স্যাটেলাইট কি ? স্যাটেলাইট এর কাজ কি ? (বিস্তারিত জানুন)

স্যাটেলাইট কি : বর্তমান সময়ে আমরা যারা টেলিভিশন, রেডিও ইত্যাদি সম্প্রচার দেখে থাকে সেগুলো মূলত স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেখানো হয়।

বর্তমান সময়ে অনেক লোক রয়েছে, যারা স্যাটেলাইট কি এবং কিভাবে কাজ করে এ বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখে না।

তাই আপনি যদি স্যাটেলাইট সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে চান। তাহলে আমাদেরকে আর্টিকেলে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে। স্যাটেলাইট কি? স্যাটেলাইটের কাজ কি? এছাড়া আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে।

স্যাটেলাইট কি ? স্যাটেলাইট এর কাজ কি ? (বিস্তারিত জানুন)
স্যাটেলাইট কি ? স্যাটেলাইট এর কাজ কি ? (বিস্তারিত জানুন)

আপনি যদি এ বিষয়ে যাবতীয় ধারণা নিতে চান। আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

আমাদের পৃথিবী থেকে মহাকাশ সবকিছুই একটা রহস্যময় আবৃত আর এই মহাকাশে অভ্যন্তরে আছে বিভিন্ন ধরনের মহাজাগতিক বস্তু তার মধ্যে একটা বস্তু হল উপগ্রহ।  আর এই উপগ্রহকে ইংরেজিতে বলা হয় স্যাটেলাইট।

আরো দেখুনঃ

স্যাটেলাইট কি ?

বর্তমান বিশ্বে সবথেকে জনপ্রিয় ও বড় মহাকাশযানের নাম হচ্ছে- নাসা। ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) এর মতে, একটি উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট হচ্ছে এমন এক প্রকার মহাজাগতিক বস্তু বস্তু যা একটি গ্রহ নক্ষত্র কে কেন্দ্র করে সর্বদাই প্রদক্ষিণ করে থাকে।

এই নাসা সংস্থাটির বক্তব্য অনুযায়ী উপগ্রহ চাঁদ, এমন কি মেশিনও হতে পারে। যা নির্দিষ্ট ভাবে কোন নক্ষত্র গ্রহ আবর্তন করবে।

মনে করুন চাঁদ হচ্ছে পৃথিবীর একটি উপগ্রহ কারণ এটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। কিন্তু সাধারণত স্যাটেলাইট শব্দটি এমন একটি মেশিন কে বুঝানো হয়।

যা মানবজাতির দ্বারা সৃষ্টি করে তা মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে যা পৃথিবীর অন্য কোন বস্তুর চারপাশে ঘুরতে থাকে।

তার জন্য স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ বলতে আমরা বুঝি থাকে তথ্য সংরক্ষণ। বা যোগাযোগের জন্য পৃথিবী বা চাঁদ অন্যান্য গ্রহের চার পাশে, প্রদক্ষিণ করার জন্য আমরা যে, সকল মেশিন গুলো মহাকাশে প্রেরণ করি। তাই হচ্ছে, স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ।

মানুষের মাধ্যমে প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহ গুলি মূলত যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ সময়ে স্যাটেলাইট গুলো টিভি চ্যানেলের সিগন্যাল এবং সারাবিশ্বের মোবাইল কলের সিগনাল করার কাজে ব্যবহার করা হয়।

নাসা গবেষণা অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত 20 টির বেশি উপগ্রহ একটি গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস তৈরীর কাজে ব্যবহার করা হয়।

আপনার কাছে যদি একটি জিপিএস রিসিভার থাকে তবে। এই উপগ্রহ গুলো আপনার সঠিক অবস্থান নির্ণয় করতে, সহায়তা করতে পারে।

স্যাটেলাইট শব্দের অর্থ কি ?

স্যাটেলাইট হচ্ছে ইংরেজি শব্দ আসলে এটি একটি ফরাসি শব্দ এবং ল্যাটিন ভাষায় অনুসরকারী। জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোহানস কেপলার ঘোড়শ বৃহস্পতি গ্রহের উপগ্রহ গুলো সম্পর্কে ধারণা দেয়ার সময় এই শব্দটি উচ্চারণ করেন।

তারপর থেকেই এটি স্যাটেলাইট নামে উপগ্রহ নামে পরিচিত হয় এবং যোগাযোগের মাধ্যম সৃষ্টি করে।

স্যাটেলাইটের প্রকার ?

নাসা সংস্থার মতামত অনুযায়ী স্যাটেলাইট প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমন প্রাকৃতিক স্যাটেলাইট এবং মনুষ্যসৃষ্ট স্যাটেলাইট।

প্রাকৃতিক উপগ্রহের প্রধান প্রধান হচ্ছে পৃথিবী বা চাঁদ। পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে আর চাঁদ প্রদক্ষিণ করে পৃথিবী কে।

তাছাড়া আমাদের আকাশগঙ্গা সৌরজগতের মোট 171 চাঁদ বা প্রাকৃতিক উপগ্রহ আছে।

তার মধ্যে পৃথিবীর ১ টি, মঙ্গল গ্রহের ২ টি, বৃহস্পতির ৬৬ টি, শনির ৬২ টি, ইউরেনাসের ২৭ টি, নেপচুনের ১৩ টি উপগ্রহ রয়েছে।

অন্যদিকে মানুষের তৈরি স্যাটেলাইট উপগ্রহ হল বিভিন্ন ধরনের আকৃতি ও প্রকৃতির হয়ে থাকে।

এগুলো মূলত মহাকাশে পাঠানো হয় বিভিন্ন প্রকার পরিক্ষা মুলক, তথ্য সংগ্রহ মূল্য ও সিগন্যাল ট্রান্সমিশনের এবং আরো অন্যান্য উদ্দেশ্য সমাধান করার জন্য।

তাই আমাদের আলোচনার মুখ্য বিষয় হচ্ছে কৃত্রিম বা মনুষ্যসৃষ্ট স্যাটেলাইট। তার জন্য আমরা জানিয়ে দিবো, এই কৃত্রিম স্যাটেলাইট মোট কত প্রকার।

কৃত্রিম স্যাটেলাইট এর প্রকার

মনুষ্যসৃষ্ট স্যাটেলাইট গুলোর প্রতিটি কারণ একে অন্যের থেকে আলাদা। তাই তাদের কাজের ধরন অনুসারে, মূলত তাদের শ্রেণীবিভাগ করা হয়। তাদের কাজের ভিত্তিতে গঠন ও ডিজাইন বেশিরভাগ সময় আলাদা হয়।

  • কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট
  • রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট
  • গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম:
  • ড্রোন স্যাটেলাইট
  • গ্রাউন্ড স্যাটেলাইট
  • পোলার স্যাটেলাইট
  • ন্যানো, স্মল ও স্মার্ট স্যাটেলাইট
  • জিওসেন্ট্রিক অরবিট টাইপ বা জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট

এখন আমরা আপনাকে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব স্যাটেলাইটের কাজ কি।

অবশ্যই পড়ুনঃ

স্যাটেলাইট এর কাজ কি ?

এই কৃত্রিম উপগ্রহের অনেক গুলো কাজ আছে সেগুলো হচ্ছে-

স্যাটেলাইট এর প্রধান কাজ হচ্ছে বিরামহীনভাবে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা এবং পৃথিবীর বাইরে ও মহাকাশে ঘটতে থাকা। খুঁটিনাটি তথ্য সম্পর্কে পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের জানানো।

পৃথিবীর আবহাওয়া, বায়ুমণ্ডল ও সকল ভৌগলিক তথ্য, ছবি আকারে বিজ্ঞানীদের কাছে পাঠানো। রিমোট সেন্সিং এর মাধ্যমে স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর সকল মহাসমুদ্র থেকে শুরু করে গভীর খাত। সকল কিছুর রাডার ইমেজ ক্যাপচার করতে সক্ষম হয়।

গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম এর মাধ্যমে সামরিক শক্তি খুব সহজেই শত্রুদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে সক্ষম হয় স্যাটেলাইট।

টিভির সিগনাল সিগনাল থেকে শুরু করে মোবাইল সিগন্যাল সকলকে স্যাটেলাইট সিগন্যাল এর ওপর নির্ভরশীল।

স্যাটেলাইট এর কাজ হচ্ছে নিউক্লিয়ার মনিটরিং। এছাড়া একই স্যাটেলাইটের আরো অনেক কাজ রয়েছে। সে গুলোর মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষ অনেক ভালো কিছু আশা করে।

স্যাটেলাইট এর ব্যবহার

পৃথিবীতে মূলত তিনটি কাজের ক্ষেত্রে মানুষকে স্যাটেলাইটের ব্যবহার উপর নির্ভর করতে হয় যেমন-

  • আবহাওয়া
  • যোগাযোগ ব্যবস্থা
  • অনুসন্ধান

আবহাওয়া

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী স্যাটেলাইটগুলো ক্রমাগত পৃথিবীর আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য প্রেরণ করে থাকে এবং সারা বিশ্বের অসংখ্য তথ্য আমাদের কাছে 24 ঘন্টা অবিরামভাবে প্রদান করে।

উক্ত তথ্য গুলোর মধ্যে থাকে তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, বাতাসের গতি এবং মেঘের ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সমূহ।

আবহাওয়াবিদরা এ তথ্য ব্যবহার করে তাদের আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে।

বিশেষ করে উন্নত মানের স্যাটেলাইট ব্যবহার করে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটনা অনেক আগে থেকে। মানুষজনকে সাবধান করে দেয়া যায়। এখান থেকে অনেক মানুষের প্রাণ বেঁচে যাওয়া সম্ভব হয়।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

একটা যোগাযোগ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই পৃথিবীতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য প্রেরণ করা সম্ভব হয়।

উক্ত স্যাটেলাইট গুলো সাধারণ জিওসিঙ্কোনাস হয়। মানে কৃত্রিম উপগ্রহের কক্ষপথের এমন ভাবে ঘুরে। যা তাদের সর্বদা পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলে। এবং পৃথিবীর উপর বরাবর একই স্থানে অবস্থান করে থাকে।

উক্ত স্যাটেলাইটগুলো টেলিফোন সংকেত মোবাইল যোগাযোগ এবং জাহাজ থেকে উপকূল রেডিও পরিচালনা করে থাকে।

তাছাড়া যোগাযোগ স্যাটেলাইটগুলো টেলিভিশন ও রেডিও সম্প্রচার পয়েন্ট থেকে সারা দেশে স্টেশনগুলোতে রিল করে।

অনুসন্ধান

স্যাটেলাইট এর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহের অন্বেষণ করা। তাছাড়া মানচিত্র তৈরি করতেও উপগ্রহের ওপর বিজ্ঞানীরা অনেকটা নির্ভর করে।

অনেক স্যাটেলাইটে উন্নত মানের ক্যামেরা থাকে যা গ্রহের স্থির ও ভিডিও ছবি পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের কাছে পাঠাতে সক্ষম হয়।

ইনফ্রারেড ইমেজ, একদম সঠিক ভাবে পৃথিবীর তাপ ঠান্ডা জায়গা খুঁজে দিতে সক্ষম হয়। এছাড়া বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে।

পলার আইস গুলোর মত দুর্গম জায়গা গুলো শারীরিক ভাবে না পৌঁছাতে পারলেও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সেই অঞ্চলগুলোতে ট্র্যাক করতে পারে।

বর্তমান সময়ে অনশনকারী স্যাটেলাইটগুলো তারামণ্ডলী ও নক্ষত্রের ছবি পাঠাতে সক্ষম। যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মাধ্যমে প্রভাবিত বা নষ্ট হয়ে যায় না।

এছাড়া স্যাটেলাইটের অনেক উপকার এবং সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি উপরের আলোচনা টি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে স্যাটেলাইট সম্পর্কে অনেক ধারণা নিতে পেরেছেন।

আরো পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাকে জানানো হলো- স্যাটেলাইট কি? স্যাটেলাইট কত প্রকার এবং স্যাটেলাইটের কাজ কি?

আপনি যদি এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের একটি কমেন্ট করে জানাবেন।

ট্যাগঃ স্যাটেলাইট কি ? স্যাটেলাইট এর কাজ কি ? (বিস্তারিত জানুন) স্যাটেলাইট কি ? স্যাটেলাইট এর কাজ কি ? (বিস্তারিত জানুন) স্যাটেলাইট কি ? স্যাটেলাইট এর কাজ কি ? (বিস্তারিত জানুন)

স্যাটেলাইট কি ? স্যাটেলাইট এর কাজ কি ? (বিস্তারিত জানুন) স্যাটেলাইট কি ? স্যাটেলাইট এর কাজ কি ? (বিস্তারিত জানুন) স্যাটেলাইট কি ? স্যাটেলাইট এর কাজ কি ? (বিস্তারিত জানুন)

বিশেষ করে আপনি যদি আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন ইনকাম বিষয়ে এবং প্রযুক্তি বিষয়ক যাবতীয় তথ্য পেতে চান। তাহলে নিয়মিত ভাবে ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top