বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়

বিকাশ লোন ২০২২ : বর্তমান সময়ে বিকাশ ও সিটি ব্যাংক ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা শুরু করেছে। এখানে আবেদন ও ঋণ বিতরণ সম্পন্ন স্বয়ংক্রিয়।

আপনিও যদি বিকাশের গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে আপনিও লোন পেতে পারেন। পাইলট প্রোগ্রাম শেষে আবারও চূড়ান্ত ভাবে চালু হলো সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন সার্ভিস।

ডিজিটাল ন্যানো লোন গ্রহণ করে, একজন গ্রাহক তাদের বিকাশ একাউন্ট থেকে তিনটি সমান মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ পাবে।

বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়
বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়

বিকাশের এই লোন কিভাবে পাবেন। যদি জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ দিতে 100 কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্ক্রিম গঠন করেন। 9% সর্বোচ্চ 50 হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে।

এই লোন সম্পূর্ণ ভাবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।

আরো দেখুনঃ

কিন্তু বিকাশ এবং সিটি ব্যাংক আরো আগেই ডিজিটাল ন্যানো লোন নামে, একটি ঋণ প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছিল।

তো চলুন সময় নষ্ট না করে বিকাশ থেকে। কিভাবে লোন নেওয়া যায় সে বিষয়ে ধারণা নেওয়া যায়।

সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন

মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো লেনদেন যেমন- মোবাইল রিচার্জ, মার্চেন্ট পেমেন্ট সহ অন্যান্য সুবিধা দিয়ে আসলেও ঋণ কার্যক্রম না থাকার কারণে কিছুটা অসম্পন্ন ছিল এই মাধ্যমটি।

তবে সিটি ব্যাংক এবং বিকাশের ডিজিটাল ন্যানো মূল কার্যক্রম মোবাইল আর্থিক সার্ভিসকে সম্পন্ন করেছেন।

এই লোন একজন গ্রাহক কোন ব্যাংক একাউন্ট থাকা দরকার হবে না। গ্রাহক তার নিজের বিকাশ একাউন্ট থেকে লোন আবেদন, গ্রহণ ও পরিশোধ করার সুযোগ পাবে। কিন্তু যেনতেন, প্রয়োজনে বিকাশ লোন নেওয়া কারো, পক্ষে উচিত হবে না।

এর জন্য কোন জামানত দেওয়ার দরকার নেই। কোন ব্যক্তি জামিনদার বা সনমিনির প্রয়োজন পড়ে না।  তাই এটি ব্যবসায়ী খাত বৃদ্ধি করার জন্য সহায়তা করবে।

বিকাশ থেকে লোন কারা পাবে ?

বেশির ভাগ গ্রাহক বিকাশের এই লোন গ্রহণ করতে পারবে না। প্রথমত যাদের পুরাতন বিকাশ একাউন্ট আছে মানে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে কেওয়াইসি, ফরম পূরণ করে, বিকাশ অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে তারা এ ঋণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে না।

অন্যদিকে যারা ই কেওয়াইসি বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ই কেওয়াইসি সম্পন্ন করে গ্রাহক হয়েছেন তবে অল্প সময়ের জন্য বিকাশ ব্যবহার করছেন তারাও আপাতত এই ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মতে শুধুমাত্র বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে। এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করে লোন গ্রহণ করেছে, তারা এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

বিকাশ লোন পাওয়ার যোগ্যতা

আপনারা যদি বিকাশ থেকে লোন পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার কেঁচোর যোগ্যতা থাকতে হবে যেমন-

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ই কেওয়াইসি সম্পূর্ণ বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে।

দীর্ঘদিন বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে লেনদেন, যেহেতু লেনদেন পর্যালোচনা করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ধারণ করে দিয়েছে, কোন বিকাশ অ্যাকাউন্ট ঋণ পাওয়ার যোগ্য। তার জন্য যত বেশি লেনদেন করা হবে ততদিন পাওয়ার যোগ্যতা থাকবে।

বিকাশ লোন নেওয়ার নিয়ম

আপনি যদি বিকাশ লোন নিতে চান। তাহলে সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন আবেদন অনলাইনে করা যাবে। বিকাশ লোন নেওয়ার জন্য আপনার বিকাশ অ্যাপ থেকে একাউন্টে লগইন করতে হবে। তারপর বিকাশের লোন আইকনে ক্লিক করতে হবে।

আপনি ঋণ পাওয়ার যোগ্য হলে একাউন্টের মাধ্যমে আপনি যে পরিমাণের ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা জেনে নিতে পারবেন।

উল্লেখ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যাচাই করে। কোন গ্রাহক ঋণ পাওয়ার যোগ্য ঋণের টাকা আপনার বিকাশ একাউন্টে যুক্ত করা হবে।

বিকাশ থেকে কত টাকা লোন পাওয়া যায়?

আপনি যদি বিকাশ থেকে লোন নিতে আগ্রহী থাকেন তাহলে সর্বনিম্ন 500 টাকা থেকে শুরু করে 20 হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।

কিন্তু ভবিষ্যতে ডিজিটাল লোনের আরো বেশি হতে পারে।

বিকাশ লোনের সুদের হার এবং কিস্তি পরিশোধ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে যে কোন ব্যাংক ঋণের সুদ 9%। সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন এর ক্ষেত্রেও 9% সুদের হার প্রযোজ্য হবে।

লোন নেওয়ার পরবর্তী তিন মাসে একই পরিমাণ অর্থ তিনটি সমান কিস্তি। গ্রাহকের বিকাশ একাউন্ট থেকে নির্ধারিত তারিখে কেটে নেওয়া হবে।

কিস্তিতে নেওয়ার আগে গ্রাহক এসএমএস এর মাধ্যমে এ সংক্রান্ত নোটিশ পেয়ে যাবেন। নির্দিষ্ট তারিখে তার অ্যাকাউন্টে কিস্তির পরিমাণ ব্যালেন্স রাখতে হবে।

গ্রহণকারী ঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করছে না তাও পর্যবেক্ষণ করা হবে বিকাশ এর মাধ্যমে। পরবর্তী ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি বিবেচনা করা হবে।

বিকাশ লোন এর ফিচার সমূহ

ঋণের পরিমাণ ৫০০ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ঋণ পরিশোধের সময় কাল ০৩ (তিন) মাস।
সুদের % হার ৯% বার্ষিক হারে।
সুদের গণনা প্রতিদিন।
লোন প্রসেসিং ফি ০.৫% + ভ্যাট।
ঋণ পরিশোধে বিলম্ব ফি ২% বার্ষিক হারে।

আপনি যদি বিকাশ লোন নিতে আগ্রহী থাকেন। তাহলে উপড়াতে আসক্তি সঠিক ভাবে অনুসরণ করবেন।

আপনি যদি এই নিয়ম অনুযায়ী বিকাশ থেকে লোন নিতে আগ্রহী থাকেন। তাহলে আজও সরাসরি বিকাশ অ্যাপ দ্বারা লোন আবেদন করে ফেলুন।

অন্যান্য লোন নেওয়ার থেকে, বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনার তেমন কোন ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হবে না এবং কোন ঝামেলা হবে না।

তাই কোন ডকুমেন্ট ছাড়া আপনি যদি বিকাশ থেকে লোন নিতে চান তাহলে আপনার বিকাশ অ্যাপ থেকে আবেদন করতে পারবেন।

এবং দ্রুত বিকাশ লোন গ্রহণ করতে পারবেন। তিন মাসের মধ্যে তিনটে কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

অবশ্যই পড়ুনঃ

সর্বোপরি আমাদের কথাঃ

তো আপনি যদি সিটি ব্যাংক এর আওতাধীন বিকাশ থেকে ডিজিটাল লোন গ্রহণ করতে চান। তাহলে আমাদের দেওয়া তথ্যমতে আজও বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করে ফেলুন।

আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

বিশেষ করে আপনার বন্ধু বান্ধব যারা বিকাশ থেকে লোন নিতে চাই। তাদেরকে এ বিষয়ে জানাতে একটি শেয়ার করে দিবেন।

বিশেষ করে আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি যদি প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে নিয়মিত ভাবে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top