অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি ? (দেখে নিন এখনি)

বর্তমান সময়ে যারা অনলাইনে কাজ করতে আগ্রহী বা অনলাইন থেকে আয় করতে চায়। তাদের মনে একটি প্রশ্ন ঘোড়পাক খায় যে, অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি।

আমাদের এই আর্টিকেলে অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি, মানে অনলাইনে কোন কাজ শিখলে সহজ ও দ্রুত ভাবে কাজ পাওয়ার পাশাপাশি অনেক পরিমাণের টাকা আয় করা যাবে।

আপনি যদি এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান? তবে আমরা এখানে বিশদ ভাবে আলোচনা করব। অনলাইনে আয় করার জন্য অবশ্যই সঠিক কাজের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হয়।

কোন কাজের চাহিদা বেশি
কোন কাজের চাহিদা বেশি

অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

আমরা এই আর্টিকেলে যে, টপিক নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি, এই অনলাইন কাজের চাহিদার তালিকা গুগলে সার্চ করে, বিভিন্ন সাইট ভিজিট করে, কিছু অনলাইন এক্সপার্টদের কাছে সু-পরামর্শ অনুযায়ী তৈরি করেছি।

আমরা আশা করি আমাদের এই আর্টিকেল ভালো ভাবে পড়লে আপনিও জেনে নিতে পারবেন। অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি।

এবং কিভাবে টাকা উপার্জন করা হয়। তাই আপনাদের পরামর্শ দিচ্ছি আমাদের আর্টিকেল মনযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

আপনার জন্য আরও লেখাঃ

১। অনলাইনে ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা

বর্তমান সময়ে একজন ভালো কোয়ালিটির ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার’দের অনলাইন কাজে অনেক চাহিদা আছে।

আপনি যদি একজন এক্সপার্ট ওয়েব ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন এক্ষেত্রে টাকার পিছনে আপনাকে ছুটতে হবে না। টাকাই আপনার পেছনে ছুটে বেড়াবে।

ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট কি ?

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ওয়েব ডিজাইন কি ? আপনার উত্তরে বলবো ওয়েব ডিজাইন হলো, একটি ওয়েবসাইট এর বাহ্যিক রুপ দেওয়া।

মনে করুন একটি ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে। এবং এটি ডিজাইন করা। একটি ওয়েবসাইট লে-আউট দেখতে কেমন হবে, সাইটের সাইডবার কোন দিকে থাকবে।

ওয়েবসাইটে যে, সাইডবার থাকবে সেটির কালার বা রঙ কি হবে। ওয়েবসাইট এর হেডার মেনু ডেস্কটপে এবং মোবাইলে কোথায় থাকবে।

ওয়েবসাইটে যে, সকল ফিচার ইমেজ ব্যবহার করা হবে সেগুলো কিভাবে উপস্থাপন হবে এরকম আরো ইত্যাদি অনেক বিষয় আছে।

আপনি উক্ত আলোচনায় ধারণা নিতে পারলেন ওয়েব ডিজাইন কি ? এখন আমরা আপনাকে জানাব ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি ? আপনার উত্তরে বলবো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো, একটি ওয়বসাইট এর ভিতর অংশে কাজ করা।

তার মানে হলো ওয়েবসাইট এর এডমিন কিভাবে লগইন করবে। ওয়েবসাইট এডমিন কিভাবে একটি সাইট এর বিভিন্ন সেটিংস পরিবর্তন করবে।

মোট কথা হলো একটি স্থির ওয়েবসাইট ডায়নামিকে রূপান্তরিত করার কাজ হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপারদের।
অনলাইনে অনেক মার্কেটপ্লেস গুলোতে ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের চাহিদা অনেক বেশি আছে।

এই কাজে ওয়েব ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভেলপার’রা যে পরিমাণের টাকা অনলাইন থেকে আয় করে এটি অনেকে বিশ্বাস করতে পারবে না।

বাংলাদেশের অনেক ওয়েব ডিজাইনার ও ওয়েব ডেভেলপার আছে। যারা এই কাজ গুলো শিখে অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করে প্রতি মাসে প্রায় ৫-১০ লক্ষ টাকা বা আরো বেশি আয় করছেন নিজের ঘরে বসেই।

২। অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইনার’দের চাহিদা

বর্তমান সময়ে অনলাইনে কাজের চাহিদা হিসেবে ২য় স্থানে রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন। আমরা জানি গ্রাফিক ডিজাইন আপওয়ার্কে অনেক চাহিদা সম্পন্ন।

গ্রাফিক ডিজাইন হচ্ছে- এমন একটি সদৃশ্য মাধ্যম। যার ফলে কোন পৃষ্ঠার উপর, একটি ক্যানভাসের উপর, একটি কাগজের উপর, একটি পর্দার উপর বা একটি ওয়ালের উপর ছবি, নকশা আর্ট করাকে বুঝায়।

অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য যে, সকল মার্কেটপ্লেস আসে সেগুলোতে গ্রাফিক ডিজাইন এর ক্যাটাগরিতে প্রতি ঘন্টায় হাজার হাজার কাজ পাবলিশ করা হয়।

অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইনে কাজ গুলোর অনেক চাহিদা আছে। এই কাজের চাহিদা অনেক বেশি এবং বেশি টকা আয় করার মাধ্যম হিসেবে পরিচিত।

আপনি যদি একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান তাহলে অনলাইনে অনেক মার্কেটপ্লেস পাবেন যেমন- আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সিং ডট কম ইত্যঅদি।

আপনি এখানে ফ্রিল্যান্সার ক্যাটাগরিতে গিয়ে যদি দেখেন তাহলে বুঝবেন গ্রাফিক ডিজাইনারদের। তারা সেই সকল মার্কেট প্লেস গুলোতে কাজ করে প্রতি ঘন্টায় ১০০ ডলার পর্যন্ত কাজের অর্ডার নিয়ে থাকে।

তাহলে বুঝতেই পারছেন একজন গ্রাফিক ডিজাইনার। যদি ঘন্টায় ১০০ ডলার উপার্জন করতে পারে। তাহলে এই কাজের কতটা চাহিদা আছে অনলাইনের মার্কেপ্লেস গুলোতে।

৩। অনলাইনে সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট কাজের চাহিদা

বর্তমান সময়ে সফটওয়্যার পরিচালনা করা। বাস্তব জীবনে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার জন্য সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। যারা সফটওয়্যার তৈরি করে তাদেরকে সফটওয়্যার ডেভেলমেন্ট বলা হয়।

একটি সফটওয়্যার তৈরি করে বিভিন্ন প্লাটফর্মে আপলোড করার ফলে সেখান থেকে অনেক বেশি সময় ধরে টাকা আয় করা সম্ভব।

সফটওয়্যার ডেভেলপার’রা মার্কেটপ্লেসে কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার তৈরি করে। সেগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করে আয় করার সুযোগ পেয়ে থাকে।

আমরা অনলাইনে ঘাটাঘাটি করে জানতে পেরেছি ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্য। লোকেরা 50 হাজার টাকার চাকরি ছেড়ে প্রোগ্রামার মিট-জেমস্ নাইট যিনি সফটওয়্যার ডেভেলপ করে প্রতি ঘন্টায় ১০০০ ডলার আয় করেন।

তার মতো অনেকেই এই কাজ করার জন্য বিভিন্ন সোর্স খোজে থাকে। এবং অনেক লোক আছে। যারা অনলাইনে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করে প্রতি ঘন্টায় ১০০ ডলার আয় করে যাচ্ছেন।

মানুষ চাকরি ছেড়ে সফটওয়্যার ডেভেলপার হয়ে কাজ করার আগ্রহ করে থাকে। এর মূল কারণ হলো এখানে কাজ করে প্রচুর টাকা আয় করা যায়।

এই কাজে কি পরিমাণের টাকা আয় করা যায়, এ বিষয়ে আপনি উপরে দেওয়া একজন বিখ্যাত প্রোগ্রামার এর নাম শুনেই বুঝতে পারছেন।

৪। অনলাইনে কনটেন্ট রাইটিং এর চাহিদা

অনলাইনে কনটেন্ট রাইটিং হলো ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করা। অনলাইনে অনেক প্লাটফর্ম আছে। যে গুলোতে কনটেন্ট রাইটিং এর প্রচুর কাজ পাওয়া যায়।

কনটেন্ট রাইরা’রা অনলাইনের মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করার পাশাপাশি সাইট তৈরি করে বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করে অনলাইন আয় করতে পারে।

আপনি যদি একজন ভালো কোয়ালিটির কনটেন্ট রাইটার হোন তবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন প্রতি ঘন্টায়।

মনে করুনঃ আপনি যদি যদি বাংলাদেশি কোন কনটেন্ট রাইটিং সাইটে যুক্ত হয়ে কাজ করতে চান? তাহলে সেই সাইট গুলোতে আপনাকে যুক্ত হতে হবে।

সাইট গুলোতে যুক্ত হওয়ার পরে আপনি তাদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাজ করতে পারলে প্রতি ঘন্টায় ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

এমন অনেক কনটেন্ট রাইটিং সাইট আছে যে গুলো কাজ করে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।

৫। অনলাইনে ভিডিও এডিটর এর চাহিদা

বর্তমানে অনলাইনের মার্কেটপ্লেস গুলোতে ভিডিও এডিটিং করার জন্য অনেক অনলাইন কাজ পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিও এডিটিং কাজের চাহিদা অনলাইনে অনেক বেশি বাড়ছেই। ভিডিও এডিটিং কাজ করে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে ভালো পরিমাণের টাকা আয় করা যায়।

এখনকার সময়ে লোকেরা অনলাইনে ভিডিও এডিটিং করে প্রতি মাসে ৩ লক্ষ টাকা বা তার চেয়ে বেশি ইনকাম করা যায়।

৬। অনলাইনে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হচ্ছে- কাউকে কোন কাজ করতে সহযোগিতা করা। অনলাইনে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের চাহিদা অনেক বেড়েই চলছে।

US এর অনেক ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট নভেম্বর মাসে ২২ হাজার ডলার আয় করেন। এডেক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী; গত ২ বছর এর মধ্যে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর সংখ্যা আগের সময় গুলো চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে।

আপনি যদি অনলাইনে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করতে চান তবে প্রচুর টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন। এই কাজের অনেক চাহিদা আছে।

৭। অনলাইনে ট্রান্সলেটর/অনুবাদ এর চাহিদা

অনলাইনে মার্কেটপ্লেসে গুগল ট্রান্সলেটর/অনুবাদের ক্যাটাগরিতে হাজার হাজার কাজ পোস্ট হয় হয় প্রতিদিন।
ট্রান্সলেটর/অনুবাদ এর কাজ হলো- এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় কোন ডকুমেন্ট বা ভিডিও তৈরি করে রুপান্তরিত করা।

মনে করুনঃ ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দেবে ইংরেজি ভাষার ডকুমেন্ট। সেই ডকুমেন্ট একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্লাইন্ট যে ,ভাষায় আপনাকে ট্রান্সলেট/অনুবাদ করে দিবে বলবে। সেই ভাষাতে করে জমা দিতে হবে।

আপনি যদি এই কাজটি করতে চান তবে ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি ট্রান্সলেটর এর কাজ করতে চাইলে। আপওয়র্ক বা ফ্রিল্যান্সিং সাইটে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইল দেখতে পারবেন।

আপওয়ার্কে ট্রান্সলেট/অনুবাদ এর কাজ করে প্রতি ঘন্টায় ৫০-১০০ ডলার এর উপরে আয় করার সুযোগ পাবেন। যেহেতু এই কাজের চাহিদা বেশি আপনি শুরু করে দিতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ

শেষ কথাঃ

আমাদের এই আর্টিকেল উল্লেখ করেছি, অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি। আপনারা এখানে যে কাজ গুলো দেখেছেন। এগুলো করে ভালো পরিমাণের টাকা আয় করা যে, সম্ভব আপনি ধারণা নিতে পারছেন।

আমরা যে সকল কাজের চাহিদা বাছাই করে দেখিয়েছি। এগুলো ছাড়া আরও অনলাইনে অনেক কাজের চাহিদা আছে।

আপনি যদি অনলাইনের চাহিদা সম্পন্ন কাজ গুলো শিখতে পারেন তাহলে সেখান থেকে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।

আমাদের এই লেখা আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এই ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন আয় করার বিষয়ে নতুন নতুন পোস্ট পড়তে চাইলে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top