চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম (সহজ পদ্ধতি)

সিভি লেখার নিয়ম : আমরা চাকরির জন্য আবেদন করতে চাইলেই সবার আগে প্রয়োজন পরে একটি সিভি। চাকরির যাই হোক না কেন?

আপনার সেই চাকরি পাওয়ার জন্য নিজের একটি সিভি তৈরি করে, প্রথমে সেটি কোম্পানির কাছে জমা দিতে হবে।

চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম (সহজ পদ্ধতি)
চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম (সহজ পদ্ধতি)

কারণ ব্যক্তির সিভি দেখে কোম্পানির লোকেরা আপনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবে। আর এটির উপর নির্ভর করবে। যে কোম্পানী আপনাকে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য ডাকা হবে কিনা।

তাই প্রতিটি চাকরিপ্রার্থী ব্যক্তিদের একটি আকর্ষিত এবং সহসিভি তৈরি করা অনেকটাই প্রয়োজন। যাতে একটি সিভি দেখে যে কোন মানুষ বুঝতে পারে আপনার জীবনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে।

কারণ একটি সিভিতে একজন ব্যক্তির, ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সবকিছুই সংযুক্ত থাকে তাই যে কেউ দেখলে সহজে বুঝতে পারে।

আর সেজন্য আমরা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি, সঠিকভাবে সিভি লেখার নিয়ম সম্পর্কে। কারণ আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা সিভি লেখার সঠিক নিয়ম জানেন না।

অনেকে আছে শুধুমাত্র নিজের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম এবং গ্রাম পর্যন্ত সিভি বুঝেন। আসলে এটি সিভি নয় একটি সিভিতে একজন ব্যক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য সংযুক্ত করতে হয়।

তো বন্ধুরা চলুন আর সময় নষ্ট না করে, বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। সঠিকভাবে সিভি লেখার নিয়ম সম্পর্কে।

সঠিকভাবে সিভি লেখার নিয়ম

একটি সিভি তৈরি করা সেরকম কোন ধরা বাধা নাই। তবে একটি সিভিতে কি কি লিখবেন সেটি অনেক জরুরী।

কারণ আপনার তৈরি করা সিভি দেখে আপনার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়। আর যদি আপনি কোন চাকরির ইন্টারভিউ এর জন্য নিজের সিভি তৈরি করতে চান?

তাহলে সেখানে যদি আপনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো লেখা না থাকে। তাহলে কম্পানির লোকেরা আপনাকে ইন্টারভিউ করে নাও থাকতে পারে।

এক্ষেত্রে আপনার সিভিতে যদি নিজের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংযুক্ত করে, কোন চাকরির জন্য জমা দেন তাহলে কোম্পানির লোকেরা আপনার সিভি দেখে ভাল মনে করবেন এবং ইন্টারভিউ বোর্ডে ডাকবেন।

এক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে একটি আকর্ষণীয় আর জরুরি তথ্যসহ সিভি কিভাবে তৈরি করবেন? তো নিজের সিভিতে এমন কি কি লিখবেন।

যে কোম্পানির লোকেরা আপনার প্রতি ইন্টারেস্ট হবেন। এবং আপনাকে চাকরি ইন্টারভিউতে ডাকবে।

তো সেজন্য বিস্তারিত তথ্য পেতে ,আমাদের লেখা আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

নিজের সিভিতে কি কি লিখবেন?

আপনাদের চাকরি আবেদন করার সময় সিভি অনেকটাই প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আর সেজন্য এটি অবশ্যই মনে রাখবেন। যাতে আপনার সিভিতে সে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো থাকে। যেগুলো শুধুমাত্র এক পেজ বা দুই পেজের মধ্যে বিস্তারিত তথ্য সম্পন্ন হয়।

যার ফলে আপনার পটভূমের ব্যাপারে কোম্পানির লোকেরা খুব সহজে জেনে নিতে পারবে। আপনার ইন্টারভিউ নেয়ার জন্য দেখা হবে।

পে চলুন আমরা সরাসরি জানিয়ে দিচ্ছি সিভিতে কোন বিষয় গুলো থাকতে হবে। কি কি লেখার প্রয়োজন রয়েছে।

সহজ সিভি তৈরি করুন

আপনি যে কাজের জন্য সিভি তৈরি করেন না কেন সেটি কখনোই জটিল ভাবে তৈরি করবেন না। যতটা সম্ভব সহজ সরল ভাবে সাধারণ ভাবে তৈরি করার চেষ্টা করবেন।

কারণ আপনার তৈরি করা সিভি যদি জটিল হয়ে থাকে তাহলে সেটা পরে, কোম্পানির লোকেরা বা যে কেউ পড়ছে। সে আপনার বিষয়ে ভালো করে বুঝতে পারবে না এবং জানতেও পারবেনা।

যার ফলে যারা নিজের সিভিতে অতি সহজ এবং সহজ সরল ভাবে তৈরি করে তাদের ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য ডাকা হয় চাকরির জন্য। আপনার জব প্রোফাইল, অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা সবকিছুই জানতে পারে।

সিভি তৈরি করার উদ্দেশ্য

এ বিষয়টি আপনি নিজের সিভির শুরুতে নিজের উদ্দেশ্যের বিষয়ে লিখবেন। আপনি এখানে লিখতে পারেন যদি আপনাকে জবটি দেওয়া হয় তাহলে আপনি কিভাবে নিজের কাজে এবং দায়িত্ব পালন করবেন।

এক্ষেত্রে শুধুমাত্র তিন থেকে পাঁচ লাইন নিজের কোম্পানির, কাজের এবং কর্তব্যের বিষয়ে আপনি কি কি করবেন তা লিখবেন।

ব্যক্তিগত তথ্য

এই অংশে আপনি নিজের ব্যক্তিগত তথ্য বিষয় লিখবেন। মানে কাজের দিক দিয়ে নিজের সামর্থ্য এবং সক্ষমতার বিষয় লিখবেন।

মনে করুন আপনার যোগাযোগ অভিজ্ঞতা ভালো কিনা কাজের সংশ্লিষ্ট চাপ আপনি নিতে পারবেন কিনা। আপনার কতটুকু সময় নিষ্ঠ সে বিষয়ে বিস্তারিত লিখবেন।

এতে করে আপনার পজিটিভ প্রভাব এবং কাজের সক্রিয়তা নিয়োগকর্তার চোখে পড়বে।

চাকরির অভিজ্ঞতা

চাকরির অভিজ্ঞতা বা কর্মদক্ষতা একটি চাকরি পাওয়ার জন্য অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ পার্ট।

আপনার চাকরির অভিজ্ঞতা দেখে বেশিরভাগ নিয়োগকর্তারা আপনাকে অন্যদের থেকে উপরে রাখবেন। এবং তাই আপনার সেই চাকরিটি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

তো আপনি যদি কখনোই কোন চাকরি না করে থাকেন। তাহলে, বিষয়টি আলাদা। তবে আপনি যদি আগে থেকে কখনো কখনো চাকরি করেন।

তাহলে সেটির অভিজ্ঞতার বিষয়টি আপনারা সংক্ষিপ্ত ভাবে লিখে দিবেন। যাতে করে আপনার অনেক সুবিধা হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

নিজের ব্যক্তিগত তথ্য এবং চাকরির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লেখার পরে সব থেকে জরুরী বিষয় হচ্ছে, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিষয়টি লিখতে হবে।

যে কোন কোম্পানিতে চাকরি করার জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটা, সেটি অনেকটাই নির্ভর করবে আপনার চাকরি পাওয়ার জন্য।

তাই নিজের স্কুল থেকে শুরু করে আপনি যে, সকল ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সে বিষয়ে ধাপে ধাপে লিখবেন।

মানে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ গুলোতে, যে সার্টিফিকেট গুলো পেয়েছেন কত সালে পাশ করেছেন। কত জিপিএ পেয়েছেন।

কোন বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ আছেন। এবং কোন স্কুল থেকে এবং কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। তার বিস্তারিত লিখতে হবে।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম জানতে চান? তারা সহজ-সরল ভাবে, একটি সিভি তৈরি করে নিবেন।

যাতে করে আপনার সিভিতে আপনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রস্তুত থাকে।

আপনার পার্সোনাল ডাটা থেকে শুরু করে, চাকরির যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত একটি সিভিতে সংযুক্ত করে দিবেন। যাতে করে আপনারা চাকরির ইন্টারভিউ খুব সহজেই যোগদান করতে পারবেন।

তো চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থাকে। তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।  ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top