মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার পদ্ধতি

টাকা আয় করার পদ্ধতি : বর্তমান সময়ে, প্রতিটি মানুষ সহজেই টাকা ইনকাম করতে চায়। বিশেষ করে, বর্তমান সময়ে, যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করা থেকে শুরু করে, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন।

তারা সকলেই নিজের ঘরে বসে অনলাইন সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহী। তো আপনি যদি তাদের মত একজন হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার জন্য সুখবর।

মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার পদ্ধতি
মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার পদ্ধতি

আপনার কাছে থাকা যে, কোন ডিভাইস ব্যবহার করে, খুব সহজে নিজের ঘরে বসে অনলাইন সেক্টর গুলোতে কাজ করে, আয় করার পথ বেছে নিতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে, এমন অনেক লোক রয়েছে যারা অনলাইনে, সার্চ করে জানার চেষ্টা করে, মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার পদ্ধতি কি?

তো আপনার যদি এ ধরনের প্রশ্ন হয়ে থাকে। তাহলে সঠিক একটি ওয়েবসাইটে চলে এসেছেন। আমরা এখানে সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছি।

এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে এমন কিছু অনলাইন সেক্টর এর কাজ সম্পর্কে জানাবো। যে, পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে, আপনারা অনায়াসে মাসে অন্তত 10,000/- টাকা আয় করার পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

তো আমাদের লেখা আর্টিকেলটি থেকে নিজের ঘরে বসে টাকায় করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে, মেটা দেওয়া পদ্ধতি গুলো শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করুন।

মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার পদ্ধতি

আপনি যদি মাসে 10,000 টাকা আয় করার পদ্ধতি খুঁজে থাকেন। তাহলে আমরা এখানে এমন কিছু অনলাইনে সেক্টর বলবো।

যে গুলোতে আপনারা পার্ট-টাইম হিসেবে এবং ফুল-টাইম হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন, বা গৃহিনী হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে পার্টটাইম হিসেবে, আপনারা নিম্নোক্ত কাজ গুলো করে, খুব সহজেই মাসে অন্তত ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

তো চলুন এখন জেনে নেয়া যাক। মাসের ১০ হাজার টাকা আয় করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত।

ব্লগিং (টাকা আয় করার পদ্ধতি)

বর্তমান সময়ে, অনলাইন সেক্টরে টাকা আয় করার সেরা মাধ্যম হচ্ছে, ব্লগিং। আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। তাহলে ব্যক্তিগত বা ব্যবসার জন্য এটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানাতে পারেন।

তো আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে একটি ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। সেখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির আর্টিকেল পাবলিশ করে, মাসে অন্তত ১০ হাজার টাকা প্রথম অবস্থায় আয় করতে পারবেন।

তো আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান? তাহলে, আপনাকে অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে হবে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ে যারা ওয়েবসাইট তৈরি করছে। তারা দুইটি ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম বেছে নিয়ে থাকে।

যেমন-

  1. ব্লগার
  2. ওয়ার্ডপ্রেস

তো আপনি যদি ব্লগিং করার জন্য ব্লগার একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান? সেক্ষেত্রে একদম বিনামূল্যে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।

আবার আপনি যদি একদম প্রফেশনালি ভাবে ওয়েবসাইট বানাতে চান? তাহলে কিছু টাকা খরচ করে ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্ম বেছে নিয়ে ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করতে পারেন।

এখন আপনি যে প্ল্যাটফর্মে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান? সেটি পুরোপুরি ভাবে আপনার ওপর নির্ভর করছে। আপনি যদি বিনামলে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান?

তাহলে ব্লগার বেছে নিতে পারেন আর যদি কিছু টাকা খরচ করে, প্রফেশনালি ভাবে ওয়েবসাইট বানাতে চান? তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে পারেন।

এখন আপনাদের প্রশ্ন হতে পারে যে, যেকোন প্লাটফর্মে ওয়েবসাইট তৈরি করার পর। কিভাবে আয় করব।

তো আমরা আগেই বলেছি, আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।

তাহলে যে কোন একটি ক্যাটাগরি বেছে নিয়ে, পর্যাপ্ত পরিমাণের আর্টিকেল, মানে ৩০-৫০ টি ইউনিক আর্টিকেল লিখে, গুগল এডসেন্সে আবেদন করে, অনুমোদন নিয়ে বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারবেন।

তো আপনি যদি ব্লগিং করতে পছন্দ করেন। তাহলে আজও একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। ব্লগিং করে আপনার প্রথম অবস্থায় অন্তত 10 হাজার টাকা অনায়াশাই করতে পারবেন।

আবার আপনি যদি এই সেক্টরে, কাজ করে, ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে অন্যান্য ব্লগারদের মত আপনিও মাসে লক্ষ টাকাই করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে আয়

বর্তমান সময়ে ইউটিউব থেকে আয় করা অনেক সহজ ব্যাপার হয়ে গেছে। কারণ এখানে আপনারা শুধুমাত্র ভিডিও আপলোড করে আয় করতে পারবেন।

তো আপনাদের প্রথমে বলে রাখছি, আপনি যদি ইউটিউবিং করে আয় করতে চান? সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে। তারপর সেখানে কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিডিও গুলো আপলোড করতে হবে।

আপনি যখন পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করতে পারবেন। তখন গুগল অ্যাডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করা শুরু করতে পারবেন।

তো youtube থেকে আয় করার জন্য আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যে শর্ত গুলো পূরণ করার পর আপনারা youtube চ্যানেলটি মনিটাইজেশন করতে পারবেন।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক। ইউটিউবে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য কি শর্তগুলো অনুসরণ করতে হবে সেগুলো হচ্ছে-

  • চলতি এক বছরের মধ্যে ১হাজার সাবস্ক্রাইব সম্পন্ন করতে হবে।
  • চলতি এক বছরের মধ্যে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াজ টাইম সম্পন্ন করতে হবে।

আপনারা যদি এই দুইটি সাধারণ শর্ত পূরণ করতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই ইউটিউবিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।

তো শুরুর অবস্থায় আপনি যখন গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন অনুমোদন পাবেন ।

তখন আপনার ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে, মাসে অন্তত ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা অনায়াসে করতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি করে আয়

বর্তমান সময়ে অনলাইন সেক্টরে, টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি হিসেবে লোকেরা ডাটা এন্ট্রি কাজকে বেছে নিচ্ছে। কারণ এই কাজটি নিজের ঘরে বসে যে কোন ডিভাইস দিয়ে করা যায়।

আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চান? তাহলে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে, বিভিন্ন ক্লায়েন্টের দেওয়া ডাটা এন্টি সম্পন্ন করে, নগদ টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।

তো ডাটা এন্ট্রি কাজ করে আয় করতে চাইলে, আপনাকে অবশ্যই টাইপিং এর দক্ষ হতে হবে। আপনি যত বেশি দক্ষতার সাথে টাইপিং করতে পারবেন। তত বেশি পরিমাণের আয় করতে পারবেন।

ছবি বিক্রি করে আয়

আপনি যদি ছবি তুলতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে অনলাইন সেক্টরে, ছবি বিক্রি করে আয় করার পথ বেছে নিতে পারেন। বিশেষ করে আপনারা যদি শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন।

তাহলে আশা করা যায় আপনাদের সকলের হাতে একটি করে হলেও স্মার্টফোন রয়েছে।

স্মার্টফোন ব্যবহার করে আপনারা বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় ছবিগুলো তুলে, অনলাইন সেক্টর এর ইমেজ স্টক ওয়েবসাইট গুলোতে আপনার ছবি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।

আর সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে, আপনারা যখন অনলাইন সেক্টরের স্ট ইমেজ ওয়েবসাইট গুলোতে আপনার ছবিগুলো আপলোড করবেন।

তখন কোন ব্যক্তিরা যদি ছবি গুলো ডাউনলোড করে, সে ডাউনলোড করার ফলে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।

তাই আপনি যদি কোন প্রকার ইনভেস্ট ছাড়া ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনার মোবাইল ব্যবহার করে। বা ভালো একটি ক্যামেরা ব্যবহার করে, ছবি তোলে স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট গুলোতে বিক্রি করতে পারবেন

ফেসবুক থেকে আয়

বর্তমান সময়ে আমাদের জানামতে এমন কোন মানুষ নেই। যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে কিন্তু ফেসবুক ব্যবহার করে না। মোটকথা প্রতিটি মানুষই কিন্তু ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে।

তো আপনি কি জানেন ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়। যদি জেনে থাকেন তাহলে ভালো না জেনে থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। আমি আপনাকে সহজ ভাবে জানিয়ে দেবো। ফেসবুক থেকে আয় করার সেরা মাধ্যম গুলো সম্পর্কে।

তাই আপনি যদি ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে চান? তাহলে যে উপায় গুলো ব্যবহার করা করতে পারবেন। সেগুলো হচ্ছে-

ফেসবুক প্রফেশনাল প্রোফাইল থেকে ইনকাম করতে পারবেন, ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম করতে পারবেন, ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করতে পারবেন, ফেসবুক রিলস ভিডিও থেকে আয় করতে পারবেন।

বিশেষ করে আপনি যদি বাংলাদেশী হয়ে থাকেন। এবং বাংলাদেশ থেকে ফেসবুক থেকে ইনকাম করার চিন্তা করেন। সে ক্ষেত্রে আপনারা খুব সহজে ফেসবুক গ্রুপ এবং পেজের মাধ্যমে আয় করা শুরু করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় করতে চান? তাহলে আপনারা বিভিন্ন প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর কাজ শুরু করতে পারবেন।

আবার আপনি চাইলে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করে। গ্রুপ মনিটাইজেশন করে, বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করা শুরু করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আপনারা যারা মাসে 10,000/- টাকা আয় করার পদ্ধতি খুঁজে থাকেন। তারা উপরোক্ত অনলাইনের যেকোনো একটি সেক্টর বেছে নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

আর মজার বিষয় হচ্ছে আপনারা উপরোক্ত যে কোন সেক্টরে পার্ট-টাইম হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

আবার আপনি যদি অন্য কোন কাজের ধান্দা বাদ দিয়ে এই কাজ গুলো করতে চান? তাহলে ফুল টাইম হিসেবে করতে পারবেন।

যা থেকে আপনারা মাসে অন্তত 10,000/- থেকে 1 লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।

তো আমাদের লেখা আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে, কেমন লাগলো আশা করি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আর আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন ইনকামের নতুন নতুন পোস্ট পড়তে, নিয়মিত ভিজিট করুন, ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top