কপিরাইটিং কি ? আপনি যদি অনলাইনে ঘাটাঘাটি করে থাকেন। তাহলে কোন না কোন সময় শোনা থাকবেন কপিরাইটিং সম্পর্কে।
এছাড়া আপনি এটাও জানেন যে, বর্তমান সময়ে কপিরাইটিং এর জনপ্রিয়তা অনেক গুন বেড়ে যাচ্ছে। আরে কপিরাইটিং থেকে, মানুষ প্রচুর পরিমাণে টাকা অনলাইন আয় করছে।
আপনারা হয়তো কপিরাইটিং কি এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেতে, গুগলে সার্চ করে, জানতে চান কপিরাইটিং কি? তার ফলশ্রুতিতে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।
সত্যি কথা বলতে আপনার মত একজন মানুষ আমরা খুজছিলাম আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। যে মানুষটা কপিরাইটিং সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। আমরা আশা করি একজন মানুষ পেয়ে গেছি।
তাই আপনার সাথে আজকে আমরা কপিরাইটিং কি? কেন? এবং কিভাবে কপিরাইটিং করতে হয়। সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারনা দেব।
আমরা সকলেই জানি যে বর্তমান সময়ে, এমন অনেক মানুষ রয়েছে। যারা শুধুমাত্র অনলাইনে কাজ করে, লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারছে।
কিন্তু কপিরাইটিং হচ্ছে এমন একটি কাজ যা আপনি চাইলে, অনলাইনে সহজে করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে অফলাইনেও এ কাজটি করতে পারবেন।
শুধু তাই নয় আপনি যদি একজন দক্ষ হন। তাহলে আপনি এই কাজটির মাধ্যমে, আপনার নিজের ক্যারিয়ার গড়ে, তুলতে পারবেন।
আপনি কিভাবে কপিরাইটিং এর সাথে সংযুক্ত হবেন। তার জন্য আপনার কি কি দক্ষতা প্রয়োজন। এবং এই কাজটি করে আপনি মোট কত টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এইসব বিষয় নিয়ে আমরা বিস্তারিত ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব।
তার জন্য, আপনি শুধু আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনারা কপিরাইটিং নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ
- অনলাইনে ক্যাপচা এন্ট্রি করে আয় করুন [captcha typing]
- অনলাইন জব 2022 : মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
- মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়, জেনে নিন সহজ মাধ্যম
কপি রাইটিং কি?
সাধারণ অর্থে আমরা পর্ব লিখিত কোন লেখাকে কপি করাকে কপিরাইটিং মনে করে থাকি। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এটি কিন্তু অন্যরকম।
মূলত কপিরাইটিং হচ্ছে কিছু লেখার সমন্বয়। যে লেখার মাধ্যমে কোনো, পণ্যের বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।
কোন পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ, বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যাকিছু লেখা হয়। তাকেই কপিরাইটিং বলা হয়।
আপনি যদি পাঠাতে শোনে না বুঝতে পারেন। তাহলে মনে করুন- আপনারা এখান টিভি প্রোগ্রাম দেখছেন। এখন একটু পরপর আমাদের বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এবং এর বিজ্ঞাপন গুলো বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় কথা বলে থাকে।
যেমন- সানসিল্ক শ্যাম্পু ব্যবহার করে ৭ দিনের মধ্যে চুল পড়া বন্ধ করুন। লাইফবয় সাবান ব্যবহার করে ভাইরাস মুক্ত থাকুন। এরকমভাবে বিভিন্ন কোম্পানি, বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকে।
তাই এই বিজ্ঞাপনগুলোতে যে, সব বিজ্ঞাপন দাতাদের কথা বলা হয়। যে ব্যক্তি এই কথা গুলো লেখা থাকে মূলত এ ব্যক্তিকে বলা হয় কপিরাইটার। আর যে, কথাগুলো লিখে তাকে বলা হয় কপি রাইটিং।
কেন কপি রাইটিং করবেন?
এখন আপনাদের প্রশ্ন হতে পারে যে কেন কপিরাইটিং করব। আচ্ছা মনে করেন টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন এর কথা না হয় বাদ দিলাম কিন্তু আপনি তো অবশ্যই ফেসবুক, ইউটিউব এবং টুইটার ব্যবহার করেন।
তো এখন আপনি ফেসবুক ইউটিউব ব্যবহার করছেন। সেখানে কিন্তু আপনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বিজ্ঞাপন দেখতে পারবেন।
তখন কিন্তু আপনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য গুলো বিজ্ঞাপন অবশ্যই দেখবেন। এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় কেন এর বিজ্ঞাপন শো করা হয়। এতে করে কোম্পানিগুলোর লাভ কি।
হয়তো এর উত্তরে, আপনি বলতে পারেন। কোম্পানির পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে এ বিজ্ঞাপন গুলো দেখানো হয় আপনার কথা একদম সঠিক।
কারণ আমরা যে, সকল বিজ্ঞাপন দেখতে পারি সেগুলো কোন না কোন। কোম্পানি থেকে প্রচার করা উদ্দেশ্যে দেখিয়ে থাকে। কারণ কোন কোম্পানির প্রসারের জন্য প্রচার করার কোন বিকল্প নেই।
আরো পড়ুনঃ
- অনলাইনে দ্রুত টাকা আয় করার উপায় ?
- Android apps দিয়ে টাকা আয় করুন (অনলাইন earning app)
- ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার সেরা ৭টি উপায়
তবে, সবকিছু বুঝতে পারেন কিন্তু কেন. আমরা কপিরাইটিং করব সে বিষয়ে একটু বলতে পারেন।
দেখুন বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। আর আপনি জানলে অবাক হবেন। যে বর্তমানে কপিরাইটিং এক ধরনের পেশা হিসেবে পতিত হয়েছে।
আর যত দিন যাচ্ছে ততই চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ আমরা যে, সকল বিজ্ঞাপন দেখি সেগুলোতে বিভিন্ন কোম্পানির বিষয়ে ভালো কথা বলা হয়।
এখন বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা সেই কথাগুলো কিন্তু এমনি এমনি আসে না। বরং কেউ না কেউ কোম্পানিগুলোর কথা গুলো লিখে দিয়ে থাকে।
যে কথাগুলো লিখে থাকে, তারা এই লেখার বিনিময়ে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করে নিতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র আয় করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই।
এখানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে, একজন দক্ষ কপি রাইটার লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে।
এখন আপনি যদি তাদের মত কপিরাইটিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে চান। তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি পেশা হবে কপিরাইটিং।
উক্ত কপিরাইটিং কাজের সাথে নিজেকে যুক্ত করে। নিজের সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন। আমি আশাকরি উপরে আলোচনা পরে বুঝতে পেরেছেন। কেন কপিরাইটিং করবেন।
কে কে কপি রাইটিং করতে পারবেন ?
এখন কপিরাইটিং সম্পর্কে এত কিছু জানার পর আপনার প্রশ্ন হতে পারে এই কপিরাইটিং এর কাজ কি সকলে করতে পারবে। উত্তরে বলব না।
সকলেই কাজে যুক্ত হতে পারবেন না। বরং এখানে দক্ষ ব্যক্তিরাই কাজ পাবার যোগ্য।
কিন্তু জানার বিষয় হচ্ছে কোন কোন ব্যাকটেরিয়া কপিরাইটিং নামের কাজটির সাথে যুক্ত হতে পারবে। আপনি যদি নিজে কে কপিরাইটিং কাজের সাথে যুক্ত করতে চান। তাহলে আপনার মধ্যে বেশ কিছু না বলে থাকতে হবে যেমন-
- মানসম্মত লেখার অভিজ্ঞতা।
- ক্রেতার মনোভাব বোঝার সক্ষমতা।
- ক্রিয়েটিভ চিন্তা ভাবনা।
আপনার মধ্যে যদি এই বিষয়গুলোর প্রতি ভালো জ্ঞান থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই কপিরাইটিং করতে পারবেন।
একজন কপি রাইটার কি কি কাজ করে?
আপনি যদি ওপরে আলোচনা মনোযোগ দিয়ে পড়েন। তাহলে আপনার মনে এখন প্রশ্ন হতে পারে যে, একজন কপিরাইটার কি? শুধুমাত্র তৈল আর সাবানের বিজ্ঞাপনে লেখা থাকে।
আপনার মনে যদি এ প্রশ্ন হয়ে থাকে তবে এর উত্তরে বলবেন না। একজন কপিরাইটের শুধু তেল বা সাবানের বিজ্ঞাপনে লেখা না।
বরং এগুলো ছাড়াও আরও অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। যারা সহজেই করে, অর্থ উপার্জন করে।
আপনি যদি একজন দক্ষ কপিরাইটার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন যেমন-
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পণ্য পাচারের উদ্দেশ্যে কাজ করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে ই-কমার্সের অনেক চাহিদা আছে আপনি যদি একজন দক্ষ কপিরাইটার হতে পারেন। তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করতে পারবেন।
বর্তমান যুগ যেহেতু ডিজিটাল যুগ তাই, আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা হিসেবে, বিভিন্ন মার্কেটিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলোতে আপনারা সহজেই কপিরাইটিং এর কাজ পেয়ে যাবেন।
বক্তা মাধ্যমগুলো ছাড়া আপনারা বিভিন্ন জায়গায় কপিরাইটিং এর কাজগুলো সহজে পেয়ে যাবেন। কারণ এই কাজের চাহিদা অনেক বেশি কিন্তু এখানে দক্ষতা লোক পাওয়া কঠিন।
আপনি যদি কপিরাইটিং করে ইনকাম করতে চান। তাহলে উপরের নিয়ম অনুযায়ী আপনারা সহজেই, একজন কপিরাইটার করতে পারবেন।
কপিরাইটিং কিভাবে করতে হয়। সে বিষয়ে আমরা উপরে যথেষ্ট ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আপনারা সে বিষয়গুলো করে নিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
- গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ? গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে অনলাইন আয়ের টিপস (নতুনদের জন্য)
- অনলাইন ইনকাম করুন মাসে ৫০+ হাজার টাকা (১০ টি সেরা উপায় অনলাইন আয়)
- কিভাবে মোবাইল দিয়ে অনলাইন টাকা আয় করা যায় ? (১০০% সঠিক গাইড)
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া কপিরাইটিং কি? কেন? এবং কিভাবে কপিরাইটিং করতে হয়।
আপনি যদি কপিরাইটিং করে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস পেয়ে যাবেন। তার জন্য আপনাকে অবশ্যই কপিরাইটিং কোর্স করতে হবে।
আমাদের আর্টিকেলে যদি আপনার কাছে ভাল লেগে। থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন। এছাড়া আপনি যদি আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত নতুন আর্টিকেল পড়তে চান। তাহলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।