বর্তমান সময়ে যারা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে। তাদের ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক করার প্রয়োজন পড়ে।
যারা ওয়েবসাইট এর এসইও নিয়ে কাজ করে। তারা সারা জীবন কাজ করেতে চেয়েছিল তারা সবাই একটি বিষয় নিয়ে কাজ করছে সেটি হলো ব্যাংকলিংক।
এসইও এর জগতটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি কঠিন, এই কাজের নামই হলো ব্যাকলিংক। ব্যাকলিংক একটি ওয়েবসাইট এর রেঙ্ক করাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে ব্যাকলিংক নিয়ে অনেকের অনেক ভুল ধারণা আছে। অনেকের কাছে ব্যাংকলিংক অন্য ওয়েবসাইটে গিয়ে, শুধু নিজের সাইটের লিংক সেট করার মতো সহজ। আবার অনেকের কাছে এটি অসম্ভব ও কঠিন একটি ব্যাপার।
আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করব ব্যাকলিংক কি? ব্যাকলিংক কেন করবেন? ব্যাকলিংক কিভাবে করবেন। এই সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
আপনি এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পেজের পুরো লেখা মনযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ব্যাকলিংক কি?
ব্যাকলিংক হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের সাথে অন্য একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক জোরে দেওয়া। মনে করুন- একটি ওয়েবসাইট হলো- বাংলাদেশ আরেকটি হলো ভারত।
এখানে বাংলাদেশ ওয়েবসাইট এর কোন পোস্ট বা পেজে ভারত এর ওয়েবসাইট এর লিংক দেওয়া হয়েছে। তাহলে ভারত ওয়েবাইট বাংলাদেশ হতে একটি ব্যাংকলিংক পেয়েছে।
গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যাকলিংক কে এক একটি ভোট হিসেবে গণনা করে থাকে। তার মানে যে, ওয়েবসাইটে একটি ব্যাংকলিংক থাকে সে, তার পক্ষে একটি ভোট পায়। এরকম ভাবে ব্যাকলিংক যত বেশি হতে তত অর্গানিক রেঙ্ক বৃদ্ধি পাবে।
আরো দেখুনঃ
- ইউটিউবের নতুন নিয়ম কানুন ২০২২ | ইউটিউব কপিরাইট নিয়ম
- সেরা 12 টি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়
- অন পেজ এসইও কি ? কিভাবে অন পেজ এসইও করতে হয় ?
ব্যাকলিংক কেন করবেন?
এসইও এর জগতে থাকা লোকেরা ব্যাংকরিংকের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক ভালো ভাবে জানে। এর পরেও যারা নতুন তদের জন্য সংক্ষেপে বলছি।
উক্ত আলোচনায় বলেছি ব্যাংকলিংকে সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য এক একটি ভোট হিসেবে গণনা করে থাকে। যার ব্যাকলিংক যত বেশি হবে তার ভোট তত বেশি হবে।
উক্ত ভোট গুলো সার্চ ইঞ্জিন কে উক্ত আর্টিকেল এর মান ও উপকারীতা নির্দেশ করে দেয়। যার ব্যাকলিংক বেশি সার্চ ইঞ্জিন মনে করে, সেই কনটেন্ট অনেক বেশি কোয়ালিটির তাই দ্রুত সার্চ ফলাফলে দিয়ে দেয়।
উক্ত কারণে সকলের সাইটে অবশ্যই ব্যাকলিংক করার আবশ্যক। তাহলেই আপনার সাইট ও কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় রাখতে পারবেন। আর আপনার ভিজিটর বাড়বে সাথে ইনকামও বৃদ্ধি পাবে।
ব্যাকলিংক করার ফলে আপনার সাইট ও কনটেন্ট গুলো অনেক দ্রুত সফল হবে যেমন-
- অর্গানিক রেংঙ্কিং
- ফাস্ট ইনডেক্সিং
- ডিএ এবং পিএ বৃদ্ধি
- অর্গানিক ট্রাফিক
ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক করার ফলে, আপনি উক্ত সুবিধা গুলো এক সাথে নিতে পারবেন। এ জন্য আপনার সাইট অনেক শক্তিশালি হবে। আর আপনার অনলাইন আয় ও বেশি হবে।
কিভাবে ব্যাকলিংক করবেন?
উক্ত আলোচনায় আপনি জানতে পারলেন। একটি সাইটের জন্য ব্যাকলিংক করা কেন এত জরুরী। এখন আমরা আপনাকে জানাব, কিভাবে ব্যাংকলিংক করবেন?
আমরা জানি, ব্যাকলিংক করার কাজটি যেমন- কঠিন, ঠিক তেমনি অনেক সহজ। আপনি যদি কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারেন। এমন কিছূ অডিয়েন্স কে দিতে পারেন যেটা সত্যিই উপাকারে আসবে।
তবে আপনি ভালো ব্যাংকলিংক নিতে পারবেন আবার আপনি স্প্যাম করেও অনেক ব্যাকলিংক করতে পারবেন।
আপনি যদি স্প্যাম করে সাইটে ব্যাকলিংক নেন তাহলে এটি দীর্ঘস্থায়ী ভাবে রাখতে পারবেন না।
তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্যাকলিংক করার জন্য কি কি করতে হবেঃ
লিংক এবল এসেট তৈরি করতে হবে ?
লিংক এবল এসেট হচ্ছে এমন কোন আর্টিকেল যে আর্টিকেল সকলেই ব্যাংকলিংক দিতে আগ্রহী থাকে। যেমন- আপনি কোন একটি বিষয় নিয়ে রিসার্চ করে তার রিপোর্ট দিলেন, হতে পারে কোন সিক্রেট তথ্য।
যখন মানুষ আপনার এই এসট ব্যবহার করবে তখন তারা আপনাকে ক্রেডিট দিয়ে দেবে। যেমন- আপনি ব্যাকলিংক নিয়ে, আর্টিকেল লেখার পূর্বের সময় নিয়ে রিসার্চ করে ১৫-২০ টি ব্যাকলিংক বিল্ডিং এর টিপস তৈরি করলেন যা আগে কেউ করে নাই।
তারপরে অন্য ওয়েবসাইট গুলো থেকে যখন আপনার রিসার্চ ভালো লাগবে তারা সেটি ব্যবহার করে আপনাকে ক্রেডিট দিবে।
গেস্ট পোস্টিং
গেস্ট পোস্টিং অনেক আগের একটি লিংক বিল্ডিং ম্যাথোড। তবে এখনো এটি চমৎকার ভাবে কাজ করে।
গেস্ট পোস্টিং হলো আপনি কারও জন্য একটি আর্টিকেল লিখে দিবেন। তার বিনিময়ে সে আপনাকে একটি লিংক দিবে সেই পোস্টে।
এমন অনেক গেস্ট পোস্টিং করার সাইট আছে। এছাড়া আপনি ওয়েবসাইট এডমিনকে সরাসরি ইমেইল করেও গেস্ট পোস্ট এর জন্য বলতে পারেন।
গেস্ট পোস্টিং করার জন্য অনেকের একটি ভুল ধারণা থাকে। সেটি হলো আমি তো এই পোস্ট অন্য ওয়েবসাইটের জন্য লিখছি। তাহলে যে, কোন ভাবে লিখলেই তো হবে।
আসলে ব্যাপারটি সেরকম না। কারণ আপনাকে সেই ওয়েবসাইট এর এডমিন এই পোস্টের মাধ্যমে লিংক দিবে তাহলে আপনার পোস্ট যত ভালো হবে আপনার লিংকের ভ্যালু তত বেশি হবে।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য হাই কোয়াটিলি ব্যাকলিংক নিতে চাইলে অন্যের সাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করুন আপনার সাইটের লিংক জোরে দিয়ে।
তাহলে আপনার আর্টিকেল অনেক ভ্যালু পাবে। যাতে করে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাং ক করতে সহায়তা করবে। এবং ভালো পরিমাণের ভিজিটর পাবেন।
ব্লগ কমেন্টিং
ব্লগ কমেন্টিং বেশির ভাগ বুঝা যায় অন্য একটি ব্লগ পোস্টে কমেন্ট অপশনে গিয়ে নিজের ওয়েবসাইট এর লিংক যুক্ত করে দেওয়া।
মানুষ বিভিন্ন পোস্টে যে ভাবে কমেন্ট করে ঠিক সেরকম ভাবে। আপনিও কমেন্ট করে তার সাথে আপনার সাইটের লিংক দিয়ে বলতে পারেন যে, ভিজিট করুন।
এরকম ভাবে আপনার ওয়েবসাইট রিলেটেড কিছু সাইটে প্রবেশ করে ব্লক কমেন্টিং করে ব্যাকলিংক নিতে পারবেন।
আপনি যদি উক্ত তিনটি পদ্ধতি আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য কাজে লাগাতে পারেন। তাহলে কোয়াটিলি সম্পন্ন ব্যাকলিংক নিয়ে।
সাইটে ভিজিটর প্রবেশ করাতে পারবেন + কনটেন্ট ভ্যালু বাড়াতে পারবেন, ডোমেইন অথরিটি ও পেজ অথরিটি বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
- অনলাইন ইনকাম করুন মাসে ৫০+ হাজার টাকা (১০ টি সেরা উপায় অনলাইন আয়)
- অনলাইনে আর্টিকেল লিখে আয় করার পূনার্ঙ্গ গাইডলাইন
- ২০২২ সালের সেরা ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর তালিকা
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই, আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম। ব্যাকলিংক কি? কিভাবে ব্যাকলিংক করতে হয়।
আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে চান? সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে কোয়ালিটি ব্যাকলিংক করতে হবে।
আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে, কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চাইলে, নিয়মিত ভাবে ভিজিট করবেন- টিপস দাও ডট কম।
ট্যাগঃ ব্যাকলিংক কি? কিভাবে ব্যাকলিংক করবেন? বিস্তারিত আলোচনা ব্যাকলিংক কি? কিভাবে ব্যাকলিংক করবেন? বিস্তারিত আলোচনা ব্যাকলিংক কি? কিভাবে ব্যাকলিংক করবেন? বিস্তারিত আলোচনা।
ব্যাকলিংক কি? কিভাবে ব্যাকলিংক করবেন? বিস্তারিত আলোচনা ব্যাকলিংক কি? কিভাবে ব্যাকলিংক করবেন? বিস্তারিত আলোচনা ব্যাকলিংক কি? কিভাবে ব্যাকলিংক করবেন? বিস্তারিত আলোচনা।
আমাদের এই সাইটের লেখা শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্যে আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
