কনটেন্ট রাইটিং কি? সেরা কিছু কনটেন্ট রাইটিং টিপস বাংলাতে: বর্তমানে অনলাইন সেক্টরে অনেক অনেক কাজের মধ্যে অনেক বেশি পপুলার একটি কাজ হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং, যা অনলাইন মার্কেটিং এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যারা কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা রাখে তাদের জন্য অনলাইন মার্কেটিং উপযুক্ত। আমরা আমাদের আজকের পোস্টে জানব, কনটেন্ট রাইটিং কি? কনটেন্ট লেখার নিয়ম কি? একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার হতে গেলে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে।
পাশাপাশি আরো জানবো, সেরা কিছু কনটেন্ট রাইটিং টিপস। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি আমাদের আজকের আলোচনা পর্ব, আর জেনে নেই কনটেন্ট রাইটিং কি? সেরা কিছু কনটেন্ট রাইটিং টিপস বাংলাতে। অবশ্যই আর্টিকেলটি স্কিপ না করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবার হলেও পড়বেন।
কনটেন্ট রাইটিং কি?
কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে জানতে হলে সবার প্রথমে জানতে হবে কনটেন্ট মানে কি? কারন আমরা যারা কন্টেন্ট রাইটিং এর সাথে নতুন করে পরিচিত তাদের এ বিষয়ে একদমই ধারণা নেই বললেই চলে। যদি সহজ ভাবে বাংলায় বলা হয় তাহলে, কনটেন্ট এর মানে দাঁড়ায় বিষয়বস্তু। সংজ্ঞা আকারে বললে বলা যায়, আপনি যেটা লিখছেন বা নিজের কৌশলের মাধ্যমে যে বিষয়বস্তু তৈরি করছেন সেটাই হচ্ছে কনটেন্ট।
মানে আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ, আপনার ধারণা রয়েছে সে সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা দেওয়াটাই হচ্ছে কনটেন্ট। আর কনটেন্ট রাইটিং হচ্ছে, একটি পদ্ধতি। যার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য আমরা ওয়েব কনটেন্ট লিখে থাকি। অর্থাৎ পরিশেষে বলা যায়, কনটেন্ট রাইটিং হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম বা পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ এবং প্রফেশনাল আর্টিকেল লেখা যায় এবং তা ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কনটেন্ট কত প্রকার?
কনটেন্ট মূলত অনেক ধরনের হয়ে থাকে। মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ব্লগ সাইটের জন্য কনটেন্ট লেখা হয়, আবার কোন ভিডিও বা পডকাস্ট এর জন্য স্ক্রিপ্ট লেখা হয়। শুধু তাই নয়, কোন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এর জন্য কনটেন্ট লেখা বা কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লেখা সবই কনটেন্ট রাইটিং। বলা যায় বর্তমান যুগে কনটেন্ট ছাড়া ওয়েব এর ভবিষ্যৎ অচল।
আপনি youtube, facebook, google যেখানেই চোখ রাখুন না কেন সবকিছুতেই অতোব্রত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে কন্টেন্ট। তবে সব দিক বিবেচনা করে কনটেন্টকে মূলত চার ভাগে ভাগ করা হয় অর্থাৎ কনটেন্ট বলতে আমরা চার রকমের বিষয় বস্তুকে বুঝে থাকি। সেগুলো হচ্ছে,
- অডিও কনটেন্ট
- ভিডিও কনটেন্ট
- টেক্সট কনটেন্ট এবং
- ইমেজ কনটেন্ট।
আর এই প্রত্যেক বিষয়ের কনটেন্ট ব্যক্তি নিজের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, কৌশল এবং দক্ষতা ব্যবহার করে লিখে থাকেন। তবে web কনটেন্ট গুলো আবার বিভিন্ন ফরমেটে হতে পারে। আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে আটটি ফরমেট সম্পর্কে অবগত করব। সেগুলো হচ্ছে,
- ব্লগ পোস্ট
- ওয়েবসাইটের কপি
- বিজ্ঞাপনের কপি
- সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
- ইউটিউবের ভিডিও ডেসক্রিপশন
- ভিডিও স্ক্রিপ্ট
- কোন বিষয়ের রিভিউ কন্টেন্ট।
চলুন এ পর্যায়ে জেনে নেওয়া যাক, কনটেন্ট রাইটিং কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং যারা কন্টেন্ট লেখে তাদেরকে কি বলা হয়?
কনটেন্ট রাইটার কাকে বলে?
যে ব্যক্তি নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং কলা কৌশলের ওপর ভিত্তি করে কোন বিষয়বস্তু নিজের মতো করে সহজ ও সাবলীল ভাষায় লিখে সুন্দর একটা স্ট্রাকচার ফলো করে উপস্থাপন করে সেই ব্যক্তিকেই বলা হয় কনটেন্ট রাইটার। মানে যারা কনটেন্ট লিখে তারাই হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটার। যেমন ধরুন আমি।
আজকে আমি আপনাদেরকে জানাচ্ছি কন্টেন্ট রাইটিং কি এবং সেরা কিছু কনটেন্ট রাইটিং টিপস সম্পর্কে। আর এই বিষয়বস্তুটি আমি সম্পূর্ণভাবে আমার মত করে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি। তাই আমি হলাম আপনাদের কাছে একজন কন্টেন্ট রাইটার।
কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব কেমন?
অনেকের মনে এই প্রশ্নটি এসে থাকে, কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব কেমন? কনটেন্ট রাইটিং এর ভবিষ্যৎ কি? আবার কন্টেন্ট রাইটিং কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? তাদেরকে বলছি, বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে কনটেন্টের কদর বেড়েছে। তাই আপনি কিছুটা ঠান্ডা মাথায় ভাবলেই বুঝতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কনটেন্টের কদর কতটা। আর ঠিক এই কারণে যদি কন্টেন্ট রাইটিং এর ভবিষ্যৎ কি?
এমনটা ভেবে থাকেন তাহলে বলবো– কনটেন্ট রাইটিং এর ভবিষ্যৎ ডিমান্ডডেবল। আর তাই আপনি একজন রাইটার হিসেবে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারেন অনলাইন প্লাটফর্মে। সেই সাথে কনটেন্ট রাইটিংকে নিজের পেশা হিসেবেও গ্রহণ করতে পারেন। আপনি যদি একজন ভালো ওয়েব কন্টেন্ট লেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন এবং এ বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ভূমিকা রাখতে পারবেন বেশ কিছু ক্ষেত্রে। যেমন ধরুন,
- সেলসের সম্ভাবনা বাড়াতে পারবেন
- কাস্টমারদের আস্থা ধরে রাখতে পারবেন
- সম্ভাব্য টার্গেট অডিয়েন্স এর আস্থা অর্জন করতে পারবেন
- সেই সাথে অডিয়েন্সদের নজর কারতে পারবেন
এক কথায়, আপনি যদি একজন প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আপনি নিজের একটা সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন অনলাইন প্লাটফর্মে।
কি কি বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট লেখা যায়?
যারা নতুন তারা প্রায়ই বলে থাকেন, কনটেন্ট লিখব কিভাবে? আর কি কি বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট লেখা যায়? আমরা ইতিমধ্যে কন্টেনের প্রকার সম্পর্কে জেনেছি। আর্টিকেলের এ পর্যায়ে জানবো, আপনি কি কি বিষয় নিয়ে কনটেন্ট লেখার কথা ভাবতে পারেন। ইন্টারনেটের মধ্যে প্রচুর প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে আলাদা আলাদা রকমের কনটেন্টের প্রয়োজন পড়ে।
আর আলাদা প্লাটফর্মের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি হয়ে থাকে আলাদা আলাদা রকমের আলাদা স্ট্রাকচারের কন্টেন্ট। আর ঠিক এই কারণে আপনাকে অবশ্যই এ বিষয়ে জেনে রাখতে হবে। সত্যি বলতে আপনি যদি একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চান এবং নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে চান তাহলে নিজের রুচি, চাহিদা এবং প্যাশন হিসেবে আলাদা আলাদা ধরনের কনটেন্ট তৈরি করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। আপনি মূলত ছয় ধরনের কনটেন্ট লিখতে পারবেন। সেগুলো হলো,
- ব্লগিং
- সোশ্যাল মিডিয়া
- কপিরাইটিং
- এক্সপার্ট রাইটিং
- নিউজ রাইটিং এবং
- ক্রিয়েটিভ রাইটিং।
কারণ বর্তমানের অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রোডাক্টের প্রচার মার্কেটিং বা ব্র্যান্ডিং এর উদ্দেশ্যে এই প্রত্যেক কনটেন্ট রাইটিং এর প্রকার গুলোকে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিভাবে কনটেন্ট রাইটার হব?
এখন কথা হলো কিভাবে কনটেন্ট রাইটার হবো? মানে একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে অনলাইন প্লাটফর্মে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চাইলে কি কি করতে হবে, কি কি জানতে হবে? এর জন্য কি প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন? নাকি পড়াশোনা না করেও সম্ভব কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করা।
এমন প্রশ্ন সচরাচর সবাই করে থাকে। আবার অনেকে এমনটাও ভাবে কন্টেন্ট রাইটার হতে গেলে মনে হয় অনেক কোর্স করতে হয়। সত্যি বলতে একজন প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার হতে আপনাকে বিশেষ কোনো কোর্স করার প্রয়োজন হবে না। যদি আপনি একজন ভাল পাঠক, শ্রোতা এবং সৃজনশীল ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়ে থাকেন।
আপনার যদি লিখতে ভালো লাগে পড়তে ভালো লাগে এবং নতুন নতুন কিছু জানতে ভালো লাগে, তাহলে আপনি নিজেকে কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। মোটকথা কনটেন্ট রাইটার হবার জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো আপনার মধ্যে লেখার রুচি আছে কিনা, এটা জানা। যদি কোন বিষয় সম্পর্কে লেখার রুচি আপনার মধ্যে থেকে থাকে তাহলে আপনি একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার হয়ে উঠতে পারবেন।
কনটেন্ট রাইটিং ভালো করার নিয়ম
ইতোমধ্যে আমরা কনটেন্ট রাইটিং কি এবং এর কিছু বিস্তারিত জানলাম। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং ভালো করার নিয়ম কি? কিভাবে একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হওয়া যাবে? এ পর্যায়ে আমরা দশটি নিয়ম স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেব। তাহলে চলুন শুরু করি।
নাম্বার ১. কনটেন্টের মেইন উদ্দেশ্য ঠিক করা
আমরা সবাই জানি, উদ্দেশ্যবিহীন কোন কাজ কখনোই প্রফেশনাল হয় না। যে কাজের কোন উদ্দেশ্য নেই আগা মাথা কিছু নেই সেটা কখনোই কারো ভালো লাগবে না। তাই আপনি যদি কনটেন্ট লিখতে চান তাহলে কন্টেন্টের উদ্দেশ্যটা ঠিক কি, সেটা আগে নির্বাচন করতে হবে, নিশ্চিত হতে হবে। কারণ আপনার কনটেন্ট এর মধ্যে যদি ভালো উদ্দেশ্য না থাকে তাহলে সেটা কখনোই ভালো হবে না, গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
তাই কোন বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট লেখার আগে আপনাকে ভিজুয়ালাইজ করতে হবে যে, আপনি যে বিষয়টি নিয়ে লিখছেন সেটা কেন লিখছেন? অডিয়েন্স আপনার এই কনটেন্টটি কেন পড়বে? এবং আপনার কনটেন্টে অবশ্যই কি কি বিষয়বস্তু থাকতে হবে? এক কথায়, কনটেন্ট এর উদ্দেশ্য হতে হবে ঠিক এরকম।
- অডিডেন্স কে আপনার নির্বাচিত বিষয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়া।
- অডিয়েন্সদের কোন সমস্যা থাকলে সেটা সমাধান করা
- এবং তাদেরকে নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করা।
কারণ আপনি যদি এই উদ্দেশ্য গুলো মাথায় রেখে কাজ করেন তাহলে আপনার সেই কনটেন্ট অবশ্যই প্রফেশনাল কনটেন্ট হবে।
নাম্বার ২. কনটেন্টের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা
যেহেতু আপনি একটি কনটেন্ট লিখছেন কারো উদ্দেশ্যে, তাই অবশ্যই আপনি যাদের উদ্দেশ্যে লিখছেন তারা ঠিক আপনার কনটেন্টে কি কি জানার আগ্রহ প্রকাশ করবে সেটা বুঝে নিতে হবে। মানে আপনি যে বিষয়ে কনটেন্ট বানাবেন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে এবং সেগুলো নিজের মতো করে সহজ ভাবে আপনার কনটেন্টে ফুটিয়ে তুলতে হবে। যাতে দেখতে সুন্দর হয় সেই সাথে পড়তেও শ্রুতি মধুর হয়।
নাম্বার ৩. কনটেন্ট কাদের জন্য লিখছেন মাথায় রাখা।
আপনি যদি একজন প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার হতে চান তাহলে আপনি ঠিক কাদের জন্য কনটেন্ট লিখছেন সে বিষয়টি মাথায় রাখাটা অনেক বেশি জরুরী। কারণ যাদের জন্য আপনি কনটেন্ট বানাচ্ছেন তাদের পছন্দ-অপছন্দ, প্রয়োজন আর আচরণ সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা আপনার মধ্যে থাকতে হবে।
সেই সাথে আপনি ঠিক কোন বয়সী মানুষদের জন্য আপনার কনটেন্ট লিখছেন, তাছাড়াও তাদের জেন্ডার কি, আপনার লেখা কন্টেনটের বিষয়ে অডিয়েন্স কি ধারণা করতে পারে এবং আপনার কনটেন্ট সম্পর্কে অডিয়েন্স কতটুকু জানার আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে, এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে তবেই একটা কনটেন্ট লেখা উচিত।
নাম্বার ৪. কনটেন্ট কেমন হবে তা আগে থেকে ঠিক করা
এক কথায় কনটেন্টের আউটলাইন কি হবে আপনাকে লেখার পূর্বেই ঠিক করতে হবে। কারণ আপনি যদি একজন ইউনিক কন্টেন্ট রাইটার হতে চান তাহলে নিজের মতো করে একটা স্ট্রাকচার তৈরি করে নিতে হবে আপনার। আর সেটা অবশ্যই অন্যদের থেকে ভালো এবং স্ট্যাটিসটিক হবে। তাই আপনি সম্পূর্ণ কনটেন্ট কয়েকটি ধাপে ভাগ করুন এবং প্রত্যেকটা অংশে কি কি বিষয় থাকবে সেগুলো সুন্দর করে পয়েন্ট করুন।
সেই সাথে আপনি যে বিষয়টি নিয়ে লিখছেন সেটা ঠিক নিজে কতটুকু জানেন সে বিষয়ে লিখুন, পরবর্তীতে রিসার্স করার মাধ্যমে বাকি ইনফরমেশন জোগাড় করুন। এভাবে যদি আপনি কনটেন্ট লেখেন তাহলে আপনার কনটেন্ট অবশ্যই google এ রেংক করবে এবং আপনি একজন প্রফেশনাল রাইটার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবেন।
নাম্বার ৫. কনটেন্টের বিষয় স্থির রাখা
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আপনি আপনার লেখা কনটেন্টে অডিয়েন্সকে ঠিক কি বোঝাতে চাচ্ছেন সে বিষয়টিকে সবসময় স্থির রাখা। মানে আপনার মেইন টপিকের উপর আপনার নজর দেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নাম্বার ৬. অডিয়েন্সদের প্রয়োজন পড়ে এমন কনটেন্ট লেখা।
কনটেন্টের টপিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই অডিয়েন্স কি চাচ্ছে, বা কি বিষয় নিয়ে জানার আগ্রহ অনেক বেশি, সে বিষয়ে জেনে নেওয়াটা অনেক বেশি জরুরী। তাই আপনি যদি একজন প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার হতে চান তাহলে অডিয়েন্সদের কাজে আসে এমন কনটেন্ট লিখুন।
নাম্বার ৭. কনটেন্টের স্ট্রাকচার পরিষ্কার রাখা
আমরা ইতোমধ্যে বলেছি একটি কনটেন্ট প্রফেশনালি হিসেবে ফুটিয়ে তুলতে চাইলে অবশ্যই কন্টেন্টের গঠন পরিষ্কার রাখাটা খুবই জরুরী। তাই আপনার আউটলাইনের প্রতিটি পয়েন্ট কে কনটেন্টের এক একটি অংশ হিসেবে গণ্য করতে পারেন। যদি দরকার পড়ে তাহলে পয়েন্টগুলোকে ব্যাখ্যা করার জন্য আলাদা আলাদা ভাবে ভাগ করুন এবং কয়েকটি ধাপে স্টেপ বাই স্টেপ বিষয়টিকে সুন্দরভাবে অডিয়েন্সদের কাছে ফুটিয়ে তুলুন।
নাম্বার ৮. সহজ ভাষা নিশ্চিত করুন
কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই যে বিষয়টি আপনাকে মাথায় রাখতে হবে সেটা হলো, সহজ ভাষা নিশ্চিত করা। কারণ কনটেন্টের ভাষা যতটা সহজ এবং সাবলীল হবে অডিয়েন্স সেটা পড়তে অনেক বেশি কমফোর্টেবল ফিল করবে। অনেক কঠিন এবং বড় কোন শব্দ অডিয়েন্সের মধ্যে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই একটি ভালো কনটেন্ট লেখার জন্য অবশ্যই সহজ ভাষা নিশ্চিত করুন।
নাম্বার ৯. নিজস্ব স্টাইল ফলো করে লিখুন
যেহেতু আপনি একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতে চাচ্ছেন তাই অবশ্যই নিজস্ব একটা স্টাইল ফলো করতে হবে আপনাকে। কারণ আপনি যদি অন্যকে নকল করেন তাহলে সেটা কখনোই ইউনিক হবে না। তাই নিজে এমন একটা স্ট্রাকচার এমন কিছু বিষয় বস্তু নিজে থেকে তৈরি করে নিন, যেটা সম্পূর্ণই অন্যদের থেকে আলাদা হবে।
নাম্বার ১০. বারবার পড়ার অভ্যাস করুন
আপনি যে কনটেন্টটি অডিয়েন্সদের জন্য লিখছেন সেটা একবার নয়, বারবার পড়ুন এবং সংশোধন করার চেষ্টা করুন। এমন কিছু রাইটার রয়েছে যাদের কনটেন্ট লেখার পরে সেটা বারবার পড়ার আগ্রহটা একেবারেই হারিয়ে যায়। আর এতে করে কনটেন্ট অনেকটাই শ্রুতি মাধুর্য হারায়। এজন্য আপনি নিজে যে কনটেন্টটি লিখছেন সেটা বারবার পড়ুন এবং এডিট করুন যাতে অডিয়েন্স আপনার কনটেন্টটি পড়ে উপকৃত হয় এবং বারবার আপনার লেখা গুলো পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে।
বাছাই করা কিছু দারুন কন্টেন্ট রাইটিং টিপস বাংলাতে
প্রিয় পাঠক পাঠিকা, এ পর্যন্ত আমরা একটি প্রফেশনাল কনটেন্ট লেখার নিয়মগুলো জানলাম। এ পর্যায়ে জানবো এমন কয়েকটি মাধ্যম বা টিপস সম্পর্কে যেগুলো কন্টেন্ট লেখা শুরু করার আগেই আউটলাইন তৈরি করে নিতে হবে। সেগুলো হলো,
- কিওয়ার্ডের যথাযথ ব্যবহার। কারণ একটা কনটেন্ট যথাযথভাবে প্রকাশ পায় কিওয়ার্ডের যথাযথ ব্যবহারের কারণে।
- একটি ভালো টাইটেল নির্বাচন করতে হবে যেটা অনেক আকর্ষণীয় হবে এবং অডিয়েন্স দেখার জন্য জানার জন্য ক্লিক করবে।
- অবশ্যই ভালো মেটাডেস্ক্রিপশন লেখার অভ্যাস করতে হবে। কারণ আপনি আপনার কন্টেন্ট এ কি লিখেছেন সেটা ডেসক্রিপশন দেখে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করবে।
- ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ এবং সহজ শব্দ প্রয়োগ করে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করতে হবে আপনাকে।
- অবশ্যই কনটেন্টের রিয়াডিএবিলিটি স্কোর চেক করতে হবে।
- গ্রামারের বিষয়ে নজর দিতে হবে এবং রিসার্স করে কনটেন্ট লিখতে হবে।
- Plagiarism চেক করতে হবে।
- সেই সাথে দীর্ঘ কনটেন্ট লিখতে হবে এবং কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
পরিশেষে: আশা করি আমাদের দেওয়া এই ইন্সট্রাকশন গুলো ফলো করে আপনি খুব সহজেই একজন প্রফেশনাল রাইটার হিসেবে নিজেকে অনলাইন প্লাটফর্মে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। তো ভিউয়ার্স, যদি কোন মতামত থেকে থাকে আমাদের কমেন্ট করে জানান। সেই সাথে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো সবার আগে পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। খুব তাড়াতাড়ি নতুন টপিকের নতুন কোন আলোচনায় আবারও দেখা হবে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।