কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় : কম্পিউটার ভাইরাস বিষয়ে, আমরা অনেকবার শুনেছি।
মূলত ভাইরাস কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের জন্য অনেকটাই ক্ষতিকারক।
কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই যারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন। তারা এ ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য। তেমন কোন মোকাবেলা করেন না।
যার ফলে, কম্পিউটারে নানা ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে, কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হলে কম্পিউটার এর কিছু ফাংশন কাজ করা বন্ধ করা যায়।
কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়। কম্পিউটার চালু হতে অনেক বেশি সময় নেয়। আরো অন্যান্য সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
যখন এ ধরনের সমস্যা লোকেরা দেখতে পারে। তখন অনলাইনে সার্চ করে, জানার চেষ্টা করেন কম্পিউটার ভাইরাস কি ?
কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্তর লক্ষণ কি ? ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকেন।
- কম্পিউটারে টাইপিং স্পিড দ্রুত করার উপায়
- এন্ড্রয়েড মোবাইলকে কম্পিউটারের মতো বানানোর অ্যাপ
- কম্পিউটারে ইমেইল পাঠানোর নিয়ম ? (বিস্তারিত দেখুন)
তবে আপনি আগে থেকে যদি কম্পিউটারের ক্ষতিকারক ভাইরাসের বিষয়ে জানতে পারেন। এবং ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়। এ ছাড়া ভাইরাস থেকে কম্পিউটার কিভাবে রক্ষা করবেন।
এ ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করেন তাহলে আপনার ভয় পেতে হবে না। কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। নিশ্চিন্তে কম্পিউটার ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন।
তাই আপনি যদি কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে, জানতে চান?
তাহলে আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। আশা করি বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
কম্পিউটার ভাইরাস কি ?
কম্পিউটার ভাইরাস এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা ফাইল যে ব্যবহার কর্তার অনুমতি ছাড়াই কম্পিউটার কে সংক্রমিত করে এবং ধীরে ধীরে পুরো কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে।
এর বাইরে যে কোন কম্পিউটারে কখন, কিভাবে ঢুকতে পারে, সেটা বুঝা অনেকটাই কঠিন।
কম্পিউটার ভাইরাসের মূল কাজ হচ্ছে, সে আপনার কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করে। অন্যান্য প্রোগ্রাম গুলোকে মডিফাই করে, নিজের কিছু ক্ষতিকারক কোড প্রোগ্রামের গুলোতে যুক্ত করা যায়।
যার ফলে আপনার কম্পিউটারের অন্যান্য প্রোগ্রাম ফাইল গুলো সেই ক্ষতিকারক ভাইরাসের মতো কাজ করা শুরু করে।
সেজন্য আপনারা অনেক সময় লক্ষ্য করে দেখেছেন। হয়তো আপনার কম্পিউটারে হঠাৎ করে কোন ফাংশন নিজে নিজেই কাজ করা শুরু করে।
আবার নিজে নিজে কম্পিউটার রেজিস্টার হয়ে যায়। কোন সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে গেলে, আপনার নির্দেশনা ছাড়াই কাজ করে।
তো আপনার কম্পিউটারে যদি এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে বুঝবেন কম্পিউটারের ভাইরাস প্রবেশ করেছে। তো আশা করি বুঝতে পারছেন কম্পিউটার ভাইরাস মূলত কি।
কম্পিউটারে ভাইরাস কিভাবে প্রবেশ করে ?
আপনার কম্পিউটার বা সিস্টেমে অনেক সহজে কিছু কারণে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।
সেগুলো হচ্ছে-
ইন্টারনেটের মাধ্যমে
আপনি যদি কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন তবে অনলাইনে অনেক সংক্রমিত ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।
বিশেষ করে, ৭০% মানুষের কম্পিউটা এডওয়্যার ও ম্যালওয়্যার ইত্যঅদি ভাইরাস ইন্টারনেট থেকে সিস্টেমে প্রবেশ করা যায়।
ইউএসবি ডিভাইস থেকে
আমরা অনেক সময় অনেক ধরনের ইউএসবি ডিভাইস যেমন- পেনড্রাইভ, স্মার্টফোন, হার্ডডিস্ক থেকে অনেক ধরনের ফাইল নিজের কম্পিউটারে কপি করে রাখি।
উক্ত ফাইলগুলো কপি করার সময় আমাদের কম্পিউটারে। অন্যদের কম্পিউটার থেকে ভাইরাস অনেক সহজে ঢুকতে পারে। যা আমরা কখনোই বুঝতে পারি না।
ইমেইল এটাচমেন্ট থেকে
আমাদের ইমেইল ইল এড্রেসে প্রতিদিন অনেক ধরনের মেইল আসে। ই-মেইলে আসা মেইল গুলোতে ফাইল এটাচমেন্ট এর মাধ্যমে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।
কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
তো আপনার যারা কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান? তাদেরকে সহজ কিছু ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে জানিয়ে দেব।
আমরা অনেক সময় কম্পিউটার ব্যবহার করতে ভাইরাস প্রবেশ করে থাকে যার লক্ষণ দেখা দেয় না। কারণ কম্পিউটার ভাইরাস আলাদা আলাদা হতে পারে।
তারপর উপরে নির্ভর করে তার কাজের উপর এবং তাকে কিসের জন্য তৈরি করা হয়েছে সেটির উপর ভিত্তি করে।
মনে করুন আপনার কম্পিউটারে নিজে নিজেই বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। ব্রাউজের পপ-আপ পেজ খুলে যায়। অটোমেটিকভাবে অন্যান্য ওয়েবপেজ এবং ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যায়।
তো এই ধরনের লক্ষণ গুলো দেখতে পারলে বুঝতে পারবেন আপনার কম্পিউটারে Adware virus আক্রান্ত করেছে।
আবার অনেক সময় আপনার কম্পিউটার সিস্টেমের মধ্যে ভাইরাস চুপ করে অবস্থান করে এবং ধীরে ধীরে সিস্টেম বা প্রোগ্রাম ফাইলগুলো এডিট করে তাতে নিজের কোড গুলো বসিয়ে দেয় যেমন- Self Replicating ভাইরাস।
এজন্য আপনি তাদের কখনোই ধরতে পারবেন নাG তবে কিছু সাধারণ অসুবিধা দেখা দেবে। যেমন- কম্পিউটার নিজে নিজে রিস্টার্ট হবে। অত্যধিক হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। এরর মেসেজ আপনার সন্দেহের কারণ হতে পারে।
এগুলো ছাড়া আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন-
- আপনার কম্পিউটার শ্লো কাজ করবে।
- কম্পিউটার অসাধারণ ভাবে কাজ করা শুরু করবে।
- হঠাৎ করে এক জায়গার কাজ আরেক জায়গায় যাবে।
- নিজে নিজে সফটওয়্যার চালু হবে বা বন্ধ হবে।
- সিস্টেম এরর দেখাবে।
- হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সমস্যা পাওয়া যাবে।
তো আপনার কম্পিউটার যদি এই ধরনের সমস্যা গুলো দেখা দেয় তাহলে বুঝতে পারবেন। কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রান্ত করেছে।
আর এই ভাইরাস গুলো আসলে ভাইরাসের লক্ষণ কি না। তা জানার জন্য আপনি একটি কাজ করতে পারেন।
বিশেষ করে আপনার কম্পিউটারে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইন্সটল করে দেখে নিতে পারেন। কোন ধরনের ভাইরাস আপনার কম্পিউটারে আক্রান্ত করছে। সেগুলো স্কিনের মাধ্যমে ধরা পড়বে যা আপনারা রিমুভ করতে পারবেন।
কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হলে প্রতিরোধের উপায়
আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ভাইরাস রয়েছে। সেটি আপনি সাধারণ অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ডাউনলোড করেএবং ইন্সটল করে, কম্পিউটার থেকে খুঁজে বের করতে পারবেন।
তবে ফ্রি এন্টিভাইরাস দিয়ে আপনি কম্পিউটার ভাইরাস ডিলিট বা রিমুভ করার সুযোগ পাবেন না এর জন্য আপনার একটি প্রিমিয়াম অ্যান্টিভাইরাস কিনে নিতে হবে।
আপনারা চাইলে, Amazon বা Flipkart এর মতো অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে Rs.200 হতে Rs.500 ভালো একটি অ্যান্টিভাইরাস কিনে নিতে পারবেন।
এন্টিভাইরাস কেনার সময় মনে রাখবেন। অনেক সময় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার আপনার কম্পিউটার থেকে অনেক ধরনের ভাইরাস বের করতে ব্যর্থ হয়। তখন আপনার কাছে শুধুমাত্র সিস্টেম রিস্টার্ট ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।
তবে আপনি যদি কম্পিউটারে ভাইরাসের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত থাকেন তবে একবার ফুল উইন্ডোজ ফরমেট করিয়ে নিতে পারেন।
তারপর উপরে দেওয়া পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করে। আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ভাইরাস থেকে নিরাপত্তায় রাখতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আপনারা যারা কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান? তারা উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী যদি কাজ করতে পারেন।
তাহলে আশা করা যায়। কম্পিউটারে অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করে, খুব সহজেই কম্পিউটার ভাইরাসগুলো স্ক্যান করে ধরতে পারবেন। এবং রিমুভ বা ডিলেট করতে পারবেন।
তো আমাদের লেখা আর্টিকেলটি আজ এই পর্যন্তই। কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে আপনার বন্ধুদের জানাতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।