে ঠিক করে নিন আপনার ভিজিটর কারা। আপনার যদি ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য হয়ে থাকে তবে বাংলাদেশে কোন ডাটা সেন্টার প্রয়োজন হবে।

এতে করে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা খুব দ্রুত আপনার ওয়েবসাইটটি লোড করতে পারবে। ডাটা সেন্টার হচ্ছে যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো সংরক্ষিত থাকবে সেটিকে বোঝানো হয়।

আপনি যেখানে ডাটা সেন্টার রাখবেন তার আশেপাশের মানুষ ভালো স্পিড পাবে ওয়েবসাইট লোড করার জন্য।

বাংলাদেশের ডাটা সেন্টার রক্ষণাবেক্ষণ করা যেহেতু ঝামেলা তাই অনেক হোস্টিং কোম্পানি আমেরিকা ইউরোপ ডাটা সেন্টার রাখেন।

তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন। ইউরোপ থেকে একটি তথ্য বাংলাদেশে আসতে একটু বেশি সময় লাগতে পারে। এতে কোন বেশি পার্থক্য নেই।

কিন্তু বাংলাদেশের ডাটা সেন্টার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে খুব বেশি লাভজনক। আর যদি আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন দেশের মানুষ ভিজিট করে সেজন্য সবার জন্য যা মোটামুটি কাছে হবে।

বিশেষ করে ইউএসএ ডাটা সেন্টারগুলো অনেক জনপ্রিয় হয়ে থাকে।

তো আপনি যদি ব্লগিংয়ে, সফলতা অর্জন করতে চান?

সে ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট ভালোভাবে লোড হওয়ার জন্য, ভালো একটি ডাটা সেন্টার নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে আপনার ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

মোটকথা হোস্টিং কেনার আগে, অবশ্যই ধারণ ক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তারপর কিনবেন।

হোস্টিং এর দাম

আমরা বাংলাদেশের এবং ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো থেকে হোস্টিং কিনলে খরচ অনেক কম।

আবার আপনি যদি নেমচিপ কোম্পানি থেকে বেসিক প্যাকেজের হোস্টিং কেনেন তাহলে দাম অনেক কম পাবেন।

আমরা কয়েক বছর ধরে দেখছি তারা বার্ষিক ১৮ ডলার ফি তে হোস্টিং সার্ভিস প্রদান করছে।

এক্ষেত্রে যারা নতুন তারা সহজে তাদের ওয়েবসাইট হোস্টিং কিনে নিতে পারে। নেমচিপ কাস্টমার সার্ভিস অনেক জনপ্রিয়।

আপনার ওয়েবসাইটে যদি কোন প্রকার সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে আপনারা, নেমচিপ টিমের সাথে লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবেন।

তো আপনি যদি নেমচিপ থেকে ভালো একটি হোস্টিং কিনতে চান? সে ক্ষেত্রে আপনার বাৎসরিক খরচ হতে পারে, ২,৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা।

এক্ষেত্রে হোস্টিং এর অনেকগুলো প্রকার রয়েছে। আপনারা ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে কি ধরনের হোস্টিং ব্যবহার করতে চান? তার নিম্নরুপ-

  • শেয়ারড হোস্টিং।
  • ভিপিএস হোস্টিং।
  • ডেডিকেটেড হোস্টিং/সার্ভার।
  • ক্লাউড হোস্টিং।

আপনারা উপরোক্ত তালিকায় যে, হোস্টিং গুলোর নাম দেখতে পারছেন। এগুলো বাংলাদেশের কোম্পানি বা বিদেশি কোম্পানি নেমচিপ থেকে কিনতে পারেন।

তবে আমি আপনাকে পরামর্শ দিব। আপনি যদি ব্লগিং শুরু করেন। সে ক্ষেত্রে, শেয়ারড হোস্টিং ক্রয় করবেন। আপনি যদি এই হোস্টিংটি কিনেন, সে ক্ষেত্রে একই সাথে আপনারা অনেকগুলো ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা ব্লগিংয়ের জন্য ডোমেইন হোস্টিং এর দাম জানতে চেয়েছিলেন। তারা উপযুক্ত আলোচনা থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

শেষ মুহূর্তে এসে আমি আপনাকে আরো একটু খোলাসা করে বলতে চাই। আপনারা যারা ব্লগিং শুরু করতে চান?

তারা নেমচিপ কোম্পানি থেকে ১০০০ টাকা খরচ করে, ডোমাইন কিনতে পারবেন। আবার ২৫০০/- টাকার মধ্যে ভালো হোস্টিং কিনতে পারবেন।

তো আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পরে আপনার কাছে কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

বিশেষ করে ডোমেইন হোস্টিং সংক্রান্ত আরো। নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment