অনলাইনে ইনকাম ক্যারিয়ার গড়ার টিপস

বর্তমানে সবাই অনলাইনে ইনকাম করতে চান। সবাই চায় অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে। কারন এখন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা বিরক্তিকর অফিস কেউ করতে চাইনা। 

সবাই চান অনলাইন ইনকামের পাশাপাশি ঘুরা ফেরা করতে, বাহিরে আড্ডা দিতে, ট্রাভেল করতে ইত্যাদি। এটা শুধুমাত্র সম্ভব ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে।

এরজন্য অনেকেই ফ্রিল্যান্সার হতে চান, অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চায়। তাই অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখে মার্কেটপ্লেস কাজ করতে চাই। কিন্তু অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ রেগুলার কাজ পায় না। তাই তারা একসময় হতাশ হয়ে পড়ে। 

আজকের আটিকেলে আমি আপনাদের অনলাইন ইনকাম করার কিছু টিপস দেখাব।

অর্থাৎ কিভাবে নিজের অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন, এ সম্পর্কে আইডিয়া দেখার চেষ্টা করবো। তো চলেন শুরু করি।

অনলাইন ক্যারিয়ার কিভাবে গড়বেন
অনলাইন ক্যারিয়ার কিভাবে গড়বেন
  • এই আটিকেল শেষে আপনার যা শিখতে পারবেন:
  • অনলাইনে কাজের আইডিয়া,
  • ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়ার টিপস্
  • ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার করার টিপস
  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে টিকতে থাকার আইডিয়া
  • প্যাসিভ ইনকামের আইডিয়া
  • ভালো ইংরেজি ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং করার টিপস ইত্যাদি ছাড়াও আরো অনেক কিছু।

অনলাইনে ইনকাম করতে

আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম করতে চান বা অনলাইনে ইনকাম ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে আপনাকে আগে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখতে হবে।

অনলাইনে ইনকাম করতে web design, web developer , SEO and digital Marketing, video editing, graphic design, app development ইত্যাদি ক্যাটাগরির যেকোনো কাজ শিকতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার স্কিল ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে থেকে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।

কাজ না পাওয়ার কয়েকটি কারণ:

আপনারা অনেকেই আছেন আমার বলা উপরের ক্যাটাগরির কাজ শিখেছেন, কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ পান না বা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে টিকতে পারেন না। 

আপনাদের জন্য আমি কিছূ টিপস এখন এখানে শেয়ার করবো। এগুলো  আমার তিন বছরের ফ্রিল্যান্সিং অভিজ্ঞতা থেকে।

আমি প্রায়  2 হাজার ফ্রিল্যান্সারদের কাছে শুনেছি, তারা আমাকে আগে বিভিন্ন সাহায্য চেয়ে মেসেজ করেছেন। তাদের মার্কেটপ্লেস কাজ না পাওয়ার কিছু আমি কিছু কারন পেয়েছি। নিচে তা উল্লেখ করলাম।

ঠিকমতো কাজ না শেখা: 

আমার দেখা ৪০% ফ্রিলাসার তারা ভালোভাবে কাজ না শিখে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করেছেন। তাই তারা মার্কেটপ্লেস কাজ পায় না।

মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে আইডিয়া না থাকা:

আমি এমন ৩০% ফ্রিলাসার দেখেছি তারা ভালো কাজ করতে পারে, তবে তারা মার্কেটপ্লেস কাজ পায় না। এমনকি আমার থেকেও ভালো স্কিলফুল ফ্রিল্যান্সার দেখেছি। তাদের একটাই সমস্যা, তারা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য একাউন্ট করেছে, সে মার্কেটপ্লেসের নিয়মনীতি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানে না‌।

তাই আপনাকে পরামর্শ দিবো আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে কাজ করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনি আগে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নিয়ে একাউন্ট করবেন। মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানতে আপনি ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারেন।

কমিনিকেশন সমস্যা: 

অনেকেই কায়েন্টের সাথে ভালোভাবে কথা বলতে পারেন না, তাই তারা মার্কেটপ্লেস এ কাজ পান না। আমার দেখা এমন ৩০% ফ্রিলাসার। তারা খুব ভালো কাজ পারে তবে তাদের কমিনিকেশন সমস্যার জন্য কাজ পাচ্ছেন না।

যেহেতু আমারা বাঙালি তাই ইংরেজিতে আমাদের সমস্যা হতেই পারে। তবে আপনাকে ভালোভাবে কমিনিকেশন করা শিখতে হবে।

এখন অনেকেই ভেবে নিবেন, ভালো ইংরেজি ছাড়া মার্কেটপ্লেসে সফল হওয়া যায় না। 

যদি আপনি এটা ভেবে থাকেন তাহলে আপনি ভুল। এমন অনেক  ফ্রিল্যান্সার আছে, যারা ইংরেজিতে খুবই দুর্বল, কিন্তু তারা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক ভালো কাজ করতেছে।

যদি উদাহরণ দিতে বলেন, তাহলে সেই উদাহরণ আমি নিজেই।  সত্যি বলতে আমি যখন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলাম। তখন আমি Hi Hello ছাড়া সামান্যটুকুও ইংরেজি পারতাম না। 

সে সময় আমি কায়েন্টদের সাথে কমিনিকেশন করতে গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করতাম। এখনো আমি গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করি।।

তবে এখন কায়েন্টদের সাথে কথা বলতে বলতে ইংরেজিতে কিছুটা ভালো হয়েছি। এখন আমি ক্লায়েন্টদের সাথে zoom বা google meet এ কথা বলতে পারি।

সুতরাং আপনিও ইংরেজি সমস্যা ঠিক করতে গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করতে পারেন।

রেগুলার ইনকাম ধরে রাখতে:

আপনারা অনেকেই আছেন তারা মার্কেটপ্লেস রেগুলার কাজ পান না। যদিও ভালো কাজ পারে এমন ফ্রিল্যান্সারদের কাজের অভাব হয় না। 

তবে অনেকেই আছে যারা রেগুলার কাজ পাইনা বা মার্কেটপ্লেসের একাউন্ট সাসপেন্ড এর সমস্যার কারনে অনলাইনে ইনকাম ক্যারিয়ার গড়তে পারে না। তাই আমি তাদের উদ্দেশ্য এখন কিছু টিপস শিখাবো। তো চলুন….

নিজের ব্যান্ডিং করুন

আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে নিজেকে ব্র্যান্ডিং করে ফেলুন। আমি শিওর এখনো অনেকেই তা বুঝতে পারে না। 

আমি বুঝতে চাচ্ছি, আপনি অনলাইনে নিজের প্রোফাইল শক্ত করুন। অর্থাৎ  আপনি যে ফ্রিল্যান্সিং  করেন, তা আপনার সামাজিক প্রফাইলে ফুটিয়ে তুলুন, যেমন লিংকডান, টুইটার।

আর অবশ্যই আপনি নিজের নামে একটি উয়েবসইট করতে ভুলবেন না। এবং আপনার  সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট এর পাশাপাশি আপনার উয়েবসইটেও আপনার কাজের রেগুলার আবডেট শেয়ার করুন।

অর্থাৎ আপনি কি কাজ করেছেন, কোন কম্পানির জন্য কাজ করছেন, কাজের বাজেট ইত্যাদি বিষয়ে।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ করা:

আপনি যদি অনলাইনে নিজের ব্যান্ডিং করেন, তাহলে অবশ্যই আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের বাইরে অনেক কাজ পাবেন। টুইটার বা লিংকডিন একাউন্টে ক্লায়েন্ট পাবেন। 

আপনি যদি ভালোভাবে ক্লায়েন্টদের কাজ করে দেন, আপনার যদি ভালো স্কিল থাকে, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে থেকে আ অনেক ক্লায়েন্ট থেকে অফার পাবেন,  তারা আপনার সাথে ডাইরেক কাজ করতে চাইবে। এছাড়াও আপনি অনেক ভালো ক্লায়েন্টকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের বাইরে আনতে পারবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনি যখন কোনো ক্লায়েন্টকে মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজের অফার দিবেন, তখন মার্কেটপ্লেস যাতে বুঝতে না পারে। বুঝলে আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড করবে, সুতরাং সাবধান।

ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি অপশন বি:

আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কাজের পাশাপাশি অপশন বি ইনকাম তৈরি করতে হবে‌ ।অর্থাৎ প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করা। 

ধরেন আপনি ৩মাস ফ্রিলাসিং কাজ করবেন না, তবুও যেন আপনার ইনকাম থেমে না থাকে। অর্থাৎ অনলাইন ইনকাম যেন চলতে থাকে। 

সুতরাং এটা সম্ভব শুধুমাত্র প্যাসিভ ইনকামের সাহায্য। প্যাসিভ ইনকাম করতে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং স্কিলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। নিচে আমি অপশন বি বা প্যাসিভ ইনকামের আইডিয়া দিলাম।

YouTube থেকে প্যাসিভ ইনকাম:

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে অবশ্যই আপনি যে কাজগুলো করেন, তার ভিডিও আপনি ইউটিউব এ দিবেন। অর্থাৎ আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি ইউটিউব ভিডিও তৈরি করবেন।

ধরেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে SEO এর কাজ করেন, তাহলে আপনি ইউটিউবে নতুনদের SEO শেখাতে পারেন। অথবা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সম্পর্কে টিপস যেমন কায়েন্টের কাজ নেওয়া, কমিনিকেশন, কাজ জমা দেওয়া ইত্যাদি শেখাতে পারেন।

ধরেন আপনি একজন web designer, তাহলে আপনি web design কাজ ইত্যাদি বা মার্কেটপ্লেস টিপস শেখাতে পারেন।

অর্থাৎ আপনি যে কাজ করেন না কেন সেই কাজের ভিডিও আপনি ইউটিউব এ দিতে পারেন। এবং ইউটিউব থেকেও আপনি মাস শেষে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন

ব্লগিং এর মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম: 

ইউটিউব এর পাশাপাশি আপনি এই কাজ বা টিপসগুলো আপনার ব্লগ উয়েবসইটের মাধ্যমে নতুনদের শেখাতে পারেন। তার সাহায্যে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারেন।

প্যাসিভ ইনকাম করতে চাইলে নিচের আর্টিকেলটি দেখতে পারেন,

প্যাসিভ ইনকাম করুন মাসে 60 থেকে 80 হাজার টাকা

আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান। ভাল লাগলেও অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম রেগুলার অনলাইনে ইনকাম ইনকাম টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আবারো ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top