হোস্টিং কি ? হোস্টিং কিভাবে কাজ করে, এই বিষয়ে, আমরা পূর্বের আর্টিকেলে জানিয়েছি। আপনি যদি চান, তাহলে আপনি সেই পোস্ট টি পড়ে নিতে পারেন।
বর্তমান সময়ে একটি ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ তৈরি করার আগে জরুরী একটি জিনিস যার উপর আপনার ধ্যান রাখতে হবে। আর সেটি হলো ওয়েব হোস্টিং।
আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান এবং সফলতা অর্জন করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালো একটি হোস্টিং দরকার হবে।
আমি ব্লগিং শুরু করার সময় যে, ভুল গুলো করেছিলাম। তাই চাই না যে, আপনারাও ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি সেই ভুল গুলো করেন।
তাই আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে একটি জনপ্রিয় আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি। যা অনুসরণ করে, আপনারা ব্লগিং করার জন্য।
একটি ওয়েবাইট বা ব্লগ তৈরি করার জন্য কেমন, হোস্টিং কিনতে হবে। সেই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
কারণ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনার একটি নির্দিষ্ট জায়গা/ স্টোরেজ প্রয়োজন হবে। আর সেটি হলো ওয়েব হোস্টিং।
তাই হোস্টিং কেনার আগে আপনাকে যে, বিষয় গুলোর উপর ধ্যান দিতে হবে সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।
আমি ব্লগিং এর শুরুর অবস্থা,য় অনেক ভুল করেছিলাম। তবে এখন ব্লগিং এর চার বছর অভিজ্ঞতা হয়েছে। তার জন্য আমি আপনাদের সেই ভুল গুলো করতে দিব না।
সবার আগে আপনি ভেবে নিবেন যে, আপনি ওয়েবসাইট বা ব্লগ কেন এবং কিভাবে তৈরি করছেন।
আপনি যদি ব্লগিং এ বিজনেস ওয়েবসাইট অনলাইন আয় করার জন্য খুলেন। তাহলে একটি হোস্টিং সার্ভিস কেনার আগে আপনাকে অনেক জরুরী বিষয় জানতে হবে।
তার কারণ এটি আপনার অনলাইন বিজনেস ও সফলতার ব্যাপারে কথা চলছে। সব শেষে মনে রাখবেন, অনলাইনে হাজার হাজার ওয়েবসাইট আগে থেকে আছে। যারা সকলে সর্ব গুণ সম্পন্ন বললে, ভুল হবে না।
আরো পড়ুনঃ
- ডোমেইন কি হোস্টিং কি ? ডোমেইন হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা
- ওয়েবসাইট তৈরির খরচ কত ? ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে
তার জন্য অনলাইনের এই বিশাল জগতে আপনি যদি ব্লগ বা ওয়েবসাইট কে সেই সর্ব গুণ সম্পন্ন ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে সংকলন করতে চান। এবং নিজের সাইট কে একটি ভালো অবস্থায় দেখতে চান।
তাহলে, আপনার সকল ছোট – বড় জিনিস এর প্রতি খেয়াল করে, ব্লগিং এ এগোতে হবে।
এবং যদি আপনি নিজের ওয়েবসাইট এর জন্য একটি ভালো ওয়েবসাইট হোস্টিং না সিলেক্ট করেন। তবে সেটি আপনার অনেক বড় ভূল হবে।
এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে, তাহলে কেমন হোস্টিং নিতে হবে।
হোস্টিং কেনার আগে যে বিষয়ে আপনার জানা থাকা প্রয়োজন এবং কোন হোস্টিং ভালো হবে।
এই যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেতে নিচে দেওয়া তথ্য গুলো শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে যে বিষয়ে ধ্যান রাখতে হবে
নিজস্ব ওয়বসাইট এর জন্য কেমন হোস্টিং কিনবেন বা কোথায় থেকে হোস্টিং কিনবেন। সেটি নির্বাচন করা তেমন কোন কঠিন কা নয়।
তবে, যারা ব্লগিং এ নতুন তাদের জন্য। একটি ভালো ওয়েব হোস্টিং ক্রয় করার জন্য সঠিক হোস্টিং খুজে বের করতে হবে। এই বিষয়টি একটু কঠিক হতে পারে।
তাই আমি নতুন দের জন্য এখানে কিছু পয়েন্ট জনিয়ে দেব। মানে কোন হোস্টিং ভালো বা ওয়েবসাইট এর জন্য কেমন হোস্টিং আপনার ক্রয় করার প্রয়োজন।
তাই আমরা এখানে হোস্টিং কেনার আগে যে, বিষয় গুলো জানতে হবে, সেটি সম্পুন্ন ভাবে তুলে ধরেছি।
তার জন্য আপনাকে নিচে দেওয়া লেখা গুলো মনযোগ দিয়ে পড়ুতে হবে।
তাহলেই, আশা করা যায় যে, আপনি সঠিক একটি হোস্টিং ওয়েবসাইট এর জন্য কিনতে পারবেন। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
01. First Time Charge and Renewal Cost
বর্তমান সময়ে ভালো ভালো ও নাম করা হোস্টিং কোম্পানি গুলো আপনার প্রথম Purchase এ আপনাকে ভালো পরিমাণের ডিসকাউন্ট প্রদান করে।
এর মানে, আপনি যখন প্রথম বারের মতো কোন হোস্টিং প্যঅকেজ ক্রয় করবেন তখন 30% থেকে 50% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাওয়ার সুযোগ থাকে।
এ জন্য চেষ্টা করবেন আপনি যাতে একেবারে 6 মাস থেকে 1 বছর এর জন্য ওয়েব হোস্টিং ক্রয় করে, নিবেন। যাত করে আপনি অনেক ভালো পরিমাণের ডিসকাউন্ট পেয়ে যাবেন।
সব শেষে ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর জন্য হোস্টিং ক্রয় করার আগে সব সময় হোস্টিং এর অফার ও ডিসকাউন্ট ভালো ভাবে যাচাই করে নিবেন।
তবে, শুধু প্রথম Purchase এর ডিসকাউন্ট দেখলেই চলেবে না। এছাড়া আপনার Renewal Cost দেখতে হবে।
তার মানে, আপনার ক্রয় করা হোস্টিং পরে আবার রিনিউ করার সময় চলে আসবে। তখন আপনার কত টাকা দিয়ে সেটি নিতে হবে। সেই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ডোমেইন কি? কত প্রকার এবং সঠিক ডোমেইন নেম নির্বাচন করার উপায়
তার কারণ অনেক সময় Fast Hosting Purchase তে আপনাকে অনেক ভালো ডিসকাউন্ট দেওয়া হবে।
কিন্তু, তারপরে রিনিউ এর সময় আপনার থেকে ডাবল টাকা নেওয়া হবে। তার জন্য আগেই এই বিষয়ে আপনার জানা থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।
02. Security ও Backup
আমরা অনেকেই অল্প দাম দিয়ে হোস্টিং কেনার চক্করে পড়ে অনেক সময় লোকাল ও কিছু না দেখে হোস্টিং প্ল্যান ক্রয় করে থাকি।
তবে, এর পরে গিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটের অকেন ক্ষতি হয়ে থাকে। তার কারণ যেখান থেকে আপনি হোস্টিং কিনেছেন সেই ওয়েব সার্ভার অনলাইন ভাইরাস কিংবা Malware এর সংস্পর্শত হতে পারে।
আপনাকে যদি হোস্টিং কোম্পানি থেকে, অটোমেটিক ওয়েবসাইট ব্যাকআপ ও রিস্ট্রোর করার সুযোগ না দেয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইট একদম সুরক্ষিত না।
তার কারণ আপনারা যদি ওয়েবসাইটে কোন অনলাইন ভাইরাস আক্রান্ত করে। তাহলে, ব্যাকআপ ও রিস্ট্রোরের মাধ্যমে, আপনার ওয়েবসাইট কে আবার ভালো অবস্থায় নিতে আসতে পারবেন।
এছাড়া কোন সময় যদি আপনার সাইটে কোন সমস্যা দেখা যায়। কিছু ফাইল ডিলিট হয়ে যায়।
সেই সময় ব্যাকআপ ও রিস্ট্রোরের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে।
তার জন্য সব সময় মনে রাখবেন যে, যখন হোস্টিং কেনার কথা চিন্তা করবেন। তখন হোস্টিং প্রভাইডার থেকে হোস্টিং কিনবেন। যারা আপনাকে ফ্রি ওয়েবসাইট ব্যাকআপ এর সুবিধা প্রদান করবে।ৎ
03. Uptime ও Downtime
আপটাইম হচ্ছে সেই সময়, যখন আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে জরিত ওয়েব সার্ভার ইন্টারনেটে সকল সময় সক্রিয় থাকে না।
যার ফলে আমাদের ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করা যায় না। ওয়েব সার্ভার বা ওয়েবসাইট ডাউন থাকার জন্য।
আপনার ওয়েব সাইটে আশা ভিজিটর’রা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারে না। আপনার সাইট এর Reputation এর জন্য অনেক খারাপ প্রমান হয়।
তাই অনেক বেশি ডাউনটাইম হলে গুগল ও অন্য সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইট কোন ভাবে তার সার্চ ইঞ্জিনে ভালো ভাবে র্যাংক করবে না।
আপনি যদি ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে টাকা আয় করেন। তাহলে এই ক্ষেত্রেও আপনার অনেক ক্ষতি হবে।
তার জন্য, যেখান থেকে হোস্টিং ক্রয় করার চিন্তা করবেন। সেই হোস্টিং প্রভাইডার এর আপটাইম ও ডাউনটাইম ইতিহাস জানার পরে হোস্টিং কিনবেন। আপনি গুগলে সার্চ করে রিভিউ পড়ে বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
04. Customer Support Quality
আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার চিন্তা করেন। তাহলে আপনার ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি থেকে সাহায্য নিতে হবে।
কারণ আপনি হয়তো সকল কিছু নিজে থেকে নাও করতে পারেন।
তার জন্য সব সময় দেখবেন। যাতে করে, আপনার ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি আপনাকে 24 ঘন্টা যে, কোন সময় যে কোন সমস্যার জন্য যাতে আপনাকে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত থাকে।
যখন আপনি ওয়েব হোস্টিং এর সাথে জড়িত কোন সমস্যায় পড়বেন তখন কম থেকে বেশি সময় এর মধ্যে যাতে সাপোর্ট আপনার সমস্যার সমাধান দিতে পারে।
আর এটিই হচ্ছে কোয়ালিটি এবং বেস্ট ওয়েব হোস্টিং এর লক্ষণ। যেমন- নেমচিপ ডট কম। আপনি এখান থেকে হোস্টিং কেনার পরে। কোন সমস্যা হলে 24 ঘন্টা লাইভ যোগাযোগ করার সুযোগ পাবেন।
- Check Review and Rating
যে কোন ওয়েব হোস্টিং কোম্পানির কাছ থেকে হোস্টিং প্যাকেজ কেনার আগে। আপনি অবশ্যই সেই কোম্পানির হোস্টিং কোয়ালিটি, জনপ্রিয়তা ও মার্কেটে তার অবস্থা কেমন সেটি জানবেন।
আপনি এই বিষয়ে জানতে চাইলে সরাসরি গুগলে সার্চ করে জেনে নিতে পারবেন। আর আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি।
আপনি সবচেয়ে ভালো হোস্টিং ব্যবহার করতে চাইলে নেমচিপ হোস্টিং প্রোভাইডার ব্যবহার করতে পারেন।
কারণ বর্তমান সময়ে বিশ্বের বেশির ভাগ ওয়েবসাইট গুলো নেমচিপ কোম্পানি থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে ব্যবহার করছে। আপনি চাইলেও সেটি করতে পারেন।
আরো দেখুনঃ
সর্বপরি আমাদের কথাঃ
তো বন্ধুরা, আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করার কথা চিন্তা করে, থাকেন। তাহলে উক্ত আলোচনায় যে পাচটি জরুরী বিষয় জানানো হলো, এগুলো অবশ্যই মাথায় রেখে হোস্টিং কিনতে হবে।
আমাদের দেওয়া আর্টিকেল আপনার কাছে ভালো লাগলে একটি কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।