ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় [A টু Z] গাইডলাইন   

ইউটিউব থেকে আয় : বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে আয় করার যত গুলো দীর্ঘস্থায়ী উপায় আছে। তার মধ্যে সব থেকে সহজ ও ভালো মাধ্যম হলো ইউটিউব।

আপনি যদি ইউটিউবকে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে অনলাইন আয় এর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি যদি অনলাইন আয়ের জন্য আগ্রহী ব্যক্তি হয়ে থাকেন।

ইউটিউব থেকে আয়

বর্তমান সময়ে এমন অনেক ইউটিবার আছে যারা প্রতিমাসে 312312 ডলার পর্যন্ত আয় করতে থাকে। উক্ত টাকা যদি বাংলাদেশ থেকে হিসাব করা হয় তাহলে তা দাড়াবে 26234208 টাকা।

উক্ত কথা শুনে হয়তো সাধারণ লোকদের বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হবে। অবিশ্বাসের কোন কারণ নেই। এটি একদম সত্যি কথা।

আপনি যদি ইউটিবে ভালো ভাবে শ্রম দিয়ে ও অভিজ্ঞতা দিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনিও অবশ্যই সফটল হতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় [A টু Z] গাইডলাইন   
ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় [A টু Z] গাইডলাইন

ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় ২০২২

বর্তমান সময়ে ফেসবুক এর মতো অন্য আরো একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ইউটিউব। প্রতিদনি প্রায় লক্ষ লক্ষ লোক এই সকল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে। ভালো কিছু উপভোগ করার জন্য।

উক্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে লোকেরা প্রদি দিন, প্রতি ঘন্টায়, প্রতি মিনিটে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও ভিডিও চিত্র দেখতে আগ্রহী থাকে।

বর্তমান সময়ে ইউটিউব এর ভিডিও দেখার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এখনকার সময়ে প্রায় 500 কোটি মানুষ প্রতিদিন 1 ঘন্ট করে ভিডিও গুলো দেখে থাকে ইউটিউব চ্যানেল গুলোতে গিয়ে।

এর পাশাপাশি বৃদ্ধি পাচ্ছে এ সকল সোশ্যাল মিডিয়ার মানুষ গুলোর ইনকামের সুযোগ।

আপনি শুধূ মাত্র একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকেই আয় করতে পারবেন প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার। তবে অনেক ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে রাখছে। কিন্তু কেন সকলেই প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পাচ্ছে না।

এর এক মাত্র কারণ হলেঅ সবার মাথায় ইউটিউব এর জগৎ নিয়ে যথেষ্ট ধারণা নেই।

ইউটিউব থেকে আয় কত বড় একটি উপায় হতে পারে। এটি যারা বুঝতে পারে তারা ইউটিউবে সফল হতে পারে।

শুধু মাত্র ইউটিউব থেকে আয় এর পিছনে ছুটলেই হবে না। আপনার ভিডিও কনটেন্ট, চ্যানেল সকল কিছুর আয়ের উপযোগী করে তুলতে হবে।

তাহলেই আপনি প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার উপার্জন করতে পারবেন।

আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাকে জানাব ইউটিুব থেকে আয় করার সঠিক গাইডলাইন। তাই বিস্তারিত তথ্য জানতে আমাদের পুরো লেখা মনযোগ দিয়ে পড়ুন।

ইউটিউব থেকে আয় কারা করতে পারবে ?

ইউটিউব থেকে কি সবাই আয় করতে পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তর হলো- না। সকলেই এই সাইট থেকে আয় করতে পারবে না।

শুধু মাত্র কনটেন্ট ক্রিয়েটর’রা পারবে। যারা ভিডিও বানাতে পারে। যারা ইউটিউবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারে তারাই ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবে।

কিভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়া যাবে?

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে হলে। আপনার জিমেইল আইডি দিয়ে ইউটিউব এর মাধ্যমে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। যা একদম ফ্রি।

আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্ট মোবাইল দিয়ে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারবেন। আপনাকে এমন কিছু বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে সেটি দেখতে মানুষ যেন পছন্দ করে।

পদক্ষেপ-01

ইউটিউব চ্যানেল বানাতে হলে আপনার একটি জিমেইল আইডি দিয়ে খুলতে হবে। যেখানে আপনার সঠিক তথ্য দিয়ে চ্যানেল খোলা সম্পন্ন ভেরিফাইড জিমেইল একাউন্ট হতে হবে।

পদক্ষেপ-02

ইউটিউবে প্রবেশ করে জিমেইল এড্রেস ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করতে হবে। তারপর উপরে বাম পাশে আপনার একাউন্ট এর ছবি দেখতে পারবেন সেখানে ক্লিক করে দিবেন। এবং আপনার পছন্দ মতো নাম দিয়ে চ্যানেল তৈরি করে নিবেন।

নাম দিয়ে একটি চ্যানেল তৈরি করার পরে এখন আপনাকে ভিডিও তৈরি করতে হবে। ভিডিও তৈরির জন্য কিছু বিষয় আপনার জ্ঞানে থাকতে হবে। যেমন-

ভিডিও তৈরির আগে আপনাকে একটি স্ক্রিপ্ট তৈরি করে নিতে হবে। স্ক্রিপ্ট হচ্ছে আপনি ভিডিওতে কি কি বলবেন কোন টপিক বলবেন তা একটি কাগজে নোট করে নিবেন।

এটি আপনার ভিডিওকে দিবে প্রোফেশনালিটি এবং আপনার ভিডিও অনেক সুন্দর ভাবে গোছানো হবে।

আপনি ভিডিও বানানোর সময় পুরো ভিডিও না করে ভাগ ভাগ করে ভিডিও করুন। নতুন ইউটিউবারদের জন্য এটি একটি কার্যকরি উপায়।

ভিডিও ব্যবহার করুন সন্দর বেকগ্রাউন্ট মিউজিক দিয়ে। যা দর্শকদের ভিডিও দেখার প্রতি আকর্ষণ আরো বেশি হবে।

ভিডিও এডিট ওআপলোড

ইউটিবিং করে সফল হতে চাইলে বা ইউটিউব থেকে আয় করতে চাইলে, এটি পুরো পুরি ভাবে নির্ভর করবে আপনার তৈরি করা ভিডিও কনটেন্ট এর উপরে।

আর কনটেন্ট নির্ভর করবে ভিডিও কোয়ালিটির উপরে। কোয়ালিটির অনেক বড় একটি অংশ নির্ভর করবে ভিডিও এডিটিং এর উপর।

ইউটিউব ভিডিও এডিট অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভিডিও ভিউ পাওয়ার জন্য। সে জন্য ভালো একজন ইউটিউবার হতে গেলে ভালেঅ একজন ইউটিউব ভিডিও এডিটর হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

  • যে কোন ভিডিও তৈরি করার সময় ভালো ভাবে এডিট করতে হবে।
  • নিয়মিত ভাবে ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করতে হবে।
  • আকর্ষণীয় থাম্বনেইল তৈরি করতে হবে।
  • আপনার ভিডিও টপিক রিলেটেড হ্যাশ ট্যাগ করে আপলোড করবেন।

উক্ত কাজ গুলো করতে পারলে আপনি একজন সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে পারবেন। আর ইউটিউব থেকে আয় করা শুরু করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল অপটিমাইজ

ইউটিউব চ্যানেল সাজানোর জন্য আপনাকে প্রথমে চ্যানেলের নাম অনুযায়ী একটি লোগে এবং প্রোফাইল ছবি তৈরি করতে হবে।

তর পরে সেটি তৈরি করে আপলোড করতে নিতে হবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে। ইউটিউব এর হেড অপশনে একটি সুন্দর ব্যানার তৈরি করে আপলোড করতে হবে।

ইউটিউব চ্যানেল এর About সেকশনে আপনার সম্পর্কে কিছু তথ্য লিখে আপনার ইমেইল/ফেসবুক এসব যুক্ত করে নিবেন।

আপনার যে সকল ভিডিও অনেক ভালো ও ভাইরাল হয়েছে, সেগলো হোম পেজ এ দিয়ে রাখবেন।

এরকম ভাবে যাবতীয় কাজ করে আপনি খুলে ফেলবেন একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল। এবং হয়ে যাবেন একজন সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইউটিউব চ্যানেলের জন্য।

ইউটিউব থেকে আয় আমরা ২ ভাবে আয় করতে পারব যেমন-

১। গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয়।

২। ইউটিউব মার্কেটিং করে আয়।

গুগল এডসেন্স দিয়ে ইউটিউব থেকে আয়

আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে চান? তাহলে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে আয় করতে পারবেন।

বাংলাদেশের ইউটিউবার’রা বেশি ভাগ গুগল এডসেন্স এর সাথে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করে আয় করছে।

গুগল এডসেন্স কি?

গুগল এডসেন্স হলো একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। এখানে বিভিন্ন ধরণের কোম্পানি তাদের পণ্য সার্ভিস এর বিজ্ঞান দিয়ে থাকে।

এবং গুগল এডসেন্স সেই সকল বিজ্ঞাপন আমাদের ইউটিউব ভিডিওতে দেখিয়ে আয় করে তাদের কিছু অংশ কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দিয়ে থাকে।

কিভাবে গুগল এডসেন্স এর সাথে কাজ করা যাবে?

গুগল এডসেন্স এর সাথে কাজ করতে হলে প্রথমে ইউটিউব Partner Program এর সাথে যুক্ত হতে হবে। তবে এখানে কিছু শর্ত আছে যেমন-

  • আপনার ইউটিউব চ্যানেলে নূন্যতম 1000 সাবস্ক্রাইবার যুক্ত থাকতে হবে।
  • এবং ইউটিউব চ্যানেলে কমপক্ষে 4000 ওয়াচ চাইম থাকতে হবে।

এরপরে একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করে সেখানে আপনার চ্যানেল যুক্ত করে দিতে হবে। তারপরে আপনি বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করা শুরু করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে গুগল এডসেন্স টাকা তোলার উপায়

আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে ইউটিউব থেকে যখন 10 ডলার হবে তখন গগুল আপনাকে ডাকযোগে একটি চিঠি প্রদান করবে।

আপনাকে সেই চিঠি সংগ্রহ করে চিঠিতে থাকা গোপন পিন দিয়ে আপনার গুগল এডসেন্স ভেরিফাই করে নিতে হবে।

তারপরে আপনার ব্যাংক একাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংকিং রকেট নম্বর এডসেন্স এর সাথে যুক্ত করতে হবে।

তারপরে প্রতি মাসে ২১-২৮ তারিখের মধ্যে আপনার ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে টাকা উত্তলণ করতে পারবেন। যখন আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে ১০০ ডলার জমা হবে তখন।

আরো দেখুনঃ

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা, আজ এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারলেন, ইউটিউব থেকে আয় করার (AtoZ) গাইড। উক্ত বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকলে নিচের বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top