আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা : আমাদের বাংলাদেশের লোকেরা মনে করে, আমেরিকা হচ্ছে- একটি চাঁদের দেশ।
অনেক বাংলাদেশের নাগরিকের স্বপ্ন আমেরিকার দেশকে অনেক কাছে থেকে দেখা। তার কারণ আমেরিকায় আছে, বিশ্বের সবথেকে বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলো।
আমরা সকলে আমেরিকার দেশকে অনেকবার অনেকভাবে, ভিডিও ফুটেজে দেখেছি। তবে, বাস্তবে কখনো আমেরিকার দেখার সুযোগ হয়নি।
তো আপনি যে, আমাদের আর্টিকেলটি পড়ছেন, আপনি হয়তো আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এজন্য আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা কি লাগবে।
সে বিষয়ে আজকে আমরা বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করব।
আমাদের এই ওয়েবসাইটে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। সে বিষয়ে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করা রয়েছে। আপনার চাইলে সেটি ভিজিট করে, পড়ে নিতে পারেন।
তো আমরা এখানে আজকের শুধুমাত্র আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা কি ? এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তার জন্য আমাদের লেখাটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতার জন্য নির্দিষ্ট করে কোন কিছু লেখা নেই। তবে আপনাকে কিছু নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে আমেরিকা ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
তাছাড়া আমাদের অভিজ্ঞতার আলোকে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানিয়ে দেব।
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে এমনভাবে, অনলাইন আবেদন করতে হবে। যার ফলে আমেরিকান ভিসা কর্তৃপক্ষ আপনার প্রোফাইল দেখে আপনাকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য।
এজন্য আপনাদের আমেরিকা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখতে হবে। মনে করুন আপনি আমেরিকার পরিচয় সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য জানেন না। আমেরিকা ভিসা সম্পর্কেও তথ্য সেরকম ভাবে জানেন না।
এক্ষেত্রে, আপনি হঠাৎ করে আমেরিকা ভিসার জন্য আবেদন করলেন। এরকম ভাবে আবেদন করলে, আপনি কখনোই আমেরিকা ভিসা সংগ্রহ পাবেন না।
তার জন্য আপনাকে এমন ভাবে, আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। যার ফলে আপনার ভিসা আবেদনের কোয়ালিটি দেখে ভিসা কর্তৃপক্ষ আবেদন অনুমোদন দিয়ে দেয়।
তাই আমেরিকার ভিসার যোগ্যতা সম্পর্কে অবশ্যই বিস্তারিতভাবে জানতে হবে।
আপনাকে যদি একটি বিষয় সম্পর্কে বলি। তাহলে সহজ ভাবে বুঝতে পারবেন। মনে করুন- একজন মানুষ এর বয়স ৩৫ বছর হয়েছে। সেই মানুষ বেশ কয়েকটি দেশে বিভিন্ন দেশে টুরিস্ট ভিসায় ভ্রমণ করেছে।
দেশগুলো হতে পারে- কানাডা, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া, ইন্ডিয়া ইত্যাদি। সেই ব্যক্তির স্ত্রী এবং সন্তান আছে। তাদের বাড়ী ভাড়া এবং পারিবারিক খরচ বাদ দিয়ে মাসিক ইনকাম প্রায় 2 লক্ষ টাকার মত।
সেই ব্যক্তির একটি বিজনেস রয়েছে। তো এই ধরনের ব্যক্তিদের মতো প্রোফাইল যাদের রয়েছে। সে সকল ব্যক্তি খুব সহজেই আমেরিকা ভিসা পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
আবার আপনি যদি অবিবাহিত হয়ে থাকেন। সেজন্য আমেরিকা ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা অনেক প্রয়োজন রয়েছে। আমেরিকা ভিসা প্রদান করে যে, ব্যক্তিরা বিভিন্ন দেশের ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করে।
এক্ষেত্রে আপনি যদি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন। তাহলে আমেরিকায় ভ্রমণ করার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। আপনি প্রতিবছর বিশেষ করে পাঁচ থেকে ছয়টি দেশে ভ্রমণ করেন। তাহলে খুব সহজেই আমেরিকা ভিসা পাওয়ার জন্য যোগ্য প্রার্থী হবেন।
আমেরিকা ভিসা কর্তৃপক্ষ সব সময় বিবাহিত ব্যক্তিদের বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। কারণ বিবাহিত ব্যক্তিরা তাদের ফ্যামিলি নিয়ে সহজে আমেরিকা যেতে পারেন।
এজন্য আপনাকে মাসে ইনকাম বেশি করতে হবে। যা আমরা উপরের আলোচনা বলেছি। আপনার যদি মাসে 2 লক্ষ টাকার উপরে ইনকাম থাকে।
তাহলে খুব সহজেই আমেরিকা যাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন। তার পাশাপাশি আপনাকে বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমন করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আবার যদি বলা যায় যাদের ফ্যামিলি আছে এবং মাসিক ইনকাম এক লক্ষ টাকা। এবং তারা তিন থেকে চারটি দেশে ভ্রমণ করেছে।
তো আপনার যদি এরকম একটি প্রোফাইল থাকে। তাহলে আপনারা আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা একটু কম অর্জন করেছেন।
এজন্য আপনাকে বেশ কয়েক বছর আমেরিকা ভিসা পাওয়ার যোগ্য হতে অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া আপনার পরিবার নিয়ে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে হবে।
তারপর আপনারা সেই ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করে আমেরিকা যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তারপরে আপনারা আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন।
আর আপনি যদি একজন অবিবাহিত ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে, আপনি কি আসলেই আমেরিকা ভিসা পাবেন না। এরকম প্রশ্ন অনেকের হতে পারে।
এক্ষেত্রে অবিবাহিত ব্যক্তিরা আমেরিকা ভিসা খুব কম পাবে। কিন্তু যাদের ভ্রমণের প্রোফাইল ভালো। প্রতি বছর 10 থেকে 15 টি দেশে ভ্রমণ করেন। তারা অবিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন।
অন্যদিকে আপনার বয়স যদি 50 বছরের বেশি হয়। আপনার ছেলে মেয়ে পড়াশোনার জন্য আমেরিকায় অবস্থান করে। এজন্য আপনি কিভাবে আমেরিকায় গমন করতে পারবেন।
আপনার ছেলে মেয়ে যদি আমেরিকায় বসবাস করেন। তবে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার জন্য কোন দেশে ভ্রমণ করার প্রয়োজন হবে না।
আবার আপনার মেয়ে যদি আমেরিকায় গর্ভবতী অবস্থায় থাকে।
সেক্ষেত্রে আপনাকে কোন যোগ্যতা অর্জন করতে হবে না বিনা যোগ্যতাই আপনারা আমেরিকা ভিসা গ্রহণ করতে পারবেন।
আমেরিকা যাওয়ার উপায়
তো আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে চান? তারা উপরোক্ত যোগ্যতা অর্জন করার পর যেতে পারবেন। তখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে আমেরিকার যাওয়ার উপায় কি?
আপনি যদি আমেরিকায় যেতে চান? তাহলে আমেরিকার বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরি নিয়ে যেতে পারবেন। বিশেষ করে, স্টুডেন্ট ভিসা, চিকিৎসা ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা।
তো আপনারা আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে। আপনার মাসিক ইনকাম প্রায় তিন লক্ষ টাকার কাছাকাছি থাকতে হবে। এবং আপনার ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আপনি যদি এ দুটি শর্ত পূরণ করতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা করতে পারবেন।
আর আমেরিকা যাওয়ার জন্য, যে ভিসা করেন না কেন? আপনাকে অবশ্যই ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করে তারপর অনলাইন আবেদন করতে পারবেন।
আবার আপনি চাইলে বাংলাদেশের বিভিন্ন এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে, আমেরিকা ভিসা করে আমেরিকায় যেতে পারবেন।
মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা ও ফ্যাক্টরি ভিসা ২০২৩
শেষ কথাঃ
আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চান? তারা উপরোক্ত আলোচনা অনুসরণ করে, খুব সহজে আমেরিকায় গমন করতে পারবেন।
বিশেষ করে আপনি যদি বিবাহিত ব্যক্তি হয়ে থাকেন। এবং বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকে। তাহলে খুব সহজেই আমেরিকা যাওয়ার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন।
তো আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে আপনি যদি আরো কোন তথ্য পেতে চান? তাহলে আমাদের এই পোস্টের নিচে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
ধন্যবাদ।
